Babita Sarkar: নম্বর বিভ্রাট, কম্পিউটারকে দায়ী করে কান্নায় ভেঙে পড়লেন ববিতা

Babita Sarkar: রবিবার টিভি৯ বাংলাকে একান্ত সাক্ষাৎকার দিতে-দিতে কেঁদে ফেলেন ববিতা। তাঁর দাবি, "আমি নিজে নম্বর ৪৪০ লিখতেই কম্পিউটারে অটোমেটিকভাবে ষাট শতাংশ নিয়ে নেয়। আমি অনিচ্ছাকৃতভাবে কোনও ভুল করিনি। আর ইচ্ছাকৃতভাবে ভুলের প্রশ্নই নেই।"

Babita Sarkar: নম্বর বিভ্রাট, কম্পিউটারকে দায়ী করে কান্নায় ভেঙে পড়লেন ববিতা
চোখে জল ববিতার (নিজস্ব চিত্র)
Follow Us:
| Edited By: | Updated on: Jun 04, 2023 | 4:51 PM

শিলিগুড়ি: শিক্ষকতার চাকরির সুপারিশপত্র বাতিল হতেই কান্নায় ভেঙে পড়লেন ববিতা সরকার (Babita Sarkar)। সুপারিশপত্র বাতিল করায় খাতায় কলমে ববিতা আর শিক্ষক রইলেন না। যদিও, এখনই হাল ছাড়তে নারাজ প্রাক্তন এই শিক্ষিকা। জানিয়ে দিলেন, লড়াই চালিয়ে যাবেন।

রবিবার টিভি৯ বাংলাকে একান্ত সাক্ষাৎকার দিতে-দিতে কেঁদে ফেলেন ববিতা। তাঁর দাবি, “আমি নিজে নম্বর ৪৪০ লিখতেই কম্পিউটারে অটোমেটিকভাবে ষাট শতাংশ নিয়ে নেয়। আমি অনিচ্ছাকৃতভাবে কোনও ভুল করিনি। আর ইচ্ছাকৃতভাবে ভুলের প্রশ্নই নেই।” একই সঙ্গে তিনি বলেন, “সমস্ত কাগজ খতিয়ে দেখিয়েই আমি চাকরি পাই। চাকরি পেতে এবং মেখলিগঞ্জে চাকরি করতে গিয়ে কার্যত সর্বস্বান্ত আমি। চাকরি পেয়েই আমি হতভাগ্য।”

এ দিন কমিশনের উপর ক্ষোভ উগরে দিয়ে ববিতা বলেন, “আমার দু’নম্বর বেড়েছিল। এরপর কমে গেল। তখন কমিশন দেখেনি? নাকি আমি মামলা করেছিলাম বলেই দেখেও সবাই চুপ ছিল?” এরপর চোখ মুছে কার্যত লড়াইয়ের হুঁশিয়ারি দেন ববিতা। বলেন, “আমি ডিভিশন বেঞ্চে গিয়েছি। সুপ্রিম কোর্টেও যাব। লড়াই ছাড়ব না। যে টাকা আমি পেয়েছিলাম তার থেকে যে তিন লক্ষ টাকা দিয়ে গাড়ি কিনেছিলাম তা সময়ে স্কুলে পৌঁছনোর জন্যেই। কারণ শিলিগুড়ি থেকে মেখলিগঞ্জ যাওয়ার সরাসরি বাস নেই। সেই গাড়িও আমি বিক্রি করে দিয়েছি। টাকাও ফেরত দেব।”

আর্থিক অভাব অনটনের প্রসঙ্গ তুলে চাকরিহারা ববিতা বলেন, “এই চাকরির মামলা করতে গিয়ে আমার দুটো বাচ্চা,পরিবার নানাভাবে মাতৃস্নেহ থেকে বঞ্চিত। ওদের পড়াশোনা প্রায় বন্ধ। মামলা লড়ার খরচটুকু আর জোগাতে পারছি না। কিন্তু লড়াই আমি চালাবোই। লড়বে ববিতা। দুর্নীতির বিরুদ্ধে লড়েছিলাম। লড়াই চলবে।” ববিতার বক্তব্য, “আমি চাই আমাদের ওএমআর প্রকাশিত হোক। ডিভিশন বেঞ্চে গিয়েছি। দ্রুত শুনানি হবে।”