TMC Leader: ‘বিজেপির হয়ে প্রচার করলেই সামাজিক বয়কট!’ খোলাখুলি ‘গেরুয়া রোকো’ দাওয়াই তৃণমূল নেতার
Purba Medinipur: পরে জেলার যুব তৃণমূল সহ সভাপতি সাফাইয়ের সুরে বলেন, উনি সামাজিক 'অবক্ষয়' বলতে চেয়েছিলেন।
পূর্ব মেদিনীপুর: রাজ্যে আসন্ন পুরসভার ভোট। কলকাতা পুরসভার ভোট মিটতেই শুরু হয়েছে বাকি ওয়ার্ডগুলির ভোটের প্রস্তুতি। শাসক থেকে বিরোধী সব দলগুলিই মাঠে নেমে পড়েছে জোরদার প্রস্তপতি নিয়ে। এরইমধ্যে বিজেপির হয়ে যারা প্রচার করবেন তাদেরকে সামাজিক ভাবে বয়কট করা হবে এই ধরনের বিতর্কিত মন্তব্য করে রাজনৈতিক শোরগোল ফেলে দিয়েছেন এক তৃণমূল নেতা।
কী বলেনছেন তিনি? মঙ্গলবার সন্ধ্যায় পূর্ব মেদিনীপুর জেলার তমলুকে ৪ নম্বর ওয়ার্ড তৃণমূল কংগ্রেসের কর্মী সভা আয়োজন করা হয়। সেখানে তৃণমূল কংগ্রেসের কর্মীসভায় বক্তব্য রাখেন শহর সভাপতি চঞ্চল খাড়া। তার বক্তব্যে তিনি বিজেপিকে তীব্র ভাষায় আক্রমণ করেন। যদিও এই নিয়ে তৃণমূল নেতার বক্তব্য কটাক্ষ করতে ছাড়েননি বিজেপিও ।
তৃণমূল নেতা চঞ্চল খাড়া বলেন, “আসন্ন পৌরসভা ভোটে বিরোধী গেরুয়া শিবিরের জামানত বাজেয়াপ্ত করতে হবে। তার পাশাপাশি যারা এর সঙ্গে যুক্ত তাদের বা প্রচারের থাকবেন তাদেরও সামাজিক ভাবে বয়কট করতে হবে। কারণ তারা কোনও কাজের না, মানুষের কাজে যেহেতু লাগে না তাই তাদের সামাজিক প্রয়োজন নেই। এখানেই শেষ নয়। এরপর তিনি বলেন কলকাতা কর্পোরেশন যদি ১১৬টি প্রার্থীর জামানত বাজেয়াপ্ত করতে পারে আমরা তাম্রলিপ্ত পৌরসভা মানুষ। আমরা কেন পারব না।”
ঘটনার পর রাজ্য যুব তৃণমূল সহ সভাপতি পার্থ সারথী মাইতি সাফাই দিয়ে বলেন, “তৃণমূল কংগ্রেসের পক্ষ থেকে একটি প্রতিবাদী সভা হয়। সেই সময় বক্তব্য রাখতে গিয়ে ভুল বসত উনি এমন মন্তব্য করে ফেলেছেন। এটি মন্তব্য আমার সমর্থন করি না। কারণ কোনও মানুষকে সামাজিক বয়কট করা উচিৎ নয়। উনি সামাজিক অবক্ষয় বলতে চেয়েছেন। বিজেপি যেভাবে ধর্মীয় গোঁড়ামি করছে তাতে সামাজিক অবক্ষয় হচ্ছে। সেই বিষয়টি বলতে চেয়েছিলেন।”
এই বিষয়ে আশীষ মণ্ডল, তমলুক সাংগঠনিক জেলা বিজেপির সহ সভাপতি বলেন, “এই তোলাবাজ নেতার সম্পর্কে কী বলব। সব রকম দুর্নীতির সঙ্গে যুক্ত এরা। কয়েকদিন আগে তমলুক হাসপাতালে একটি শিশুর পোস্টমর্টেম রিপোর্ট বদলানোর জন্য ওই হাসপাতালের চিকিৎসক সর্ব সমক্ষে মারধর করলেন। সেই দুর্নীতির পূর্ণ নেতা কে নিয়ে মন্তব্য করা উচিত নয়। আর সামাজিক বয়কট কারা হয় তা আগামীদিনে দেখা যাবে।আমাদের সাইড ফর করা দেওয়ালগুলো রাতের অন্ধকারে মুছে দিচ্ছে। তা তমলুকবাসী আগামী দিনের জবাব দেবে। একটু ধৈর্য ধরুন উনি নিজেই বয়কটের মুখে পড়বেন তা শুধু সময়ের অপেক্ষা।”