Siliguri: ডেঙ্গি আক্রান্ত দুই তৃণমূল নেতার মৃত্যু, উদ্বেগ বাড়ছে শিলিগুড়িতে
Dengue: দুই ডেঙ্গি আক্রান্তের মৃত্য়ুর বিষয়ে গৌতম দেব বলেন, "ডেঙ্গিতে আক্রান্ত ছিলেন দুজনেই। তবে মার্ল্টি অর্গান ফেল করায় এদের মৃত্যু হয়েছে।"
শিলিগুড়ি: ডেঙ্গি (Dengue) পরিস্থিতি ক্রমেই উদ্বেগ বাড়াচ্ছে রাজ্যের। সংক্রমণে রাশ টানতে অবিরাম চেষ্টা চালিয়ে যাচ্ছে রাজ্যের স্বাস্থ্য দফতর। ফগিং মেশিন দিয়ে মশা তাড়ানোর ধোঁয়া স্প্রে, নর্দমায় গাপ্পি মাছ ছাড়া, সবই চলছে। কিন্তু তাই লাগাম টানা যাচ্ছে না। এবার ডাবগ্রামে ডেঙ্গিতে আক্রান্ত দুই তৃণমূল (TMC) নেতার মৃত্যু। মৃতদের মধ্যে একজন বিষ্ণু সাহা। তিনি তৃণমূলের ২৩ নম্বর ওয়ার্ডের সভাপতি ছিলেন। অপরজন নান্টু পাল। দুইজনই ডেঙ্গিতে ভুগছিলেন। তাঁরা উভয়েই ২৩ নম্বর ওয়ার্ডের বাসিন্দা। শুধু এই দুই তৃণমূল নেতাই নন, শিলিগুড়িতে (Siliguri) এখনও পর্যন্ত কমপক্ষে ২০ জন ডেঙ্গি আক্রান্ত রোগীর মৃত্য়ু হয়েছে। এখনও পর্যন্ত মোট আক্রান্তের সংখ্যা ৩ হাজার ৭৩৪।
শিলিগুড়িতে গত ২৪ ঘণ্টায় ডেঙ্গিতে আক্রান্তের সংখ্যা ৮৯ জন। এদিকে নতুন করে দুই ডেঙ্গু আক্রান্তের মৃত্যুর খবর প্রকাশ্যে আসতেই শোরগোল পড়ে গিয়েছে এলাকায়। শুরু হয়েছে রাজনৈতিক চর্চাও। প্রশ্ন উঠতে শুরু করেছে, শিলিগুড়ি পুরনিগমের ভূমিকায়। বিজেপি বিধায়ক শংকর ঘোষ বলেন, “সরকার কার্নিভাল, পুজো নিয়ে ব্যস্ত। ডেঙ্গিতে প্রাণহানি হচ্ছে। ডেঙ্গি রাজনীতির রং দেখে না৷ পুরনিগম সেভাবে উদ্যোগ নিচ্ছে না বলেই পরিস্থিতি ভয়াবহ হচ্ছে।”
এদিকে ওই দুই ডেঙ্গি আক্রান্তের মৃত্য়ুর বিষয়ে গৌতম দেব বলেন, “ডেঙ্গিতে আক্রান্ত ছিলেন দুজনেই। তবে মার্ল্টি অর্গান ফেল করায় এদের মৃত্যু হয়েছে।” তিনি আরও বলেন, “তিন চার দেরি করেছে চিকিৎসা করতে। ডেঙ্গি পজিটিভ ছিল। কিছু কোমর্বিডিটি ছিল। কিন্তু শেষ পর্যন্ত মাল্টি অর্গান ফেল করে।”
উল্লেখ্য, রাজ্যের স্বাস্থ্য দফতরের তরফে ইতিমধ্যেই বেশ কিছু পদক্ষেপ করতে শুরু করেছে। হাসপাতালগুলিতে পৃথক ফিভার ক্লিনিক চালু করা হয়েছে। শুধু সরকারি হাসপাতালই নয়, বেসরকারি হাসপাতালগুলির জন্যও একগুচ্ছ নির্দেশিকা জারি করা হয়েছে। বাড়ানো হয়েছে নমুনা পরীক্ষার সংখ্যাও। কারও জ্বর বা অন্য কোনও উপসর্গ থাকলেই ডেঙ্গি, ম্য়ালেরিয়ার টেস্টের পরামর্শ দেওয়া হচ্ছে।