Fraud Case: এসপির সিল জাল করে পুলিশ কর্মীকেই লোন দেওয়ার চেষ্টা, গ্রেফতার তিন

South Dinajpur: বালুরঘাট শহরে নকল সিল ও সই জাল চক্রের খোঁজ আগেও পাওয়া গিয়েছে।

Fraud Case: এসপির সিল জাল করে পুলিশ কর্মীকেই লোন দেওয়ার চেষ্টা, গ্রেফতার তিন
তিনজনকে গ্রেফতার করেছে পুলিশ।
Follow Us:
| Edited By: | Updated on: Jan 29, 2023 | 11:10 PM

দক্ষিণ দিনাজপুর: পুলিশ সুপারের সিল জাল করে লোনের জন্য আবেদন করার অভিযোগ উঠল। শুধুমাত্র পুলিশ সুপারের সিল নয়, ডিএসপি পদমর্যাদার এক অফিসারের সইও জাল করা হয় বলে অভিযোগ। সিলও সই জাল করার অভিযোগে তিনজনকে গ্রেফতার করে বালুরঘাট (Balurghat) থানার পুলিশ। ধৃতদের নাম পার্থ বর্মন, দীপঙ্কর শীল ও বাচ্চু বর্মন। পুলিশ সূত্রে জানা গিয়েছে, দীপঙ্করের বাড়ি বালুরঘাটের বঙ্গিতে। বাকি দু’জন বালুরঘাটের চক হোসেনের বাসিন্দা। রবিবার ভোরে তিনজনকে গ্রেফতার করে পুলিশ। জানা গিয়েছে, ধৃতদের মধ্যে দু’জন লোনের এজেন্ট। তৃতীয়জন সিল বানানোর কাজ করেন। রবিবার ধৃতদের বালুরঘাট জেলা আদালতে তোলা হলে বিচারক চারদিনের পুলিশ হেফাজতের নির্দেশ দেন। এই অপরাধের জাল কতদূর ছড়িয়েছে তা জানতে বালুরঘাট থানার পুলিশ তদন্ত শুরু করেছে। দক্ষিণ দিনাজপুর জেলা পুলিশ সুপার রাহুল দে বলেন, “ব্যাঙ্কে ঋণ নেওয়ার জন্য আমার সিল ও প্রাক্তন ডিএসপির সই জাল করা হয়েছিল। তিনজনকে গ্রেফতার করা হয়েছে। ওরা এভাবেই লোন পাইয়ে দেওয়ার কাজ করত। এই চক্রের সঙ্গে আর কেউ জড়িত কি না তা খতিয়ে দেখা হচ্ছে।”

পুলিশ সূত্রে জানা গিয়েছে, এসপির সিল জাল ও ডিএসপির সই জাল করে নিচুতলার এক মহিলা পুলিশকে ওই লোন পাইয়ে দেওয়ার চেষ্টা করা হয়েছিল। লোনের জন্য যে কাগজ ব্যাঙ্কে পাঠানো হয়, ব্যাঙ্ক তা যাচাইয়ের জন্য বালুরঘাট থানায়ই পাঠায়। তখনই সামনে আসে বিষয়টি। ওই মহিলা পুলিশকর্মীর অভিযোগের ভিত্তিতেই তিনজনকে গ্রেফতার করে বালুরঘাট থানার পুলিশ। খোদ পুলিশকর্তাদের সই জাল করে এমন ঘটনায় শোরগোল পড়ে গিয়েছে বালুরঘাটে।

প্রসঙ্গত, বালুরঘাট শহরে নকল সিল ও সই জাল চক্রের খোঁজ আগেও পাওয়া গিয়েছে। এই চক্র এর আগেও অনেককে লোন পাইয়ে দিয়েছে বলে খবর। পুলিশ তিনজনকে হেফাজতে নিয়ে জিজ্ঞাসাবাদ করছে। পাশাপাশি একটি কম্পিউটারেরও খোঁজ পেয়েছে পুলিশ। সেখান থেকে তথ্য উদঘাটনের চেষ্টা চলছে।

পুলিশের অনুমান, শুধু সিল ও সই জালই নয়, অন্যান্য সরকারি নথিও জাল করে থাকতে পারে এই চক্র। ওই মহিলা পুলিশকর্মীকেও জিজ্ঞাসাবাদ করা হচ্ছে। যদিও তিনি এ নিয়ে কিছু জানেন না বলেই দাবি করেছেন বলে সূত্র মারফত জানা গিয়েছে। জেলা আদালতের সরকারি আইনজীবী (এপিপি ইনচার্জ) দেবাশিস কর্মকার বলেন, পুলিশ কর্তার সিল ও সই জালিয়াতির অভিযোগে ধৃত তিনজনকে পাঁচদিনের হেফাজতে চেয়েছিল পুলিশ। বিচারক গৈরিক রায় চার দিনের হেফাজত দেন।