Awas Yojana: ১৫ জানুয়ারির ‘ডেডলাইন’, আবাসের টাকা না এলে এবার বড় কাজ করতে চলেছে বিজেপি
Awas Yojana: অভিযোগ, যোগ্য প্রাপকরা বারবার তাদের পঞ্চায়েতে গেলেও সমস্যার কোনও সুরাহা হয়নি। তবে এই নিয়ে তৃণমূল পরিচালিত পঞ্চায়েতের নেতারা মুখে কুলুপ আঁটলেও সরব হয়েছে বিজেপি। শনিবার বিকালে বঞ্চিত উপভোক্তাদের নিয়ে পাহাড়পুর গ্রাম পঞ্চায়েত এলাকায় একটি বৈঠক করেন বিজেপি সদস্য তথা এলাকার দাপুটে বিজেপি নেতা চিত্তরঞ্জন রায়।
জলপাইগুড়ি: আবাস বঞ্চিতদের নিয়ে গ্রাম পঞ্চায়েত অফিস ঘেরাওয়ের সিদ্ধান্ত নিল বিজেপি। দীর্ঘ টালবাহানার পর অবশেষে বাংলার ঘর প্রকল্পের মধ্য দিয়ে রাজ্যের তরফে যোগ্য প্রাপকদের বাড়ি তৈরির জন্য সমস্ত জেলায় টাকা বরাদ্দ করা হয়েছে। জলপাইগুড়ি জেলাতেও প্রথম পর্যায়ে প্রায় ৩২ হাজার মানুষ এই প্রকল্পের আওতায় এসেছে। জেলার সমস্ত ব্লকের সঙ্গে সদর ব্লকের গ্রামপঞ্চায়েত গুলিতে টাকা দেওয়া শুরু হয়েছে। তবে ব্যাতিক্রম জলপাইগুড়ি পাহাড়পুর গ্রাম পঞ্চায়েত। এখানে প্রায় ৩৩০০ মানুষের বাড়ি তৈরির টাকা পাওয়ার কথা। কিন্তু, অদ্ভুত ভাবে এখনও কেউ টাকা পাননি বলে জানা যাচ্ছে। তাতেই ক্ষোভ বাড়ছে মানুষের মধ্যে।
অভিযোগ, যোগ্য প্রাপকরা বারবার তাদের পঞ্চায়েতে গেলেও সমস্যার কোনও সুরাহা হয়নি। তবে এই নিয়ে তৃণমূল পরিচালিত পঞ্চায়েতের নেতারা মুখে কুলুপ আঁটলেও সরব হয়েছে বিজেপি। শনিবার বিকালে বঞ্চিত উপভোক্তাদের নিয়ে পাহাড়পুর গ্রাম পঞ্চায়েত এলাকায় একটি বৈঠক করেন বিজেপি সদস্য তথা এলাকার দাপুটে বিজেপি নেতা চিত্তরঞ্জন রায়। সেই সভাতেই সিদ্ধান্ত হয় গ্রাম পঞ্চায়েত অফিস ও বিডিও অফিস ঘেরাও করা হবে।
ক্ষোভ উগড়ে দিয়েছেন স্থানীয় বাসিন্দা সনৎ মুন্ডা, সনকা রায়েরা। তাঁরা বলেন, সবাই টাকা পেয়ে যাচ্ছে। অথচ লিস্টে আমাদের নাম থাকলেও টাকা পাচ্ছি না। বিজেপির পঞ্চায়েত সদস্য তথা পাহাড়পুর গ্রাম পঞ্চায়েতের বিজেপি নেতা চিত্তরঞ্জন রায় বলেন, “টাকার জন্য লোকে আমার মাথা খারাপ করে দিচ্ছে। তাই আজ সবাইকে ডেকে বৈঠক করলাম। সিদ্ধান্ত নিলাম ১৫ জানুয়ারির মধ্যে যদি অ্যাকাউন্টে বাড়ি বানাবার টাকা না আসে তবে গ্রাম পঞ্চায়েত ও বিডিও অফিস ঘেরাও করা হবে।”
এই বিষয়ে তৃণমূল পরিচালিত পাহাড়পুর গ্রাম পঞ্চায়েতের উপপ্রধান বেনুরঞ্জন সরকার বলেন, “টাকা না পেলে মানুষের মধ্যে ক্ষোভ বাড়বে। এটা খুব স্বাভাবিক। কিন্তু, অনেকেই ফোন নম্বর-সহ অনেক ভুল তথ্য দিয়েছেন। আগামী সপ্তাহের গোড়ার দিকে কাজ শেষ হয়ে যাবে। তারপরই সবাই প্রথম কিস্তির টাকা পেয়ে যাবে।”