Amarnath Yatra: অমরনাথ দর্শন করে প্রাণ যাওয়ার অবস্থা, অবশেষে বাড়ি ফিরলেন বালুরঘাটের ৭ জন
মন্দির দর্শনের আগে পরিবারের লোকেদের সঙ্গে কথা হয় এই সাতজনের। তার পর থেকেই যোগাযোগ বিচ্ছিন্ন হয়ে পড়ে।
বালুরঘাট: অবশেষে বাড়ি ফিরলেন অমরনাথ যাত্রায় গিয়ে আটকে পড়া বালুরঘাটের সাত বন্ধু। রবিবার গভীর রাতে নিজ নিজ বাড়িতে ফেরেন তাঁরা। রাতের বেলা বাড়ি ফিরলেও সোমবার সকালেও তাঁদের চোখেমুখে সেই ভয়াবহতার ছাপ পরিষ্কার। যখনই সেই প্রাকৃতিক রোষানলের কথা মনে পড়ছে তখনই শিউরে উঠছেন সকলেই। কোন ভাবেই সেই দৃশ্যের কথা ভুলতে পারছেন না। ঘরে ছেলে ঘরে ফেরায় স্বস্তিতে তাঁদের পরিবারের লোকেরা। সোমবার সকাল থেকেই প্রতিবেশী এবং নিকটজনরা তাঁদের খোঁজখবর নিতে বাড়িতে আসছেন। অনেকে ফোনে যোগাযোগ করছেন।
জানা গিয়েছে, গত ৫ জুলাই বালুরঘাটের পাগলিগঞ্জ এলাকার ৫ জন এবং খাসপুর ও মাহিনগর এলাকার দু’জন। মোট ৭ জন বন্ধু মিলে অমরনাথ যাত্রার জন্য বাড়ি থেকে রওনা দেযন। এর মধ্যে খাসপুরে পুষ্পজিৎ চক্রবর্তী ও মাহিনগরের রজত সরকার ছাড়াও পাগলিগঞ্জের রয়েছেন মুকুল সরকার, সুরঞ্জন দে দাস, তোতন হালদার, শুভ্রনীল মুন্সি ও তাপস ঘোষ। এরা সকলেই বন্ধু। ৫ তারিখ রাতে বাড়ি থেকে তারা বাসে করে শিলিগুড়িতে যায়। এরপর বাগডোগরা থেকে ৬ জুলাই থেকে বিমানে করে পৌঁছয় শ্রীনগর। সেখান থেকে গত ৮ জুলাই মন্দির দর্শনের জন্য রওনা হয়। এবং মন্দিরও দর্শন করেন। সে সময়ই মেঘ ভাঙা বৃষ্টি ও হরপা বান নেমে আসে।
মন্দির দর্শনের আগে পরিবারের লোকেদের সঙ্গে কথা হয় এই সাতজনের। তার পর থেকেই যোগাযোগ বিচ্ছিন্ন হয়ে পড়ে। এমন সময় খবরে আসে অমরনাথ যাত্রায় বহু পর্যটক মারা গেছে। এবং বহুজন নিখোঁজ। বিষয়টি জানার পরই পরিবারের লোকেরা খোঁজ খবর নিতে শুরু করে। যোগাযোগ করতে না পেরে বেড়েছিল উৎকণ্ঠা। পরিবারের সদস্যরা টিভির খবরে চোখ রাখছিলেন সারা দিন। অবশেষে গত শনিবার রাতে কথা হয় সাতজনের সঙ্গে বাড়ির লোকের। তারপর কিছুটা হলেও স্বস্তির নিশ্বাস ফেলেত তাঁদের পরিবার। অবশেষে গতকাল রাতে বাড়ি ফিরে আসেন তাঁরা।
এদিকে, বাড়ি ফিরে আসার পর ওই সাত জন জানিয়েছেন বালুরঘাটের আরো দু’জন অমরনাথ যাত্রায় গিয়ে আটকে পড়েছিলেন। বর্তমানে তাঁরাও সুস্থ রয়েছে এবং দু’জনেই বাড়ি ফিরে আসছেন। বাড়ি ফিরে আসা সাতজনের খোঁজ খবর গতকাল রাতেই নেয় জেলা প্রশাসন ও পুলিশ প্রশাসনের কর্মীরা।