North Bengal Medical College: পুজোর ছুটিতে সব ডাক্তার, হাসপাতালে ৪ দিনে মৃত্যু ৭০ জনের!
Doctor: সপ্তমীতে হাসপাতালের সমস্ত ওয়ার্ড মিলিয়ে মোট ২০ জন রোগীর মৃত্যু হয়েছে।
শিলিগুড়ি : পুজোর ছুটিতে গিয়েছেন হাসপাতালের সিনিয়র চিকিৎসকরা। সপ্তমী থেকে দশমী, মাত্র চারদিনে রোগীমৃত্যুর সংখ্যা ৭০ জন। যাকে কেন্দ্র করে উদ্বেগ বাড়ছে উত্তরবঙ্গ মেডিক্যাল কলেজ হাসপাতালে (North Bengal Medical College) ভর্তি রোগী ও তার পরিজনেদের মধ্যে। ‘সিনিয়র ডাক্তারা কবে আসবেন?’ এই প্রশ্নই এখন তাড়া করে বেড়াচ্ছে তাঁদের। যদিও, মৃত্যুর সংখ্যায় কোনও রকম উদ্বেগ দেখছে না হাসপাতাল কর্তৃপক্ষ। তাদের মতে চারদিনে সত্তর জন রোগীমৃত্যু স্বাভাবিক হারের মতই।
মেডিক্যাল কলেজ সুত্রে জানা গিয়েছে, সপ্তমীতে হাসপাতালের সমস্ত ওয়ার্ড মিলিয়ে মোট ২০ জন রোগীর মৃত্যু হয়েছে। অষ্টমীতে সেই সংখ্যাই বেড়ে হয়েছে ২১ । আর নবমী ও দশমীতে কিছুটা কমে দাঁড়িয়েছে যথাক্রমে ১৫ জন ও ১৪ । মৃতের সংখ্যার পাশাপশি পরিষেবা নিয়েও প্রশ্ন তুলেছেন অনেক রোগীর পরিজনেরাই। তাদের অভিযোগ, রোগী ভর্তি আছে। অথচ হাসপাতালের সিনিয়র ডাক্তাররাই ডিউটিতে নেই। এনিয়ে হাসপাতালকে তারা জিজ্ঞাসা করলে জানানো হয়েছে, ডাক্তাররা পুজোর ছুটিতে ঘুরতে গিয়েছেন।শনিবার তাদের ফের কাজে যোগ দেওয়ার কথা। তাই এতদিন জুনিয়র ডাক্তাররাই ছিলেন ভরসা। এতে ভালো চিকিৎসা পেতে বেশ কিছুটা সমস্যা হয়েছে।
যদিও, এই মৃত্যুর হার স্বাভাবিক বলেই জানাচ্ছে উত্তরবঙ্গ মেডিক্যাল কলেজ কর্তৃপক্ষ। হাসপাতাল সুপার সঞ্জয় মল্লিক জানান, ‘প্রতিদিন গড়ে এই হাসপাতালে যতজন রোগীর মৃত্যু হয় তাতে চারদিনে এই মৃত্যুর হার স্বাভাবিক বলেই মনে হচ্ছে। এর সঙ্গে ডাক্তারের অনুপস্থিতির কোনও সম্পর্ক নেই। যেহেতু এই হাসপাতালে বিভিন্ন জেলা থেকেই জটিল রোগে আক্রান্ত রোগীরা রেফার হয়ে এসেছিলেন, সেহেতু সংখ্যাটা এহেন মনে হচ্ছে।’
প্রসঙ্গত, বিগত কয়েকদিন ধরেই শ্বাসকষ্ট ও জ্বরে যে শিশুমৃত্যু হচ্ছিল। যাকে কেন্দ্র করে উদ্বেগ বাড়ছিল উত্তরবঙ্গ মেডিক্যাল কলেজ ও হাসপাতালে। এরই মাঝে স্বস্তি,পুজোর চারদিন শ্বাসকষ্ট নিয়ে শিশুর মৃত্যু হয়নি। তবে শনিবার উত্তরবঙ্গ মেডিক্যাল কলেজ হাসপাতালে মোট তিনটি শিশুর মৃত্যু হয়। যদিও হাসপাতাল সূত্রে খবর ওই শিশুরা অন্য রোগে মারা গিয়েছে। এদিকে পুজোয় কয়েকদিন ব্যাপক ভিড় ও তার থেকে করোনা সংক্রমণের সম্ভাবনা প্রসঙ্গে সুপার সঞ্জয় মল্লিক বলেন, ভিড় থেকে করোনা ছড়াচ্ছে কিনা তা দেখতে আগামী সাতদিন আমাদের টেস্ট রিপোর্ট ও রোগীর সংখ্যার উপর কড়া নজর রাখতে হবে। তবে আশঙ্কা থেকেই যায়। তাই আমরা করোনা মোকাবিলার প্রস্তুতি নিয়ে রাখছি। আক্রান্তর খবর এলেই যাতে সঠিক চিকিৎসা পরিষেবা পৌঁছে দেওয়া যায় তার পদক্ষেপ করা হচ্ছে।’
আরও পড়ুন: Viral Video: নিজের খালাকে জড়িয়ে ধরার জন্য নিরাপত্তারক্ষীর থেকে পরামর্শ চাইল বাচ্চা মেয়ে…