Balurghat: স্কুলে পড়ে গিয়ে আঙুল কেটেছিল ক্লাস থ্রি-র পড়ুয়ার, হাসপাতাল থেকে ছাড়া পেতেই বিক্ষোভে অভিভাবকরা

Balurghat: স্কুল চলাকালীন তৃতীয় শ্রেণির পড়ুয়ার আঙুল কেটেছিল। হাসপাতাল থেকে আহত ছাত্র ছাড়া পেতেই তাঁকে নিয়ে এসে স্কুলে ঘেরাও করে বিক্ষোভ অভিভাবকদের। ব্যাপক উত্তেজনা বালুরঘাটে।

Balurghat: স্কুলে পড়ে গিয়ে আঙুল কেটেছিল ক্লাস থ্রি-র পড়ুয়ার, হাসপাতাল থেকে ছাড়া পেতেই বিক্ষোভে অভিভাবকরা
Follow Us:
| Edited By: | Updated on: Aug 02, 2022 | 11:30 PM

বালুরঘাট: স্কুল(School) চলাকালীন আঙুল কেটেছিল তৃতীয় শ্রেণির পড়ুয়ার। তারপর থেকে ভর্তি ছিল হাসপাতালে। এদিকে এ ঘটনায় স্কুল কর্তৃপক্ষের বিরুদ্ধে ব্যবস্থা না নেওয়ার অভিযোগ তুলেছিল রোহিত দাস নামে ওই পড়ুয়ার অভিভাবকেরা। যা নিয়ে চাপানউতর চলছিল কয়েকদিন ধরে। অবশেষে মঙ্গলবার আহত পড়ুয়া হাসপাতাল থেকে ছাড়া পেতেই তাঁকে নিয়ে স্কুলে গিয়ে ক্ষোভ প্রকাশ করলেন তাঁর অভিভাবকরা। সঙ্গী বিক্ষোভে সামিল হলেন অন্যান্য অভিভাবকরাও। এ ঘটনায় ব্যাপক উত্তেজনা ছড়াল বালুরঘাটে(Balurghat)। 

সূত্রের খবর, শুক্রবার বালুরঘাট শহরের ললিত মোহন আদর্শ উচ্চ বিদ্যালয়ের প্রাথমিক বিভাগে এ ঘটনা ঘটে। স্কুল চলাকালীন শিশুদের ধাক্কাধাক্কিতে গ্রীলে চাপা পড়ে ওই শিশুর আঙুলে আঘাত লাগে। পরবর্তীতে হাসপাতালে নিয়ে গেলে ওই আঙুল কেটে বাদ দেন চিকিৎসকরা। কিন্তু, পড়ুয়াদের অভিযোগ স্কুল চলাকালীন এ ঘটনা ঘটলেও স্কুল কর্তৃপক্ষের তরফে কোনওরকম ব্যবস্থা নেওয়া হয়নি। এমনকি ওই পড়ুয়াকে হাসপাতালে নিয়ে যাওয়ার কোনও ব্যবস্থা করা হয়নি। অভিভাবকদের এ বিষয়ে কিছু বলা হয়নি। মঙ্গলবার এ সমস্ত বিষয় নিয়েই স্কুলে বিক্ষেভ দেখান আহত পড়ুয়ার অভিভাবক সহ অন্যান্য পড়ুয়াদের অভিভাবকরাও। প্রশ্ন তোলা হয় পড়ুয়াদের নিরাপত্তা নিয়ে।

যদিও স্কুলের কর্তৃপক্ষের তরফে তাঁদের বিরুদ্ধে ওঠা সমস্ত অভিযোগ অস্বীকার করা হয়েছে। তাঁদের দাবি অভিভাবকদের তরফে যে অভিযোগ তোলা হয়েছে তা ঠিক নয়। তাঁদের আরও দাবি, ঘটনা ঘটার পরেই জানানো হয়েছিল আহত ছাত্রদের অভিভাবকদের। তাঁরা আসার পরেই আহত ছাত্রকে হাসপাতালে ভর্তি করা হয়। এদিকে একেবারে শহরের প্রাণকেন্দ্রে থাকা এ স্কুলে এ ধরনের ঘটনা ঘটায় স্বভাবতই তা নিয়ে ব্যাপক চাপানউতর শুরু হয়েছে নাগরিক মহলে। ঘটনা প্রসঙ্গে শিশুটির মা শিপ্রা দাস বলেন,  “স্কুলের তরফে তাড়াতাড়ি হাসপাতালে নিয়ে যাওয়া হয়নি। আমরা আসার পরে হাসপাতালে নিয়ে যায়। স্কুলের ভেতরেই বাচ্চারা হুড়োহুড়ি করে। তবুও স্কুল কর্তৃপক্ষ ঠিক করে দেখভাল করে না। আজকে স্কুলের গাফিলতির কারণেই আমার ছেলের হাতের আঙুল কেটে বাদ পড়েছে। আজকে এত বড় ক্ষতি হয়ে গেলে, তার দায় কে নেবে?”

অন্যদিকে এবিষয়ে স্কুলের ভারপ্রাপ্ত শিক্ষক প্রকাশ দাস বলেন, “শুক্রবার প্রেয়ার লাইনে যাওয়ার আগে ওই ঘটনাটি ঘটেছে। এরপরেই স্কুলেই প্রাথমিক চিকিৎসা করা হয়৷ শিশুর মাকে খবর দেওয়া হয়৷ হাসপাতালেও আমরা গিয়েছিলাম। চিকিৎসা সংক্রান্ত বিষয়ে আমরা সবরকমভাবে পাশে রয়েছি। কিন্তু তবুও কেন অভিভাবকরা এই অভিযোগ করছে বুঝতে পারছিনা। এতগুলো ছাত্র রয়েছে। সবসময় দেখে রাখতে একটু সমস্যা হয়। তবুও আমরা শিশুদের নজরে রাখি।” অন্যদিকে বিষয়টি জানার পর শিশুটির সঙ্গে দেখা করেন ডিপিএসসি চেয়ারম্যান সন্তোষ হাঁসদা। পুরো বিষয়টি খতিয়ে দেখার জন্য বুধবারই স্কুলের শিক্ষকদের ডেকে পাঠিয়েছেন তিনি।