Suicide: ২২ হাজারের মোবাইল কিনে দিতে পারেনি হত-দরিদ্র বাবা, গলায় কীটনাশক ঢেলে দিল ক্লাস নাইনের ছেলেটা
Suicide: গত ৮ তারিখ কীটনাশক খায় ওই কিশোর। বিষয়টি নজরে আসতেই তাকে গঙ্গারামপুর মহকুমা হাসপাতালে ভর্তি করা হয়। সেখানে দীর্ঘদিন চিকিৎসা চলছিল। অবশেষে সেখানেই চিকিৎসাধীন অবস্থায় গতকাল গভীর রাতে মৃত্যু হয় কিশোরের।
তপন: দাবি ছিল দামি মোবাইলের। কিন্তু, কিনে দিতে পারেনি পরিবার। এরইমধ্যে চরম কাণ্ড করে ফেলল ক্লাস নাইনের ছাত্রটা। খেয়ে ফেলল কীটনাশক। হল মৃত্যু। পরিবারের সদস্যরা বলছেন পছন্দ মতো মোবাইল কিনে না দেওয়াতেই অভিমানে আত্মঘাতী হয়েছে দক্ষিণ দিনাজপুর জেলার তপন থানার রামপুরের সূর্য সোরেন(১৫)। সে স্থানীয় রামপুর হাইস্কুলে নবম শ্রেণিতে পড়াশোনা করতো বলে জানা গিয়েছে। রবিবার দুপুরে গঙ্গারামপুর থানার পুলিশ দেহটি উদ্ধার করে তা ময়নাতদন্তের জন্য বালুরঘাট জেলা হাসপাতালে পাঠায়। পুরো ঘটনা খতিয়ে দেখছে গঙ্গারামপুর থানার পুলিশ।
সূত্রের খবর, মৃত কিশোরকে প্রায় বছর খানেক আগে একটি স্মার্টফোন কিনে দিয়েছিল পরিবার। বাবা পেশায় কৃষক। পরিবারের রয়েছে পাঁচজন। গত কিছু দিন ধরে ওই কিশোর ২২ হাজার টাকা দামের মোবাইল কিনবে বলে জেদ ধরে। কিন্তু, কীভাবে মিটবে ছেলের দাবি, তা ভেবেই কূলকিনারা পায়নি ওই হতদরিদ্র ওই পরিবারের লোকজন। তাও ছেলের জেদের কাছে হার মেনে মোবাইল কিনে দেওয়ার আশ্বাস দিয়েছিলেন সূর্যর বাবা বিপ্লব সোরেন। কিন্তু ছেলে সময় দিতে রাজি নয়। এতেই বকাবকি করেছিল পরিবার৷
শেষে গত ৮ তারিখ কীটনাশক খায় ওই কিশোর। বিষয়টি নজরে আসতেই তাকে গঙ্গারামপুর মহকুমা হাসপাতালে ভর্তি করা হয়। সেখানে দীর্ঘদিন চিকিৎসা চলছিল। অবশেষে সেখানেই চিকিৎসাধীন অবস্থায় গতকাল গভীর রাতে মৃত্যু হয় কিশোরের। পরিবারের সদস্যরা বলছেন, গেম খেলার জন্য দামি মোবাইল চেয়েছিল। কিন্তু অত টাকা ছিল না তাঁদের কাছে। সে কারণেই কিনে দিতে পারেননি। তবে চেষ্টা করা হচ্ছিল। কিন্তু, এরই মধ্যে যে এই কাণ্ড করে ফেলবে ওই কিশোর তা কিছুতেই আশা করতে পারেনি পরিবারের সদস্যরা।