Train Accident: ময়নাগুড়ির রেল দুর্ঘটনায় এফআইআর, অভিযোগ অভিশপ্ত ট্রেনের চালকের বিরুদ্ধে
Binaker Guwahati Express derailed: এফআইআর দায়ের করেছেন উত্তম রায় নামে এক ব্যক্তি । উত্তম রায় ওই ট্রেনের এস-১৩ কামরায় ছিলেন । দুর্ঘটনার কবলে পড়া রেলের চালকের বিরুদ্ধে এফআইআর দায়ের করেছেন তিনি। দুর্ঘটনার জন্য চালককে দায়ী করেছেন তিনি।
কোচবিহার : ময়নাগুড়ি রেল দুর্ঘটনায় (Maynaguri Train Accident) এবার দায়ের হল এফআইআর। এফআইআর দায়ের করেছেন উত্তম রায় নামে এক ব্যক্তি । উত্তম রায় ওই ট্রেনের এস-১৩ কামরায় ছিলেন । দুর্ঘটনার কবলে পড়া রেলের চালকের বিরুদ্ধে এফআইআর দায়ের করেছেন তিনি। দুর্ঘটনার জন্য চালককে দায়ী করেছেন তিনি। উত্তম রায়ের অভিযোগ, ট্রেনের চালক ব্রেক করেন, আর তাই তিনি ও তার স্ত্রী আহত হন । অভিযোগকারী উত্তম রায়ের বাড়ি কোচবিহারে । ওই ব্যক্তি ১২ জানুয়ারি সকাল ৯ টায় তাঁর স্ত্রী অর্চনা রায় দাস এবং ছেলে দ্বীপ রায় ও মেয়ে দিয়া রায়কে নিয়ে জয়পুর স্টেশন থেকে রওনা দেন দুর্ঘটনার কবলে পড়া ট্রেনটিতে চড়ে। গন্তব্য ছিল নিউ কোচবিহার স্টেশন। কিন্তু তার আগেই দুর্ঘটনায় আহত হন উত্তম বাবু।
কী অভিযোগ জানাচ্ছেন আহত ট্রেন যাত্রী?
ময়নাগুড়ি রেল পুলিশ থানায় জমা দেওয়া ওই অভিযোগ পত্রে উত্তম দাস জানিয়েছেন, ট্রেনটি জয়পুর থেকে ছাড়ার পর নির্দিষ্ট স্টেশনে থামতে থামতে আসছিল। কিন্তু সংস্যা হয় নিউ জলপাইগুড়ি স্টেশন ছেড়ে ট্রেনটি এগোনোর পর। অভিযোগকারী জানিয়েছেন, ১৩ জানুয়ারি ৪ টে ৫ মিনিটে নিউ জলপাইগুড়ি স্টেশন ছাড়ার পরই কোচবিহারের দিকে প্রচণ্ড গতিতে চলতে শুরু করে। কিছুদিন এগোনোর পর আনুমানিক ৪ টে ৪৫ মিনিট নাগাদ ট্রিনটির চালক প্রচণ্ড জোরে ব্রেক কষেন যার জেরে তীব্র ধাক্কা লাগে এবং ট্রেনের বগিগুলি লাইনচ্যুত হয়ে যায়। ঘটনায় আহত হয় উত্তম রায়। তাঁর ছেলে দ্বীপ রায়ের মাথা ফেটে যায়। এছাড়া আরও অনেকে গুরুতর আহত হন। মারাও গিয়েছেন কয়েক জন। উত্তম রায়ের ছেলে ও স্ত্রী এখনও ভর্তি ময়নাগুড়ি হাসপাতালে। সেখানেই তাঁদের চিকিৎসা চলছে।
দুর্ঘটনার জন্য দায়ী করা হয়েছে চালককে
এদিকে এই গোটা ঘটনার দায় উত্তম বাবু ঠেলেছেন ট্রেনের চালকের বিরুদ্ধে। ময়নাগুড়ি রেল পুলিশের কাছে জমা করা অভিযোগ পত্রে তিনি বলেছেন, “ট্রেনের চালক কর্তৃত হঠাৎ বেপরোয়াভাবে ব্রেক কষার জন্যই এই মর্মান্তিক ঘটনা ঘটেছে।” উল্লেখ্য, ময়নাগুড়ির এই রেল দুর্ঘটনায় এখনও পর্যন্ত ৯ জনের মৃত্যুর খবর পাওয়া গিয়েছে। শুক্রবার দুর্ঘটনাস্থল পরিদর্শন করেন রেলমন্ত্রী অশ্বিনী বৈষ্ণব। প্রাথমিকভাবে তাঁর ধারণা, রেল লাইনে কোনওরকম সমস্যা ছিল না। কোনও যান্ত্রিক গোলযোগের কারণেই এই ঘটনা ঘটে থাকতে পারে। এদিকে ট্রেনের চালক বলছেন, তিনি দুর্ঘটনার কিছু আগে হঠাৎই ঝাঁকুনি অনুভব করেছিলেন। আর তারপরই তিনি আপদকালীন ব্রেক কষেন। পিছনে কী ঘটছিল, তা তাঁর পক্ষে জানা সম্ভব ছিল না বলেই জানান অভিশপ্ত ট্রেনের চালক।
আরও পড়ুন : Roopa Ganguly: রাজ্য-কেন্দ্রের ঝামেলা হলেই শুধু সিবিআই চাইতে হবে? ফের বিস্ফোরক রূপা