Bank Fraud Case: করোনাকালে পাস বই আপডেট করেননি, পরে দেখলেন ২ লক্ষ টাকা উধাও

Fraud: অবশেষে গতকাল ওই ব্যাংকের পাস বই আপডেট করাতে চক্ষুচড়কগাছ হয়ে যায় মীনাদেবীর

Bank Fraud Case: করোনাকালে পাস বই আপডেট করেননি, পরে দেখলেন ২ লক্ষ টাকা উধাও
নেতামন্ত্রিদের নাম করে টাকা হাতানোর অভিযোগ। প্রতীকী চিত্র
Follow Us:
| Edited By: | Updated on: Oct 06, 2021 | 5:23 PM

বালুরঘাট: পুজোর আগেই বিপত্তি। এক নিমেষে খালি ব্যাঙ্ক অ্যাকাউন্টের (Bank account) প্রায় ২ লক্ষ টাকা। বিষয়টি নজরে আসতেই সাইবার ক্রাইমের দ্বারস্থ মহিলা।

জানা গিয়েছে, বালুরঘাট বুড়ি কালিতলা এলাকার বাসিন্দা মিনা ঘোষ কর্মকার৷ স্বামী কার্তিক কর্মকার অনেক দিন আগেই গত হয়েছেন। স্বামী মারা যাওয়ার পর থেকে কোনও রকম ব্যাঙ্কের পাশবই আপডেট করাননি তিনি। এক দু’বার ব্যাঙ্কে গেলেও আপডেট হয়নি বই৷ এর ফলে কত টাকা অ্যাকাউন্টে রয়েছে তা বুঝতেও পারেননি তিনি।

অবশেষে গতকাল ওই ব্যাংকের পাস বই আপডেট করাতে চক্ষুচড়কগাছ হয়ে যায় মীনাদেবীর মেয়ে কেয়া কর্মকারের। ব্যাঙ্কে দু’লক্ষ টাকা থাকলেও শেষ পর্যন্ত দেখা যায় মাত্র ৭ হাজার টাকা রয়েছে। এরপরই মীনাদেবীর পরিবার বুধবার বালুরঘাট থানায় অবস্থিত দক্ষিণ দিনাজপুর সাইবার থানায় লিখিত অভিযোগ দায়ের করেন। নিজের টাকা ফেরত পেতে চেয়ে থানায় অভিযোগ দায়ের হয়েছে। অভিযোগ পেতেই ঘটনার তদন্তে নেমেছে দক্ষিণ দিনাজপুর সাইবার থানার পুলিশ।

স্থানীয় বাসিন্দা সুব্রত মণ্ডল বলেন, “পাড়ার বউদির রাষ্ট্রায়ত্তে ব্যাঙ্কে অ্যাকাউন্টে ছিল। প্রায় এক বছর ধরে তিনি ব্যাঙ্কের পাসবই প্রিন্ট করাতে যান কিন্তু হয়না। প্রত্যেকদিন বলছে আজ হবে না, কাল হবে না। এই বলে বলে ওকে ঘুরিয়ে দেওয়া হয় ব্যাঙ্কের তরফে। তারপর গতকাল হঠাৎ করে গিয়ে দেখেন অ্যাকাউন্টে মাত্র সাত হাজার টাকা পড়ে রয়েছে। স্বাভাবিক ভাবেই কান্নাকাটি শুরু করেন তিনি। এরপর ব্যাঙ্কে ফোন করেন তিনি। ব্যাঙ্ক ম্যানেজার একটি স্টেটমেন্ট দেয়। সেই স্টেটমেন্টে দেখা যায় প্রতিমাসে হয় এক হাজার, নয় তিন হাজার এই ভাবে একটু একটু করে টাকা কেটে নিয়েছে পার্চেস বলে কোনও এক কম্পানি। এদিকে বউদিও কারও সঙ্গে ওটিপিও শেয়ার করেনি। ”

এর আগে ক্রিপ্টোকারেন্সিতে বিনিয়োগের প্রলোভন দেখিয়ে প্রতারণা করা হয় খোদ কলকাতায় (Kolkata)। বিদেশের প্রায় ৮ হাজার মানুষকে প্রতারিত করেছে কৈখালির সফ্টওয়্যার ডেভেলপার। ইতিমধ্যেই তাকে গ্রেফতার করে আদালতে পেশ করে বিধাননগর থানার পুলিশ।

১১ সেপ্টেম্বর । বিধাননগর পুলিশ কমিশনারেটে তখন আর পাঁচটা সাধারণ দিনের মতোই কর্মব্যস্ততা। এরই মধ্যে এক শীর্ষ আধিকারিকের মেল বক্সে একটি নোটিফিকেশন ভেসে ওঠে। মেলটি এসেছে ব্রিটেনের বাসিন্দা ডারফিন ডারেন নামে কোনও এক ব্যক্তির থেকে। মেলটি খুলতেই চক্ষু চড়কাগাছ পুলিশের।মেল মারফত অভিযোগ এসেছে, অরিজিৎ দে নামে এক ব্যক্তি পোকমোন নামে একটি ক্রিপ্টোকারেন্সি অ্যাপ তৈরি করে। সেই অ্যাপের শেয়ারে বিনিয়োগ করার জন্যে একটি সোশ্যাল মিডিয়া সাইটে বিজ্ঞাপন দেয়। সেই বিজ্ঞাপনে উৎসাহী হয়ে বিদেশের প্রায় ৮ হাজার মানুষ এই অ্যাপে বিনিয়োগ করে। প্রচুর টাকার শেয়ার বিক্রি হয়। সবমিলিয়ে আনুমানিক প্রায় ৬ লক্ষ মার্কিন ডলারের শেয়ার কেনেন বিনিয়োগকারীরা। ভারতীয় মুদ্রায় যার বাজার মূল্য ৪ কোটি ৪২ লক্ষ ৪০ টাকার আশেপাশে।

আরও পড়ুন: Weather Update: বঙ্গোপসাগরে ফের নিম্নচাপের আশঙ্কা! বর্ষাসুরে মাটি হতে পারে পুজোর আনন্দ