Fake Bank Accounts: বীরভূমে আরও ১৫৩টি ভুয়ো অ্যাকাউন্টের খোঁজ পেল CBI: সূত্র
CBI in Birbhum: উল্লেখ্য, এর আগে এই সমবায় ব্যাঙ্কেই ১৭৭টি ভুয়ো অ্যাকাউন্টের খোঁজ পেয়েছিলেন কেন্দ্রীয় তদন্তকারী আধিকারিকরা। ফলে এখনও পর্যন্ত সব মিলিয়ে প্রায় ৩৩০টি ভুয়ো ব্যাঙ্ক অ্যাকাউন্টের খোঁজ পেল সিবিআই।
বীরভূম: বীরভূমে সিবিআই (CBI) তৎপরতা বাড়তেই উঠে আসছে একের পর এক চাঞ্চল্যকর তথ্য। এবার সিউড়ি সমবায় ব্যাঙ্কে (Cooperative Bank) আরও বেনামি অ্যাকাউন্টের (Fake Bank Accounts) হদিশ মিলেছে বলে জানা গিয়েছে। নতুন করে আরও ১৫৩টি ভুয়ো ব্যাঙ্ক অ্যাকাউন্টের খোঁজ পেয়েছেন সিবিআই আধিকারিকরা। সূত্র মারফত এমনই জানা গিয়েছে। সূত্রের খবর, কেন্দ্রীয় তদন্তকারী সংস্থার তরফে এই সব অ্যাকাউন্টগুলি ক্লোজ করে দেওয়ার নির্দেশ দেওয়া হয়েছে। সেই সঙ্গে ওই অ্যাকাউন্টগুলির নথিও সংগ্রহ করেছেন সিবিআই গোয়েন্দারা। উল্লেখ্য, এর আগে এই সমবায় ব্যাঙ্কেই ১৭৭টি ভুয়ো অ্যাকাউন্টের খোঁজ পেয়েছিলেন কেন্দ্রীয় তদন্তকারী আধিকারিকরা। ফলে এখনও পর্যন্ত সব মিলিয়ে প্রায় ৩৩০টি ভুয়ো ব্যাঙ্ক অ্যাকাউন্টের খোঁজ পেল সিবিআই।
প্রসঙ্গত, এদিন সকালে সিবিআই-এর তদন্তকারী আধিকারিকরা পৌঁছে গিয়েছিলেন সিউড়ি সমবায় ব্যাঙ্কে। মিনিট ১৫ সেখানে থাকার পর সিবিআই গোয়েন্দারা পৌঁছে যান হরিপুর ও ধোবাগ্রামে। সূত্রের খবর, ওই এলাকাতেই ভুয়ো অ্যাকাউন্টের মালিকদের ঠিকানা। সেখানে গিয়ে গ্রামবাসীদের সঙ্গে কথা বলেন সিবিআই আধিকারিকরা। সিবিআই যাঁদের সঙ্গে কথা বলেছেন, তাঁদের একটাই অভিযোগ… তাঁরা কোনও অ্যাকাউন্ট ওই সমবায় ব্যাঙ্কে খোলেননি। তাঁদের নথি ব্যবহার করে ওই অ্যাকাউন্ট খোলা হয়েছে বলে অভিযোগ। সূত্র মারফত এমনই জানা যাচ্ছে। এমনকী যাঁরা সই করতে জানেন না, তাঁদেরও স্বাক্ষর ব্যবহার করা হয়েছে বলে সূত্রের খবর। ফলে কীভাবে এই বিপুল সংখ্যক ভুয়ো ব্যাঙ্ক অ্যাকাউন্ট তৈরি হল, তা নিয়ে ইতিমধ্যেই একটি ধোঁয়াশা তৈরি হয়েছে এবং সেই রহস্যের জট খোলার চেষ্টা করছেন কেন্দ্রীয় গোয়েন্দা সংস্থার আধিকারিকরা।
প্রসঙ্গত, এর আগে জানুয়ারি মাসের শুরুর দিকেও সিউড়ির ওই সমবায় ব্যাঙ্কে হানা দিয়েছিলেন সিবিআই আধিকারিকরা। সেই সময়েও ১৭৭টি ভুয়ো ব্যাঙ্ক অ্যাকাউন্টের সন্ধান পাওয়া গিয়েছিল বলে সূত্রের খবর। এই ভুয়ো অ্যাকাউন্টগুলির সঙ্গে গরুপাচারের কালো টাকা সাদা করার কোনও যোগ রয়েছে কি না, সেই সব দিকগুলিও খতিয়ে দেখা হচ্ছে।