Amit Shah In Bengal: আজ বঙ্গে শাহি সফর, বিধানসভা নির্বাচনের পর নয়া স্ট্র্যাটেজির সন্ধানে বিজেপি
Amit Shah In Bengal:শুক্রবার সকালে বাগডোগরা থেকে হেলিকপ্টারে কোচবিহারের তিনবিঘা এলাকা পরিদর্শনে যাবেন স্বরাষ্ট্রমন্ত্রী। দুপুরে কলকাতায় ফিরে জোড়া বৈঠক। ভিক্টোরিয়া মেমোরিয়ালের অনুষ্ঠানে যোগ দেবেন অমিত শাহ।
কোচবিহার: রাজ্যে ২ দিনের সফরে কেন্দ্রীয় স্বরাষ্ট্রমন্ত্রী অমিত শাহ। বৃহস্পতিবার সুন্দরবন পরিদর্শনের পর বিএসএফ-এর সঙ্গে মধ্যাহ্নভোজ করবেন তিনি। দুপুরে শিলিগুড়িতে শাহের রোড-শো হওয়ার কথা। বিকেলে শিলিগুড়িতে নিউ জলপাইগুড়ি রেলওয়ে ইন্সটিটিউট মাঠে একটি সভায় যোগ দেবেন কেন্দ্রীয় স্বরাষ্ট্রমন্ত্রী। বিকেল চারটেয় বাগডোগরা বিমান বন্দরে নেমে রথে চেপে সভামঞ্চে আসবেন অমিত শাহ। যাত্রাপথে তেনজিং নোরগে ও ঠাকুর পঞ্চানন বর্মার প্রতিকৃতিতে ফুল দিয়ে শ্রদ্ধা জানাবেন শাহ। রাতে বাছাই করা নেতাদের সঙ্গে বিশেষ বৈঠক। শুক্রবার সকালে বাগডোগরা থেকে হেলিকপ্টারে কোচবিহারের তিনবিঘা এলাকা পরিদর্শনে যাবেন স্বরাষ্ট্রমন্ত্রী। শুক্রবার দুপুরে কলকাতায় ফিরে রয়েছে জোড়া বৈঠক। ভিক্টোরিয়া মেমোরিয়ালের অনুষ্ঠানে যোগ দেবেন অমিত শাহ।
এবারের শাহির বঙ্গ সফরের গুরুত্বপূর্ণ একটি পার্ট হল কোচবিহারের সীমান্তবর্তী এলাকা তিন বিঘা সফর। কেন্দ্রীয় স্বরাষ্ট্রমন্ত্রী পা রাখবেন। তাই সাজো সাজো রব কোচবিহারের তিনবিঘাতে। ভারত বাংলাদেশ সীমান্তবর্তী এই এলাকা অত্যন্ত গুরুত্বপূর্ণ। কেন, তার উত্তর পেতে পিছোতে হবে কয়েকটা বছর। ১৯৭৪ সালে যে চুক্তি হয়েছিল, সেই মোতাবেক বেরুবাড়ি পায় ভারত। তার বিনিময়ে বাংলাদেশের দুটি ছিটমহল দহগ্রাম ও আংড়াপোতার মানুষের যাতায়াতের জন্য তিন বিঘাকে ব্যবহার করে করিডর তৈরির প্রস্তাব দেওয়া হয়েছিল। তিন বিঘা করিডর বাংলাদেশকে ইজারা দিয়েছিল ভারত। প্রায় ৬০০ ফুট বাই ৩০০ ফুট সেই করিডর তৈরিকে কেন্দ্র করেই বিতর্ক তৈরি হয়েছে বিস্তর। পুলিশের সঙ্গে সংঘর্ষেও জড়িয়েছিলেন এলাকার মানুষ। মৃত্যুও হয়েছিল কয়েকজনের। সেই সব এখন ইতিহাস। তবে বাংলা সফরে এসে কেন তিন বিঘায় যাচ্ছেন কেন্দ্রীয় স্বরাষ্ট্রমন্ত্রী?
তিন বিঘায় শাহি সফরেরও গুরুত্বপূর্ণ দিক রয়েছে। তিন বিঘা করিডর দিয়ে বাংলাদেশের যানবাহন যাতায়াত করে। এখানে আন্তর্জাতিক সীমান্ত খোলা। এই এলাকায় আন্তর্জাতিক চোরাচালানের অভিযোগ দীর্ঘদিনের। বিশেষত সীমান্ত দিয়ে অনুপ্রবেশ ও চোরাচালানের ভূরি ভূরি অভিযোগ রয়েছে। এলাকার নজরদারি ও বিধিনিষেধ বাড়ানোর দাবিও পুরনো।
ছিটমহল বিনিময়ের পর বেরুবাড়ি ভারতের অন্তর্ভুক্ত হয়। কিন্তু এখানকার মানুষের কিছু জমি রয়ে গিয়েছে কাঁটাতারের ওপারে। বিএসএফের অনুমতি ছাড়া সেখানে কাজ করা কার্যত অসম্ভব। আমজনতার অভাব অভিযোগ তো রয়েছে। তবে কেন্দ্রীয় স্বরাষ্ট্রমন্ত্রীর তিন বিঘা সফরের সেটাই একমাত্র কারণ নয়। রাজনৈতিক মহলের দাবি, শাহি সফরের পিছনে কাজ করছে ভোটের অঙ্ক। গত লোকসভা নির্বাচনে কোচবিহারের সীমান্তবর্তী এলাকায় ভাল ফল করে বিজেপি। ২১-এর বিধানসভা ভোটে ছবি বদলায়। তৃণমূল ভাল ফল করে। স্থানীয় বিজেপি নেতাদের যুক্তি অনুপ্রবেশ ইস্যুই খারাপ ফলের অন্যতম কারণ। আর তাই বিধানসভা ভোটের পর প্রথম বাংলা সফরে এসে তিন বিঘাতেই পা রাখছেন শাহ। রাজনৈতিক মহলের মত, একদিকে আমজনতার সমস্যার কথা শোনা আর অন্যদিকে বিজেপির রাজনৈতিক প্রভাব বিস্তারের অঙ্কটাও ঝালিয়ে নেওয়া যাবে, এক ঢিলে দুই পাখি মারতে চাইছেন শাহ।