Saokat Molla: ‘কয়লা তো দূরের কথা, ঘুঁটে পাচারে নাম দেখাতে পারলে ফাঁসিতে ঝুলব’, অভিষেকের সুরেই CBI-কে তোপ শওকতের

Saokat Molla:কয়লা পাচার কাণ্ডে এর আগে তৃণমূলের সর্বভারতীয় সভাপতি অভিষেক বন্দ্যোপাধ্যায় এবং তাঁর স্ত্রী রুজিরাকে জেরার জন্য ডেকেছিল সিবিআই। এবার শওকতের ডাক পড়ায় তা নিয়ে চাপান-উতর তৈরি হয়েছে বঙ্গ রাজনীতির আঙিনায়।

Saokat Molla: ‘কয়লা তো দূরের কথা, ঘুঁটে পাচারে নাম দেখাতে পারলে ফাঁসিতে ঝুলব’, অভিষেকের সুরেই CBI-কে তোপ শওকতের
ছবি - শওকতের সিবিআই তলবে চাপান-উতর তৈরি হয়েছে বঙ্গ রাজনীতির আঙিনায়
Follow Us:
| Edited By: | Updated on: May 27, 2022 | 9:45 PM

ক্যানিং: বুধবারই এসেছিল সিবিআইয়ের(CBI) চিঠি। কয়লা পাচার মামলায় শুক্রবার সকাল ১১টার মধ্যে নিজাম প্যালেসে ক্যানিং পূর্বের বিধায়ক শওকত মোল্লাকে(Canning MLA Saokat Molla) ডেকে পাঠায় সিবিআই। যদিও এদিন তিনি হাজিরা এড়িয়ে গিয়েছেন। যদিও তারপরেও তাঁর দাবি, “কয়লা পাচার তো দূরের কথা, ঘুঁটে পাচারে যদি নাম দেখাতে পারে তাহলে আমি ফাঁসিতে ঝুলব”। এদিকে এই কয়লা পাচার কাণ্ডে এর আগে তৃণমূলের সর্বভারতীয় সভাপতি অভিষেক বন্দ্যোপাধ্যায় এবং তাঁর স্ত্রী রুজিরাকে জেরার জন্য ডেকেছিল সিবিআই। তারপর এবার সরাসরি শওকতের ডাক পড়ায় তা নিয়ে গত দু’দিন ধরে ব্যাপক শোরগোল দেখা যায় বঙ্গ রাজনীতির অন্দরে। 

এদিকে হাজিরা এড়িয়ে এদিন সিবিআইকে ই-মেল করেন শওকত। সময় চেয়েছেন আরও ১৫ দিনের। যদিও তারপর এদিন এলাকার এক কর্মী সভায় সিবিআই তলব নিয়ে মুখ খোলেন তিনি। রীতিমতো হুঙ্কারের সুরে ক্যানিংয়ের দোর্দণ্ড প্রতাপ তৃণমূল নেতা বলেন, “কয়লা পাচার তো অনেক দূরের কথা, যদি ঘুঁটে পাচারের কোনও প্রমাণ দিতে পারে সেদিন ফাঁসির মঞ্চে ঝুলব।আমাদের দল থেকে এক বিশ্বাঘাতক মিরজাফর যে ওই দলে চলে গিয়েছে। প্রতিদিন তাঁর বাবার কাছে গিয়ে বলছে, বাবা তৃণমূলের ওই নেতাটাকে একটু টাইট দিতে হবে। তার জন্য তোমার মন্ত্র প্রয়োগ করো। মন্ত্রটা কী? সিবিআইকে কাজে লাগাও।ইডিকে কাজে লাগাও”। 

এখানেই না থেমে বিজেপি নেতৃত্বের বিরুদ্ধে চাঁচাছোলা ভাষায় আক্রমণ শানিয়ে তিনি বলেন,“প্রতিদিন সকাল হলেই টেলিভিশনের পর্দায় চোখ রাখলে দেখবেন কোনও না কোনও তৃণমূল নেতাকে ডেকে পাঠিয়েছে সিবিআই। কিন্তু, বিজেপি করলে আর সিবিআই-ইডি ডেকে পাঠায় না”। অন্যদিকে এদিনের সভা থেকে অভিষেকের প্রশংসাতেও পঞ্চমুখ হতে দেখা যায় শওকতকে। তিনি বলেন, আমাদের ডায়মন্ড হারবারের নেতার নাম অভিষেক বন্দ্যোপাধ্যায়। এই ডায়মন্ড হারবার লোকসভার মানুষের জন্য তিনি প্রতিদিন প্রতিনিয়ত, “কোথায় রাস্তা করতে হবে, কোথায় পানীয় জল দরকার, কোথায় বিদ্যুতের প্রয়োজন, কোথায় নিকাশি ব্যবস্থা ভালো করতে হবে সেই খোঁজ-খবর নেন। তিনি ফোন করে যে কথা একবার কোনও নেতা মন্ত্রীকে বলেন, সে কাজ সঙ্গে সঙ্গে হয়ে যায়”। এদিকে কয়লা পাচার মামলায় ধীরে ধীরে তদন্তের সুতো গোটাতে শুরু করেছে সিবিআই। সেখানে আগামীতে অভিষেক-শওকতের ভবিষ্যত কী হয় এখন সেটাই দেখার।