পশ্চিমবঙ্গের রাজনৈতিক প্রেক্ষাপটে কোচবিহার একটা গুরুত্বপূর্ণ কেন্দ্র। অসম সীমানায় অবস্থিত এই জেলাকে পৃথক রাজ্য ঘোষণার দাবি প্রায়শই ওঠে। ২০১৮ সালে অধিকাংশ পঞ্চায়েত তৃণমূলের দখলে থাকলেও পরের বছরই লোকসভায় উল্লেখযোগ্য ফল করে বিজেপি। এই রাজ্যে শক্তিও বাড়তে থাকে গেরুয়াশিবিরের। কিন্তু পদ্মের উপস্থিতি ম্লান করতে মরিয়া ঘাসফুল। সেই লড়াইয়ে জিতছে কারা? জেলা পরিষদ, পঞ্চায়েত সমিতি এবং গ্রাম পঞ্চায়েতের সম্পূর্ণ ফল দেখতে ক্লিক করুন সংশ্লিষ্ট জেলায়⇒
⇓⇓⇓⇓⇓⇓⇓⇓⇓⇓⇓⇓⇓⇓⇓⇓⇓⇓⇓⇓⇓⇓⇓⇓⇓⇓⇓⇓⇓⇓⇓⇓⇓
পূর্ব মেদিনীপুর || বাঁকুড়া || পশ্চিম বর্ধমান || পূর্ব বর্ধমান || বীরভূম || কোচবিহার || দক্ষিণ দিনাজপুর || হুগলি || হাওড়া || জলপাইগুড়ি || ঝাড়গ্রাম || উত্তর দিনাজপুর || মালদহ || আলিপুরদুয়ার || পঃ মেদিনীপুর || মুর্শিদাবাদ || নদিয়া || উত্তর ২৪ পরগনা || দক্ষিণ ২৪ পরগনা || পুরুলিয়া || দার্জিলিং || কালিম্পং |
⇑⇑⇑⇑⇑⇑⇑⇑⇑⇑⇑⇑⇑⇑⇑⇑⇑⇑⇑⇑⇑⇑⇑⇑⇑⇑⇑⇑⇑⇑⇑⇑⇑
………………………………………………………………………………………………………………………………………
জেলার বোর্ড ভিত্তিক ফল ২০২৩ | |||||||
---|---|---|---|---|---|---|---|
ত্রিস্তর | মোট আসন | তৃণমূল | বিজেপি | কংগ্রেস | বাম | অন্যান্য | ত্রিশঙ্কু |
গ্রাম পঞ্চায়েত | ১২৮ | ১০১ | ২২ | ০ | ০ | ০ | ৫ |
পঞ্চায়েত সমিতি | ১২ | ১২ | ০ | ০ | ০ | ০ | ০ |
জেলা পরিষদ | ৩৪ | ৩২ | ২ | ০ | ০ | ০ | ০ |
……………………………………………………………………………………………………………………………………
জেলা পরিষদ আসন ভিত্তিক ফল | ||
---|---|---|
দল | ২০১৮ | ২০২৩ |
মোট আসন | ৩৩ | ৩৪ |
তৃণমূল | ৩২ | ৩২ |
বিজেপি | ০০ | ০২ |
বাম | ০০ | ০০ |
কংগ্রেস | ০০ | ০০ |
অন্যান্য | ১ | ০০ |
পঞ্চায়েত সমিতি আসন ভিত্তিক ফল | ||
দল | ২০১৮ | ২০২৩ |
মোট আসন | ৩৬৬ | ৩৮২/৩৮৩ |
তৃণমূল | ৩৩১ | ৩০১ |
বিজেপি | ১২ | ৮১ |
বাম | ২ | ০০ |
কংগ্রেস | ০ | ০০ |
অন্যান্য | ২১ | ০১ |
গ্রাম পঞ্চায়েত আসন ভিত্তিক ফল | ||
দল | ২০১৮ | ২০২৩ |
মোট আসন | ১৯৬৬ | ২৫০৩/২৫০৭ |
তৃণমূল | ১৭২৩ | ১৮৩৪ |
বিজেপি | ১১৫ | ৬১১ |
বাম | ১১ | ১৭ |
কংগ্রেস | ৭ | ১৫ |
অন্যান্য | ১১০ | ২৬ |
