শাসককে ‘তালিবানি’ খোঁচা কেন্দ্রীয় মন্ত্রী নিশীথের, মুখ খুললেন নিজের শিক্ষাগত যোগ্যতা নিয়েও

শাসকদলের শাসন পদ্ধতি 'তালিবানি শাসনকে হার মানাচ্ছে' বলেও তোপ দেগেছেন প্রধানমন্ত্রী নরেন্দ্র মোদীর মন্ত্রিসভার সর্বকনিষ্ঠ মন্ত্রী।

শাসককে 'তালিবানি' খোঁচা কেন্দ্রীয় মন্ত্রী নিশীথের, মুখ খুললেন নিজের শিক্ষাগত যোগ্যতা নিয়েও
Follow Us:
| Edited By: | Updated on: Aug 19, 2021 | 10:27 PM

কোচবিহার: ভোট পরবর্তী হিংসা নিয়ে কলকাতা হাইকোর্ট রায় ঘোষণা করতেই আক্রমণের ঝাঁঝ আরও কিছুটা বাড়ালেন কেন্দ্রীয় স্বরাষ্ট্র প্রতিমন্ত্রী নিশীথ প্রামাণিক। ভোট মেটার পর হিংসার ঘটনা হোক, বা তিনি কোচবিহারে পা রাখার পর নারায়ণী সেনাকে আটক করা, সব আচরণে মধ্যে দিয়েই রাজ্য সরকার প্রতিহিংসামূলক প্রবৃত্তির প্রকাশ ঘটিয়েছে বলে এ দিন কটাক্ষ করেন তিনি। পশ্চিমবঙ্গের শাসকদলের শাসন পদ্ধতি ‘তালিবানি শাসনকে হার মানাচ্ছে’ বলেও তোপ দেগেছেন প্রধানমন্ত্রী নরেন্দ্র মোদীর মন্ত্রিসভার সর্বকনিষ্ঠ মন্ত্রী।

আদালতের রায় সম্পর্কে তাঁর প্রতিক্রিয়া জানতে চাওয়া হলে বৃহস্পতিবার নিশীথ প্রামাণিক বলেন, এই রায়ে তাঁরা খুশি। বিজেপি এবং মানবাধিকার কমিশন এতদিন ধরে যে দাবি করে এসেছিল, আদালতের আজকের রায়ে সেটাই মান্যতা পেয়েছে বলে জানান কোচবিহারের সাংসদ। সিবিআই তদন্তভার গ্রহণ করলে প্রকৃত দোষীরা শাস্তি পাবে বলে আশাবাদী তিনি। অন্যদিকে, নারায়ণী সেনাকে গ্রেফতার প্রসঙ্গে প্রশ্ন করা হলেই ক্ষোভে ফেটে পড়েন তিনি। প্রশাসনের উদ্দেশে তোপ দেগে বলেন, “পুলিশ ইচ্ছা করে এদেরকে গ্রেফতার করছে। তালিবানি শাসনকেও হার মানাচ্ছে বাংলা।”

তাৎপর্যপূর্ণভাবে, আজ প্রথমবার নিজের শিক্ষাগত যোগ্যতা সম্পর্কেও মুখ খুলতে শোনা যায় তাঁকে। গত কয়েকদিনে এই নিয়ে রাজনীতির জল কম ঘোলা হয়নি। নানা তরফে নানা ধরনের দাবি করা হয়েছে। এমনকী, তিনি আদৌ এই দেশের নাগরিক কি না এই সম্পর্কিত প্রশ্নও উঠে যায় সংসদে। নিজের নাগরিকত্ব সম্পর্কে কিছু না বললেও শিক্ষাগত যোগ্যতা নিয়ে কথা বলেন কেন্দ্রীয় মন্ত্রী। যদিও তিনি নিজের মুখে নিজের শিক্ষাগত কতটা সেটা জানাননি। শুধু বলেন, মন্ত্রীর শিক্ষাগত যোগ্যতা জানার জন্যে নির্দিষ্ট নিয়ম রয়েছে। সেই মতো আবেদন করলে এই বিষয়ে সঠিক তথ্য জানা যেতে পারে।

কেন্দ্রীয় মন্ত্রীর সাংবাদিক বৈঠকে আফগানিস্তান প্রসঙ্গও উঠে আসে। সেই সময় নিশীথ প্রামানিক জানান, ভারতের দিকে কোনও বৈদেশিক শক্তি চোখ তুলে তাকালে ভারত যথাযোগ্য জবাব দেওয়ার জন্য সর্বদা তৈরি রয়েছে। এর পাশাপাশি তিনি মনে করিয়ে দেন, পশ্চিমবঙ্গের অনেক জায়গার সীমান্তেই কাঁটাতার নেই। এই নিয়ে রাজ্য সরকার জমি অধিগ্রহণ করে দিলেই সঙ্গে সঙ্গে কাঁটাতার দেওয়ার কাজ শুরু করা হবে। আরও পড়ুন: এক ঢিলে দুই পাখি! এবার ১৫ দিন অন্তর SSKM-এ কয়েক ঘণ্টার জন্য যাবেন মমতা, কেন?