তিন জনের পদত্যাগ, বাকি দু’জনকেই দেওয়া হল আলিপুরদুয়ারের প্রশাসক বোর্ডের দায়িত্ব
প্রশাসক বোর্ডের চেয়ারম্যানের দায়িত্ব নিয়েছেন তৃণমূল জেলা সভাপতি মৃদুল গোস্বামী অনুগামী মিহির দত্ত। বোর্ড সদস্য হিসাবে দায়িত্ব নিয়েছেন প্রদ্যুত্ আচার্য্য।
আলিপুরদুয়ার: তিন জন আগেই পদত্যাগ করেছেন। প্রশাসক বোর্ডের চেয়ারম্যান হিসাবে যাঁর নাম উঠে আসছিল, তাঁর গ্রহণযোগ্যতা ও অভিজ্ঞতা নিয়েও তৈরি হয়েছিল বিতর্ক। কিন্তু সব বিতর্কে জল ঢেলে আলিপুরদুয়ার (Alipurduar) পুরসভার প্রশাসক বোর্ডের বাকি দুই সদস্য দায়িত্বভার গ্রহণ করলেন। প্রশাসক বোর্ডের চেয়ারম্যানের দায়িত্ব নিয়েছেন তৃণমূল জেলা সভাপতি মৃদুল গোস্বামী অনুগামী মিহির দত্ত। বোর্ড সদস্য হিসাবে দায়িত্ব নিয়েছেন প্রদ্যুত্ আচার্য্য। আলিপুরদুয়ারের মহকুমা শাসক তথা আলিপুরদুয়ার পুরসভার বিদায়ী প্রশাসক শ্রী রাজেশ এদিন মিহির দত্তকে দায়িত্ব তুলে দিয়েছেন। মিহির দত্ত বলেন, ” অনেকে অভিযোগ করেছেন আমার অভিজ্ঞতা নেই। কিন্তু কারও অভিজ্ঞতা এক দিনে হয় না। আমাকে সরকার মানুষের সেবা করার সুযোগ দিয়েছেন। কাজের পরই প্রমাণ হবে আমি কতটা দক্ষ। মহকুমা শাসক আমাদের মাথার উপর থাকবেন। তার পরামর্শ নিয়েই কাজ করব।”
শহরের জল নিকাশি ও আবর্জনা প্রক্রিয়াকরণের কাজ সব থেকে বেশি গুরুত্ব দেবেন বলে জানান তিনি। এদিন মহকুমা শাসক শ্রী রাজেশ বলেন, ” সরকার নির্দেশ পাঠিয়েছে। পাঁচ সদস্যের প্রশাসক বোর্ড গঠনের নির্দেশ পাঠানো হয়েছে। মিহির দত্তকে চেয়ারম্যান করা হয়েছে। তিন সদস্য পদত্যাগ করেছেন।”
এদিন জেলা তৃণমূল কংগ্রেসের সভাপতি মৃদুল গোস্বামি বলেন, ” সরকার মিহির দত্তকে মনে করেছে প্রশাসক বোর্ডের চেয়ারম্যান হিসেবে সেরা। তাই তাঁকে এই দায়িত্ব দিয়েছে। কারা পদত্যাগ করেছেন, সে বিষয়ে আমি কিছুই জানি না। যা সিদ্ধান্ত নেওয়ার সরকার নেবে।”
আরও পড়ুন: অমিত শাহ আসার আগেই শান্তনুকে ‘সুরে বাঁধার’ চেষ্টা কৈলাসের, ছুটলেন মতুয়া-গড়ে
এদিন আলিপুরদুয়ার পুরসভার প্রশাসক বোর্ডের নতুন চেয়ারম্যানকে ঘিরে উচ্ছ্বাস দেখা গিয়েছে। গাঁদা আর গোলাপের মালা পরিয়ে নতুন চেয়ারম্যানকে বরণ করা হয় । উল্লেখ্য ২০১৮ সালের ২২ অক্টোবর আলিপুরদুয়ার পুরসভার মেয়াদ শেষ হয়। তারপর থেকেই আলিপুরদুয়ারের মহকুমা শাসক পুরসভার প্রশাসকের দায়িত্ব পালন করেছেন। এবার মিহির দত্তকে চেয়ারম্যান করে মোট পাঁচ জনের প্রশাসক বোর্ড গঠন করে রাজ্য সরকার। এর মধ্যে তিন সদস্য পদত্যাগ করায় বিতর্ক তৈরি হয়েছিল। কিন্তু বাকি দুই সদস্যই শনিবার পুরসভার দায়িত্বভার গ্রহণ করলেন।