কোচবিহার (Cooch Behar panchayat Election Results 2023) জেলার ইতিহাস সুদূর প্রসারিত। এই জেলা অতীতে বৃহত্তর কামরূপ রাজ্যের অন্তর্গত ছিল। ১৭৭৩ সালে ব্রিটিশ শাসনের অন্তর্ভুক্ত হয়েছিল। সেখানকার রাজা তখন ব্রিটিশদের কর দিতেন। ১৯৪৯ সালে পশ্চিমবঙ্গের একটি জেলা হিসাবে আত্মপ্রকাশ করে এই রাজ্য। বাম শাসনকালে কোচবিহারে ফরওয়ার্ড ব্লকের প্রভাব ছিল উল্লেখযোগ্য। কিন্তু ২০১১ সালে রাজ্যে পালা বদলের পর বামেদের হাত থেকে ক্ষমতা সরতে থাকে। ২০১৬ সালের বিধানসভা নির্বাচনে এই জেলার ৯টি বিধানসভা আসনের মধ্যে ৮টিতেই জিতেছিল তৃণমূল। যদিও এই জেলায় ক্ষমতা কুক্ষিগত করতে পারেনি ঘাসফুল শিবির। ২০১৮ সালেও পঞ্চায়েতে ক্ষমতা ধরে রাখে তৃণমূল। কিন্তু তার পর থেকেই বিজেপির প্রভাব উত্তরবঙ্গের অন্যান্য জেলার মতো কোচবিহারেও বাড়তে থাকে। ২০১৯ সালের লোকসভায় উল্লেখযোগ্য ফল করে বিজেপি। ২০২১ সালের বিধানসভায় ৭টি আসন পায় বিজেপি। তৃণমূল জেতে মাত্র ২টি আসনে। পরে অবশ্য উপনির্বাচনে একটি আসন বিজেপির থেকে ছিনিয়ে নেয় তৃণমূল। তবে শুধু প্রথাগত রাজনীতি হয়। এই জেলায় বার বার উঠেছে গ্রেটার কোচবিহারের দাবি। বাম ও তৎপরবর্তী আমলের বিভিন্ন সময় তা মাথাচাড়া দিয়েছে। রাজনীতির দিক থেকে দেখতে উত্তরবঙ্গের জটিল সমীকরণ লুকিয়ে রয়েছে এই জেলায়।
ভৌগলিক চরিত্র- কোচবিহার জেলা উত্তরবঙ্গের সীমান্তের এক জেলা। এই জেলায় বিস্তীর্ণ অংশে রয়েছে বাংলাদেশের সঙ্গে আন্তর্জাতিক সীমান্ত। কোচবিহার জেলার দক্ষিণাংশ জুড়ে রয়েছে বাংলাদেশ সীমান্ত। এর পূর্ব দিকে রয়েছে অসম সীমানা। কোচবিহার জেলা শেষ হলেই শুরু হয়ে যায় অসম। এর উত্তরে রয়েছে জলপাইগুড়ি ও আলিপুরদুয়ার জেলা। তিস্তা, জলঢাকা, তোর্সা, জলঢাকা, রায়ডাক নদী বয়ে গিয়েছে এই জেলা দিয়ে।
জেলার মোট আয়তন- ৩ হাজার ৩৮৭ বর্গ কিলোমিটার এলাকা রয়েছে কোচবিহার জেলায়। ৫টি মহকুমা রয়েছে এই জেলায় (কোচবিহার সদর, মেখলিগঞ্জ, মাথাভাঙা, তুফানগঞ্জ ও দিনহাটা)।
বিধানসভা আসন- ৯টি
মেখলিগঞ্জ (তফসিল জাতি), মাথাভাঙা (তফসিলি জাতি), কোচবিহার উত্তর (তফসিলি জাতি), কোচবিহার দক্ষিণ, শীতলকুচি (তফসিলি জাতি), সিতাই (তফসিলি জাতি), দিনহাটা, নাটাবাড়ি, তুফানজঞ্জ
লোকসভা আসন- ১
কোচবিহার জেলায় ১টি লোকসভা আসন রয়েছে। কোচবিহার লোকসভা কেন্দ্র।
পঞ্চায়েত সমিতি- ১২
আসন সংখ্যা- ৩৮৩
গ্রাম পঞ্চায়েত- ১২৮
আসন সংখ্যা- ২৫০৭
জেলা পরিষদ-
আসন সংখ্যা- ৩৪
২০১৮ সালের হিসেব
গ্রাম পঞ্চায়েত-
তৃণমূল- ১৭২৩
বিজেপি- ১১৫
বাম- ১১
কংগ্রেস- ৭
নির্দল- ১১০
পঞ্চায়েত সমিতি-
তৃণমূল- ৩৩১
বিজেপি- ১২
বাম- ২
নির্দল- ২১
জেলা পরিষদ-
তৃণমূল- ৩২
নির্দল-১