Udayan Guha: ‘আমাকেই গরুপাচারকারী বলে জেলে ঢুকিয়ে দিতে পারে’, কর্মীদের মানসিক প্রস্তুতি নিতে বললেন উদয়ন
Udayan Guha in Coochbehar: সভায় দাঁড়িয়ে রাজ্যের মন্ত্রী বলেন, 'যে কোনও সময় আমাকেই হয়ত ইডি-সিবিআই আমাকেই হয়ত গরু পাচারকারী বলে জেলে ঢুকিয়ে দিতে পারে। তার জন্য মানসিকভাবে প্রস্তুত থাকুন আপনারা।'
কোচবিহার: গরু পাচারকাণ্ডে গ্রেফতার হয়েছেন বীরভূম তৃণমূল জেলা সভাপতি অনুব্রত মণ্ডল। নাম জড়িয়েছে আরও অনেকের। এই টালমাটাল পরিস্থিতিতে আবার বিতর্কিত মন্তব্য করে বসলেন উত্তরবঙ্গ উন্নয়ন মন্ত্রী উদয়ন গুহ। গরু পাচারকাণ্ডে যে কোনও মুহূর্তে তাঁকে গ্রেফতার করতে পারে ইডি-সিবিআই। একটি জনসভা থেকে এমনটাই আশঙ্কা প্রকাশ করলেন তিনি।
শনিবার কোচবিহারের দিনহাটায় একটি সভা অনুষ্ঠিত হয়েছিল। সেই সভায় দাঁড়িয়ে রাজ্যের মন্ত্রী বলেন, ‘যে কোনও সময় আমাকেই হয়ত ইডি-সিবিআই আমাকেই হয়ত গরু পাচারকারী বলে জেলে ঢুকিয়ে দিতে পারে। তার জন্য মানসিকভাবে প্রস্তুত থাকুন আপনারা।’ এরপর মন্ত্রী বিএসএফ-এর বিরুদ্ধে ক্ষোভ উগরে দিয়ে বলেন, ‘বিএসএফ গরু পাচারের সাথে সরাসরি যুক্ত। বিএসএফ যুক্ত থাকলে বিএসএফের মন্ত্রীদের জেলের ভিতর থাকার কথা। কারণ বিএসএফ সিবিআইকে জানিয়েছে গরু প্রতি ২০০০ টাকা করে তাদের দেওয়া হতো।’
পাশাপাশি তিনি এ দিন আরও বলেন, ‘মন্ত্রী হয়ে আমি এক পা জেলার বাইরে ও এক পা জেলের ভেতরে ঢুকিয়ে রেখেছি। যে কোনও সময় ইডি অথবা সিবিআই আমাকে গরু পাচার এবং কয়লা পাচার কাণ্ডে জড়িয়ে জেলের ভিতরে ঢুকিয়ে দিতে পারে।’ গরুপাচার কাণ্ডে অনুব্রতর গ্রেফতারির পর থেকেই উত্তাল বাংলার রাজ্য-রাজনীতি। দলের নেতার গ্রেফতারির পর খোদ মুখ্যমন্ত্রী মমতা বন্দ্যোপাধ্যায় সরব হয়েছিলেন। বলেছিলেন, ‘কাল আমার বাড়িতে গেলে রাস্তায় নামবেন তো? আমার টা আমিই লড়ে নেব। কাল যদি আমার বাড়িতে সিবিআই যায়, আপনারা পথে নামবেন তো? রাস্তায় নেমে আন্দোলন করবেন তো? আমারটা আমি দেখে নেব। আপনাদেরটা কিন্তু আপনাদেরকেই দেখতে হবে।’ এ দিকে তৃণমূলের দাপুটে নেতার গ্রেফতারির পর আরও কোমর বেঁধে মাঠে নেমেছে বিরোধী শিবিরও। তাদের দাবি তদন্ত চলতে থাকলে আরও বড়-বড় নেতারা ধরা পড়তে পারে। এই অবস্থায় উদয়নের মন্তব্যে আরও জলঘোলা তৈরি হয়েছে বলে মনে করছেন রাজনৈতিক বিশেষজ্ঞরা।
কোচবিহারে বিজেপি-র সাধারণ সম্পাদক বিরাজ বসু বলেন, ‘ভবিষ্যৎদ্রষ্টা। উনি দুর্নীতিগ্রস্ত, সেটা সবাই জানে।’ এরপর তিনি মন্তব্য করেন বিএসএফ-এর জন্যই শান্তিতে ঘুমোতে পারেন রাজ্যবাসী।