Balurghat: অ্যান্টি র্যাবিস ভ্যাকসিন রয়েছে, নেই সিরিঞ্জ! চরম হয়রানির অভিযোগ বালুরঘাটে
Balurghat: যদিও হাসপাতাল কর্তৃপক্ষ বলছে, কিছুদিন আগে এই সমস্যা হয়েছিল ঠিকই। তবে এখন সে সমস্ত অতীত।
দক্ষিণ দিনাজপুর: বালুরঘাট (Balurghat) জেলা সদর হাসপাতালে বেশ কিছুদিন ধরে অভিযোগ উঠছে, অ্যান্টি র্যাবিস ভ্যাকসিন দেওয়ার জন্য পর্যাপ্ত সিরিঞ্জ নেই। এর ফলে কুকুর বিড়ালের কামড় খেলে, কেউ যদি বালুরঘাট জেলা হাসপাতালে ইনজেকশন নিতে আসেন তা হলে তাঁকে ব্যাপক হয়রানির মুখে পড়তে হচ্ছে। হাসপাতালে সিরিঞ্জ না পেয়ে বাইরে থেকে কিনতে হচ্ছে রোগী ও পরিজনকে। বার বার বলা হলেও হাসপাতাল কর্তৃপক্ষ এ বিষয়ে কোনও পদক্ষেপ করে না বলেই উঠছে অভিযোগ। যার ফলে ভ্যাকসিন নিতে আসা রোগীদের মধ্যে ক্ষোভ বাড়ছে। যদিও হাসপাতাল কর্তৃপক্ষ বলছে, কিছুদিন আগে এই সমস্যা হয়েছিল ঠিকই। তবে এখন সে সমস্ত অতীত।
কুকুর, বিড়ালের দৌরাত্ম্য সর্বত্রই। সুযোগ পেলে ওরাও আঁচড়ে কামড়ে দিতে মোটেই কসুর করে না। এদিকে স্থানীয়রা জানান, কুকুর বা বিড়াল কামড়ালে প্রথমে বালুরঘাট হাসপাতালের বহির্বিভাগে টিকিট কেটে সেখানে লাইন দিয়ে চিকিৎসক দেখাতে হয়। এরপর সেখান থেকে পায়ে হেঁটে প্রায় ৫০০ মিটারের বেশি পথ গিয়ে সুপার স্পেশালিটি হাসপাতালের নিচ তলায় নাম নথিভুক্ত করতে হয়। ফের সেখান থেকে দোতলায় গিয়ে ভ্যাকসিন নিতে হয়। কিন্তু দীর্ঘ প্রায় কয়েক মাস ধরেই সাধারণ মানুষ বিভিন্ন প্রক্রিয়া সম্পন্ন করে যখন ভ্যাকসিন নেবেন, তখন হাসপাতালের নার্সরা বলছেন ‘সিরিঞ্জ নেই।’ এরপরে ফের বাইরে থেকে গিয়ে সিরিঞ্জ কিনে এনে তারপর ভ্যাকসিন নিচ্ছেন সাধারণ মানুষ।
প্রসঙ্গত, বালুরঘাট জেলা সদর হাসপাতালে প্রতিদিন বহু মানুষ এই ভ্যাকসিন নিতে আসেন। তারা কার্যত সমস্যায় পড়ছেন। বিশেষ করে বয়স্করা হাসপাতালে এসে হয়রানির মুখে পড়ছেন। অনেক মহিলাও আবার শিশুদের নিয়ে অযথা সমস্যায় পড়ছে। যার ফলে রোগী ও পরিজনদের মধ্যে ক্ষোভ বাড়ছে।
এ বিষয়ে বালুরঘাট হাসপাতালে আসা দয়াল বর্মন বলেন, “অ্যান্টি র্যাবিস ভ্যাকসিন নিতে এসেছিলাম। এসে শুনি সিরিঞ্জ নেই। ডাক্তার দেখার সময় ওখানে বলা হলে হয়রানির মুখে পড়তে হতো না। টাকাটা বিষয় নয়। কিন্তু ব্যাপক হয়রানির মুখে পড়তে হচ্ছে আমাদের। সরকারি হাসপাতালে সিরিঞ্জও বিনামূল্যে দেওয়া হলে সুবিধা হয়। লোককে হয়রানির মুখে পড়তে হয় না।”
আর এক রোগী মনোজ সূত্রধর বলেন, “আমি গত মাসেও ভ্যাকসিন নিতে এসে দেখি সিরিঞ্জ নেই। হাসপাতাল কর্তৃপক্ষকে তখনই জানিয়েছিলাম। কিন্তু কোন লাভ হয়নি। সিরিঞ্জের দাম কম হলেও অনেকেরই সিরিঞ্জ কেনার সামর্থ্য নেই। এ ভাবে সরকারি হাসপাতালে যদি বাইরে থেকে সিরিঞ্জ কিনে ভ্যাকসিন নিতে হয়, তাহলে আমরা কোথায় যাব?”
অন্যদিকে এ বিষয়ে বালুরঘাট হাসপাতালের সুপার পার্থসারথি মণ্ডল বলেন, “কিছুদিন আগে এই সমস্যাটি হয়েছিল। আসলে অনেক সময় সিরিঞ্জগুলো ঠিকমত সাপ্লাই দেয় না। অনেক সময় বাইরে থেকে নিয়ে আসতে হয়। হাসপাতালে যাতে ঠিকমত সিরিঞ্জের সাপ্লাই দেওয়া হয়, তা নিয়ে সংশ্লিষ্ট দফতরের সঙ্গে কথা বলেছি। এখন কোনও সমস্যা নেই।”