“সাঁওতাল থেকে ও ব্রাহ্মণ হয়ে গিয়েছে”, জ্ঞানেশ্বরী কাণ্ডের ‘নায়ক’ বলায় মুর্মুকে তোপ ছত্রধরের
দু'দিন আগে বেলিয়াবেড়ার একটি দলীয় সভায় ভারতী ঘোষও জ্ঞানেশ্বরী হত্যাকাণ্ডে ছত্রধরকে কাঠগড়ায় দাঁড় করান। তাঁর কটাক্ষ, ১৬০ জনের হত্যার রক্ত লেগে রয়েছে ছত্রধরের হাতে। মাথার উপর ইউএপিএ মামলা।
পশ্চিম মেদিনীপুর: ফের আরও একবার তৃণমূলের রাজ্য সম্পাদক ছত্রধর মাহাতোকে (Chhatradhar Mahato) জ্ঞানেশ্বরী কাণ্ডের ‘হত্যাকারী’ বলে তোপ দাগল বিজেপি। বিজেপি নেত্রী ভারতী ঘোষের পর এবার সেই তোপ এল মালদা উত্তরে বিজেপি সাংসদ খগেন মুর্মুর কাছ থেকে। রবিবার তিনি বলেন, “জ্ঞানেশ্বরী কাণ্ডের নায়ক হলেন ছত্রধর। ১৬০ জনকে হত্যা করেছেন তিনি।” পাশাপাশি তাঁর কটাক্ষ, মাওবাদীদের সন্ত্রাসের সময় আদিবাসীদের ব্যবহার করেছিলেন ছত্রধর।
উল্লেখ্য, দু’দিন আগে বেলিয়াবেড়ার একটি দলীয় সভায় ভারতী ঘোষও জ্ঞানেশ্বরী হত্যাকাণ্ডে ছত্রধরকে কাঠগড়ায় দাঁড় করান। তাঁর কটাক্ষ, ১৬০ জনের হত্যার রক্ত লেগে রয়েছে ছত্রধরের হাতে। মাথার উপর ইউএপিএ মামলা। তাঁকে জেল থেকে ছাড়িয়ে জঙ্গলমহলে পাহাড়াদার করেছেন মাননীয়া। তবে, ইতিহাস বলছে জ্ঞানেশ্বরী কাণ্ড হওয়ার সময় ছত্রধর ছিলেন জেলে। এ প্রসঙ্গে টিভি৯ বাংলা ডিজিটালকে ছত্রধর বলেন, “ওরা শুধু ইতিহাস জানে না তাই নয়, পড়াশোনাও করে না। জ্ঞানেশ্বরী ঘটেছে ২০১০ সালে। আমাকে গ্রেফতার করেছে ২০০৯ সালের শেষে।”
আরও পড়ুন- যতই সরকার ভাঙার চেষ্টা করুক, ২০২১ আমাদের: মমতা
জঙ্গলমহলের বর্তমান পরিস্থিতি নিয়ে উদ্বেগ প্রকাশ করেন বিজেপি সাংসদ খগেন মুর্মু । মুখ্যমন্ত্রী মমতা বন্দ্যোপাধ্যায়কে কটাক্ষ করে মুর্মু জানান, জঙ্গলমহল হাসছে তিনি বলেছিলেন। সরকারে আসার পরও জঙ্গলমহল যে তিমিরে ছিল তিমিরেই আছে। প্রধানমন্ত্রীর প্রকল্পগুলোকে কার্যকর করতে দেওয়া হচ্ছে না। চাল গম চুরি করা হচ্ছে। ছত্রধরকে নিশানা করে মুর্মু বলেন, “যার মাথায় ৩৩টা মামলা রয়েছে, জ্ঞানেশ্বরী কাণ্ডের নায়ক, সে যাচ্ছে দুয়ারে সরকারের পরিষেবা দিতে।”
এ প্রসঙ্গে খগেন মুর্মুকে পাল্টা দিতে কালবিলম্ব করেননি ছত্রধরও। তিনি বলেন, “মুর্মু তো আদিবাসী মানুষ। কিন্তু তিনি জানেন না, নিজেই নিজের পায়ে কুড়ুল মারছেন। আদিবাসীদের অস্তিত্ব বিলীন করতে চাইছেন উনি। যত তাড়াতাড়ি ওনার শুভবুদ্ধি হোক। পদ পেয়ে উনি তো এখন সাঁওতাল থেকে ব্রাহ্মণ হয়ে গিয়েছেন।” উল্লেখ্য, কয়েকদিন আগে মেদিনীপুরে সভায় মমতার মঞ্চে দেখা গিয়েছে ছত্রধর মাহাতোকে। এদিন তাঁর পাশে দাঁড়িয়ে মমতা বলেছিলেন, “ছত্রধরকে মাওবাদী তকমা দিয়ে গ্রেফতার করা হয়েছিল। তিনি তৃণমূলেরই কর্মী ছিলেন।”