Sukanta Majumdar: রাজ্যপালের সঙ্গে প্রথম সাক্ষাতেই মমতার সরকারের নামে নালিশ সুকান্তর, ৬৩ পাতার নথি পেশ

নতুন রাজ্যপাল সি.ভি আনন্দ বোসের সঙ্গে প্রথমবার সাক্ষাতেই রাজ্য সরকারের বিরুদ্ধে একগুচ্ছ নালিশ তুলে ধরলেন রাজ্য বিজেপি সভাপতি সুকান্ত মজুমদার। বর্তমান অর্থনৈতিক পরিস্থিতি, কৃষি, শিল্পের অবস্থা থেকে আইন-শৃঙ্খলার অবনতির অভিযোগ তুলে ধরা রয়েছে।

Sukanta Majumdar: রাজ্যপালের সঙ্গে প্রথম সাক্ষাতেই মমতার সরকারের নামে নালিশ সুকান্তর, ৬৩ পাতার নথি পেশ
রাজ্যপাল সি.ভি আনন্দ বোস ও সুকান্ত মজুমদার। (ফাইল ছবি)
Follow Us:
| Edited By: | Updated on: Dec 01, 2022 | 7:07 PM

কলকাতা: রাজ্য সরকারের নামে নালিশ জানাতে এবার রাজভবনে রাজ্য বিজেপি সভাপতি সুকান্ত মজুমদার। নতুন রাজ্যপাল সি.ভি আনন্দ বোসের সঙ্গে প্রথমবার সাক্ষাতেই রাজ্য সরকারের বিরুদ্ধে একগুচ্ছ নালিশ তুলে ধরলেন তিনি। যার মধ্যে রাজ্যের বর্তমান অর্থনৈতিক পরিস্থিতি, কৃষি, শিল্পের অবস্থা থেকে আইন-শৃঙ্খলার অবনতির অভিযোগ তুলে ধরা রয়েছে। রাজ্য সরকারের বিরুদ্ধে অভিযোগ সম্বলিত মোট ৬৩ পাতার নথি রাজ্যপালের কাছে জমা দিয়েছেন সুকান্ত মজুমদার।

এদিন বিকালে রাজভবন থেকে বেরিয়ে সাংবাদিকদের মুখোমুখি হয়ে রাজ্য বিজেপি বলেন, “রাজ্যের বর্তমান পরিস্থিতি রাজ্যপালকে জানানো দরকার। রাজ্যের অর্থনৈতিক অবস্থা ধীরে ধীরে আইসিইউতে চলে যাচ্ছে। সরকারি কর্মীদের ডিএ দিতে পারছে না, রাজ্যে যে সমস্ত সুপার স্পেশ্যালিটি হাসপাতাল রয়েছে সেগুলিতে যা যা সুবিধা পাওয়া উচিত সেগুলি মিলছে না। কৃষি, শিল্প বিপর্যস্ত হয়ে পড়েছে। কৃষি পরিকাঠামো ভেঙে পড়েছে। এমনকি প্রধানমন্ত্রী নরেন্দ্র মোদী কিষাণ যোজনা সহজে চালু করতে দেয়নি। শিল্পকেও ধ্বংস করে দেওয়া হয়েছে। এই সমস্ত কিছু জানিয়ে আমরা ৬৩ পাতার নথি রাজ্যপালের কাছে জমা দিয়েছি।”

আবার নাম না করে পূর্বতন রাজ্যপালের প্রসঙ্গ টেনে রাজ্য বিজেপি সভাপতি বলেন, “এই সরকার রাজ্যপাল পদকে নানাভাবে অসম্মান করেছে। রাজ্যপালকে পদ্মপাল বলে কটাক্ষ করেছে। এগুলো নতুন রাজ্যপালের জানা উচিত।” একইসঙ্গে রাজ্যপালের এদিনের মন্তব্য উদ্ধৃত করে সুকান্ত মজুমদার বলেন, “রাজ্যপাল বলেছেন, বাংলা সিংহের মতো গর্জন করবে। আমি রাজ্যপালের সঙ্গে সহমত। কিন্তু এই সরকার যেভাবে চলছে এটা চলতে থাকলে সেটা হবে না।”

রাজ্যে গণতান্ত্রিক পরিবেশ নেই বলেও অভিযোগ তোলেন সুকান্ত মজুমদার। সম্প্রতি রাজ্যের বিরোধী দলনেতা শুভেন্দু অধিকারীও সভা করার অনুমতি পাননি। যা নিয়ে রাজ্য-রাজনীতি তোলপাড় হয়। এদিন সেই প্রসঙ্গও তুল রাজ্য বিজেপি সভাপতি বলেন, “শুভেন্দু অধিকারীকেও সভা করার অনুমতি দেয়নি। এভাবে গণতন্ত্র চলছে! কারোর সভা আটকে গণতন্ত্র প্রতিষ্ঠা করা যায় না। প্রয়োজনে আদালতে যাব।” এছাড়া নির্বাচন কমিশনের অফিসেও ভুরি ভুরি অভিযোগ রয়েছে বলে জানান বিজেপি সভাপতি।

প্রসঙ্গত, গত বুধবার বাংলার রাজ্যপাল পদে শপথ নিয়েছেন সি.ভি আনন্দ বোস। সেদিন আমন্ত্রণ পেয়েও শপথগ্রহণ অনুষ্ঠানে গরহাজির ছিলেন রাজ্য বিজেপি সভাপতি সুকান্ত মজুমদার এবং রাজ্যের বিরোধী দলনেতা শুভেন্দু অধিকারী। আসন বন্টন নিয়ে রাজ্য সরকারের বিরুদ্ধে অসম্মান করার অভিযোগ তোলেন তাঁরা। অন্যদিকে, পূর্বতন রাজ্যপাল জগদীপ ধনকড়ের সঙ্গে রাজ্য সরকারের সংঘাত পিছনে ফেলে এখনও পর্যন্ত সি.ভি আনন্দ বোসের সঙ্গে মুখ্যমন্ত্রীর সম্পর্ক খারাপ হয়নি। বরং সি.ভি আনন্দ বোসের শপথগ্রহণের পর সাংবাদিকদের প্রশ্নের জবাবে নতুন রাজ্যপালকে ‘ভাল’ বলে মন্তব্য করেন মুখ্যমন্ত্রী মমতা বন্দ্যোপাধ্যায়। তারপর মুখ্যমন্ত্রীর সুরেই ‘বাংলা ভারতকে পথ দেখাবে’ বলে মন্তব্য করেন সি.ভি বোস। এবার ‘পাশা’ বদলাতেই রাজ্য বিজেপি সভাপতি সুকান্ত মজুমদার রাজভবনে গিয়ে রাজ্যপালের সঙ্গে সাক্ষাৎ করলেন এবং মমতার সরকারের বিরুদ্ধে অভিযোগ তুলে ধরলেন বলে দাবি রাজনৈতিক মহলের।