MLA cleaned the hospital: অপরিচ্ছন্ন স্বাস্থ্যকেন্দ্র! ঝাঁটা হাতে নিজেই পরিষ্কারে নামলেন বিধায়ক
South Dinajpur: বিজেপি নেতৃত্বরা স্বাস্থ্য কেন্দ্র পরিষ্কার করার কাজে হাত লাগান।
হিলি: চারিদিকে পড়ে রয়েছে নোংরা জল, জমে উঠেছে আগাছা,এদিকে-ওদিকে ছড়িয়ে ছিটিয়ে রয়েছে প্লাস্টিক, ময়লা। স্বাস্থ্য-কেন্দ্রের চারিপাশে এই ধরনের আগাছা পড়ে থাকতে দেখে অবাক দক্ষিণ দিনাজপুর জেলার বালুরঘাট বিধানসভা কেন্দ্রের বিধায়ক ড: অশোক কুমার লাহিড়ী (Ashok Kumar Lahiri)। এরপর আর কোনও কথা না বলে নিজেই ঝাঁটা ধরলেন তিনি।
আজ সকালে স্বাস্থ্যকেন্দ্র পরিদর্শনে যান বালুরঘাট (Balurghat) বিধানসভা কেন্দ্রের বিধায়ক ড: অশোক কুমার লাহিড়ী (Ashok Kumar Lahiri)। অপরিষ্কার ও অপরিচ্ছন্ন স্বাস্থ্য কেন্দ্রের পরিবেশ দেখে নিজেই ঝাঁটা হাতে পরিষ্কার করতে থাকেন তিনি। এরপর বিজেপির জেলা সাধারণ সম্পাদক বাপি সরকার সহ অন্যান্য বিজেপি নেতৃত্বরা স্বাস্থ্য কেন্দ্র পরিষ্কার করার কাজে হাত লাগান। বিধায়ক ও কর্মীদের ঝাড়ু-কোদাল হাতে দেখা যায়।
এইবিষয়ে, বিজেপি বিধায়ক ড: অশোক কুমার লাহিড়ী জানিয়েছেন, হিলি ব্লকের ত্রিমোহিনী স্বাস্থ্যকেন্দ্রে অপরিচ্ছন্ন থাকায় স্থানীয় কর্মীরা তা পরিষ্কার করবেন বলে ঠিক করেন। আজ তা পরিষ্কার করা হবে বলে শুনতে পেয়ে দলীয় কর্মীদের সঙ্গে তিনিও পরিষ্কারে হাত লাগান। পাশাপাশি তিনি বালুরঘাট স্বাস্থ্য কর্মীদের সঙ্গে কথা বলেন। যেখানে স্বাস্থ্যকর্মীরা নিজেদের স্বাস্থ্য কেন্দ্রে শৌচালয় ও পানীয় জলের সমস্যার কথা বিধায়কের সামনে বলেন। বিধায়ক সেই শৌচালয় এবং পানীয় জলের সমস্যা সমাধানের আশ্বাস দেন। এরপর হিলির উদ্দেশ্যে রওনা দেন অশোকবাবু।
উল্লেখ্য, বিগত কয়েকদিন আগে টুইট বিতর্কে সামনে আসেন অশোক কুমার লাহিড়ি। অর্থনীতি নিয়ে টুইটে ‘লড়াই’ বর্ষিয়ান দুই রাজনীতিবীদের। একদিকে রাজ্যের অর্থমন্ত্রী অমিত মিত্র (Amit Mitra) অন্যদিকে অশোক লাহিড়ী (Ashok Kumar lahiri) ।
জানা গিয়েছে, টুইটারে একের পর এক শিল্পপতির দেশ ছেড়ে চলে যাওয়া নিয়ে টুইট করেছিলেন রাজ্যের অর্থমন্ত্রী। বিভিন্ন পরিসংখ্যান তুলে ধরে বিজেপি (BJP) পরিচালিত নরেন্দ্র মোদী (Narendra Modi) সরকারের বিরুদ্ধে সরব হন তিনি। সেই বক্তব্যের বিরুদ্ধে পাল্টা খোঁচা দেন বালুরঘাটের (Balurghat) বিজেপি (BJP) বিধায়ক অশোক কুমার লাহিড়ী (Ashok Kumar Lahiri)। তিনি লেখেন, “দেশ থেকে সৎ বিত্তশালীরা চলে গেলে আমিও উদ্বিগ্ন হব,কিন্তু বেশি উদ্বিগ্ন হচ্ছি শুধু বিত্তবানরা নয়,ছাত্র,পরিযায়ী শ্রমিক ও রুগীরাও অন্য রাজ্যে চলে যাচ্ছেন।গত ১০ বছরে বাংলা থেকে কত বিত্তশালী,ছাত্র,পরিযায়ী শ্রমিক ও রুগী অন্য রাজ্যে গেছেন, তার সংখ্যাও প্রকাশ করুন রাজ্যের অর্থমন্ত্রী।”
এই ঘটনার কয়েকদিন আগে টুইটারে ক্ষোভ প্রকাশ করে রাজ্যের অর্থমন্ত্রী অমিত মিত্র লিখেছিলেন, ‘গত সাত বছরে দেশ ছেড়েছেন মোট ৩৫,০০০ বিত্তশালী উদ্যোগপতি। তাঁর জমানায় এত বেশি ভারতীয় উদ্যোগপতি কেন দেশত্যাগ করেছেন?” অর্থমন্ত্রীর টুইটে দেওয়া পরিসংখ্যান অনুযায়ী, ‘২০১৯ সালে আরও ৭০০০ ও ২০২০ সালে ৫০০০ জন ভিন্ দেশে পাড়ি দিয়েছেন। তার পরেই অমিতের প্রশ্ন, ‘কেন এই ঘটনা ঘটেছে? আতঙ্কের কারণে?’ পাশাপাশি এই বিষয়ে সংসদে প্রধানমন্ত্রী ‘শ্বেতপত্র প্রকাশ করুন’ বলেও দাবি করেন বর্ষিয়ান এই রাজনীতিবীদ।
আরও পড়ুন: Tathagata Roy: ‘বিজেপিতে এখনও পিকের মাইনে দেওয়া নিচুতলার কর্মী রয়েছে’