Calcutta High Court: বাড়ি থেকে বের করে দিয়েছিল বৌমা! অবশেষে হাইকোর্টের নির্দেশে ঘর ফিরে পেলেন অসহায় বৃদ্ধ দম্পতি

Calcutta High Court: বাড়ি থেকে বিতাড়িত হওয়ার পর প্রথমে সিউড়ি আদালতের দ্বারস্থ হয়েছিলেন ওই দম্পতি। পরবর্তী ক্ষেত্রে হাইকোর্টে গড়ায় সেই মামলা। হাইকোর্টের নির্দেশে শুক্রবার সিউড়ি থানার পুলিশ বাড়িতে ফিরিয়ে আনে বৃদ্ধ দম্পতিকে।

Calcutta High Court: বাড়ি থেকে বের করে দিয়েছিল বৌমা! অবশেষে হাইকোর্টের নির্দেশে ঘর ফিরে পেলেন অসহায় বৃদ্ধ দম্পতি
Follow Us:
| Edited By: | Updated on: Jul 01, 2022 | 11:56 PM

সিউড়ি: বীরভূমের (Birbhum) সিউড়ির নেতাজি স্কুল মোড়ের কাছে একটি বাড়িতে থাকতেন অরুণ কুমার সাধু ও তাঁর স্ত্রী। তাঁদের ছেলের সঙ্গে ২০১৭ সালে বিয়ে হয় এক মহিলার। বিয়ের পর থেকেই অশান্তি শুরু হয় ওই পরিবারে। অভিযোগ শ্বশুর-শাশুড়িকে বাড়ি থেকে বের করে দেন বৌমা। পরিবর্তে তাঁর নিজের বাবাকে ও অন্যান্য আত্মীয়দের নিয়ে আসেন শ্বশুর বাড়িতে। এই অবস্থায় বাধ্য হয়ে আদালতের দ্বারস্থ হন অসহায় বৃদ্ধ দম্পতি। অবশেষে কলকাতা হাইকোর্টের (Calcutta High Court) নির্দেশে সেই অসহায় বৃদ্ধ দম্পতিকে নিজের বাড়ি ফেরাল পুলিশ। 

ঘটনা প্রসঙ্গে অরুণ কুমার সাধু বলেন, “২০১৭ সালে বিয়ে হয় ছেলের। বিয়ের পর থেকেই অশান্তি। ছেলের উপরেও অত্যাচার হত। প্রত্যেকদিন ঝগড়া। বৌমার বাপের বাড়ির লোকজন এসেও ঝাগড়া করত। আমাদের বাড়ি থেকে শেষ পর্যন্ত আমাদেরই বের করে দেয়। আজ হাইকোর্টের নির্দেশে পুলিশের তৎপরতা আমরা বাড়ি ফিরতে পেরেছি। বৌমার বাবার থেকেও আমার বয়স বেশি। আমরা তো কোনও অশান্তি চাই না। যতই ঝগড়া-অশান্তি হোক  ও তো আমার মেয়ের মতো। তাই আগামীতে শান্তিতেই থাকতে চাই।” এদিকে পুলিশ বাড়িতে গেলে পুলিশের সঙ্গে তর্ক জুড়ে দিতেও দেখা যায় অভিযুক্ত মহিলাকে। এমনকী এখন তাঁর নিজের বাবার জায়গা কোথায় হবে সেই প্রশ্নও তোলেন। 

সূ্ত্রের খবর, বাড়ি থেকে বিতাড়িত হওয়ার পর প্রথমে সিউড়ি আদালতের দ্বারস্থ হয়েছিলেন ওই দম্পতি। পরবর্তী ক্ষেত্রে হাইকোর্টে গড়ায় সেই মামলা। হাইকোর্টের নির্দেশে শুক্রবার সিউড়ি থানার পুলিশ বাড়িতে ফিরিয়ে আনে বৃদ্ধ দম্পতিকে। পাশাপাশি হাইকোর্টের পক্ষ থেকে জানানো হয়েছে, বৌমার বাবা ও অন্যান্য বাপের বাড়ির আত্মীয়দের ওই বাড়ি থেকে চলে যেতে হবে। দীর্ঘ লড়াই শেষে নিজের বাড়িতে ফিরতে পেরে স্বাভাবিকভাবেই খুশি হয়েছেন বৃদ্ধ দম্পতি। যদিও অভিযুক্ত মহিলা ক্যামেরার সামনে কোনও কথা বলতে চাননি। ক্যামেরা দেখেই পালিয়ে যান। যেতে যেতে বলেন, “আমি কোনও কথা বলব না।” মুখ খুলেছেন তাঁর বাবা। তাঁর দাবি, “আমার মেয়ে তার শ্বশুর-শাশুড়িকে বাড়ি থেকে বের করে দেয়নি। তারা নিজের থেকেই চলে গিয়েছিল।”