Trinamool Congress: ভোটের ময়দানে ‘অন্তর্ঘাত’! নেতাদের চিহ্নিত করে বড় পদক্ষেপ নিতে শুরু করল TMC
Trinamool Congress: নির্বাচনে ‘অন্তর্ঘাতে যুক্ত’ নেতাদের বিরুদ্ধে এবার কড়া পদক্ষেপ করতে শুরু করে দিল তৃণমূল। সাসপেন্ড করা হল ৩ অঞ্চল সভাপতিকে। নিজেদের ব্যর্থতার জন্য বলির পাঁঠা করা হচ্ছে নিচু তলার কর্মীদের, কটাক্ষ বিজেপির।
বাঁকুড়া: সদ্য শেষ হওয়া লোকসভা নির্বাচনে দলের অন্দরে অন্তর্ঘাতে যুক্ত নেতাদের চিহ্নিত করে এবার কড়া পদক্ষেপ করতে শুরু করল তৃণমূল। বিরোধীদের সঙ্গে যোগসাজস করে দল বিরোধী কাজের জন্য দলের তিন অঞ্চল সভাপতিকে সাসপেন্ড করল তৃণমূলের জেলা নেতৃত্ব। আগামীদিনেও এই প্রক্রিয়া চলতে থাকবে বলে জানাচ্ছেন জেলার নেতারা। তবে কটাক্ষ করতে ছাড়েনি বিজেপি। পদ্ম শিবিরের দাবি, ক্ষেত্র বিশেষে দলের নীচু তলার কর্মীদের বলির পাঁঠা করছে তৃণমূল নেতৃত্ব।
এদিকে বাঁকুড়া লোকসভা কেন্দ্রে হাড্ডাহাড্ডি লড়াই শেষে বাজিমাত করেছে তৃণমূল। সুভাষ সরকারকে ৩৩ হাজারেরও বেশি ভোটে হারিয়ে জয় ছিনিয়ে নিয়েছেন তৃণমূলের অরূপ চক্রবর্তী। জয় মিললেও স্বস্তি কিন্তু খুব একটা নেই দলের অন্দরে। তৃণমূলের কাছে গলার কাঁটা হয়ে রয়েছে দলের কর্মীদের একাংশের লাগাতার অন্তর্ঘাতের অভিযোগ। তাই ভোট মিটতেই তৃণমূলের জেলা নেতৃত্ব দলের অস্বস্তির ময়নাতদন্তে নেমে পড়েছে।
অন্তর্তদন্তের মধ্যেই বারেবারে তৃণমূল নেতৃত্ব অন্তর্ঘাতে যুক্তদের বিরুদ্ধে কঠোর পদক্ষেপের হুঁশিয়ারিও দেয়। এবার অন্তর্ঘাতের সঙ্গে যুক্তদের চিহ্নিত করে তাঁদের বিরুদ্ধে ব্যবস্থা নেওয়া শুরু হয়ে গেল। দলের লেটার হেডে রীতিমতো চিঠি দিয়ে বরখাস্ত করা হয়েছে তৃণমূলের কেঞ্জাকুড়া, পার্শ্বলা ও সিমলাপালের অঞ্চল সভাপতিকে। জানা গিয়েছে ইতিমধ্যেই সিমলাপালের অঞ্চল সভাপতি বিবেকানন্দ সিংহ মহাপাত্র, সিমলাপালের অঞ্চল সভাপতি দেবাশিস গুলি ও কেঞ্জাকুড়ার অঞ্চল সভাপতি রঞ্জিত চট্টোপাধ্যায়কে বরখাস্তের চিঠিও পাঠানো হয়েছে।
তৃণমূল নেতৃত্বের দাবি, আপাতত তিন অঞ্চল সভাপতির বিরুদ্ধে কড়া ব্যবস্থা নেওয়া হলেও আগামীদিনেও এই প্রক্রিয়া চলতে থাকবে। যদিও বরখাস্ত হওয়া তৃণমূলের কেঞ্জাকুড়া অঞ্চল সভাপতি তাঁর বিরুদ্ধে ওঠা দলবিরোধী কাজের অভিযোগ উড়িয়ে দিয়েছেন। তাঁর দাবি পদ থেকে সরিয়ে দিলেও তিনি সাধারণ তৃণমূল কর্মী হিসাবে কাজ করে যাবেন। তবে বরখাস্ত হওয়া অপর দুই অঞ্চল সভাপতির প্রতিক্রিয়া মেলেনি। অন্য়দিকে বিজেপির বাঁকুড়া সাংগঠনিক জেলা সভাপতি সুনীল রুদ্র মণ্ডলের দাবি, তৃণমূল নেতৃত্ব নিজেদের ব্যর্থতা ঢাকা দিতে এসব করছে। যে অঞ্চলগুলিতে ফলাফল খারাপ হয়েছে সেই অঞ্চলের নিচুতলার নেতাদের বলির পাঁঠা করছে ঘাসফুল শিবির।