GTA Election: রবিবাসরীয় দুপুরে গুরুংয়ের সঙ্গে বৈঠক বিস্তা-বার্লার, কোন সমীকরণ চলছে পাহাড়ের রাজনীতিতে?

Raju Bista meets Bimal Gurung : রাজু বিস্তা আগেই হুঁশিয়ারি দিয়ে রেখেছেন, 'সর্বশক্তি দিয়ে এই নির্বাচন রুখব'। পাহাড়ের পরিস্থিতি নিয়ে যে তিনি দিল্লির নেতৃত্বকে রিপোর্ট দিচ্ছেন, সেই কথাও আগেই জানিয়েছেন। এবার জন বার্লাকে সঙ্গে নিয়ে গেলেন বিমল গুরুংয়ের সঙ্গে বৈঠক করতে।

GTA Election: রবিবাসরীয় দুপুরে গুরুংয়ের সঙ্গে বৈঠক বিস্তা-বার্লার, কোন সমীকরণ চলছে পাহাড়ের রাজনীতিতে?
বিমলকে হাসপাতালে দেখতে গেলেন রাজু বিস্তা (নিজস্ব ছবি)
Follow Us:
| Edited By: | Updated on: May 30, 2022 | 10:46 AM

দার্জিলিং: জিটিএ নির্বাচনের দিনক্ষণ ঘোষণা হয়ে গিয়েছে। আর তারপর থেকেই অনশনে বসেছেন গোর্খা জনমুক্তি মোর্চার নেতা বিমল গুরুং। পাঁচদিনের অনশনে ইতিমধ্যেই তাঁর শারীরিক অবস্থার অবনতি হতে শুরু করেছে। রক্তচাপ ওঠানামা করছে বিমল গুরুংয়ের। শরীরে সোডিয়াম ও পটাশিয়ামের মাত্রাও অনিয়ন্ত্রিত। চিকিৎসকরা ইতিমধ্যেই তাঁকে হাসপাতালে ভর্তি হওয়ার পরামর্শ দিয়েছেন। কিন্তু কিছুতেই অনশন মঞ্চ ছাড়তে চাইছেন না বিমল গুরুং। গতকাল, শনিবার বিমল গুরুংয়ের সঙ্গে দেখা করেন রাজ্যের মন্ত্রী বুলুচিক বরাইক। অরূপ বিশ্বাসও রয়েছেন শিলিগুড়িতে। এমনই এক পরিস্থিতির মধ্যে রবিবার গোর্খা নেতা বিমল গুরুংয়ের সঙ্গে বৈঠক করেন বিজেপি সাংসদ রাজু বিস্তা। বৈঠকে উপস্থিত ছিলেন বিজেপি সাংসদ জন বার্লাও।

উল্লেখ্য, আগের দিনই বিজেপি সাংসদ রাজু বিস্তা বিমল গুরুংকে চিঠি দিয়েছিলেন। সেখানে তিনি বলেছিলেন, একজন বিজেপি সাংসদ হিসেবে নয়, একজন গোর্খা হিসেবে তিনি বিমল গুরুংয়ের আন্দোলনের পাশে রয়েছেন। গোর্খা নেতা বিমল গুরুং অতীতে দীর্ঘদিন বিজেপির সঙ্গে ঘনিষ্ঠ সম্পর্কে ছিলেন। পাহাড় থেকে বিজেপি যে সাংসদ পেয়েছে, তাতেও গোর্খাদের একটি বড় ভূমিকা ছিল। পাহাড়ের রাজনীতিতে গোর্খাদের সমর্থন কারা পাচ্ছেন, এটি খুব গুরুত্বপূর্ণ একটি ভূমিকা পালন করে থাকে। কিন্তু এখন বিমল গুরুং তৃণমূলের সঙ্গে সখ্যতা বাড়ানোয়, পাহাড়ের রাজনীতিতে আবার খেলা ঘোরার একটি ইঙ্গিত পাওয়া গিয়েছিল।

কিন্তু এরই মধ্যে জিটিএ নিয়ে বেঁকে বসেন বিমল গুরুং। জিটিএ ভোটের প্রতিবাদে অনশনে বসেন। আর এই সুযোগ হাতছাড়া করতে চাইছে না পদ্ম শিবির। আবার বিমল গুরুংকে কাছে টানার প্রয়াস বিজেপির তরফে। রাজু বিস্তা আগেই হুঁশিয়ারি দিয়ে রেখেছেন, ‘সর্বশক্তি দিয়ে এই নির্বাচন রুখব’। পাহাড়ের পরিস্থিতি নিয়ে যে তিনি দিল্লির নেতৃত্বকে রিপোর্ট দিচ্ছেন, সেই কথাও আগেই জানিয়েছেন। এবার জন বার্লাকে সঙ্গে নিয়ে গেলেন বিমল গুরুংয়ের সঙ্গে বৈঠক করতে।

রবিবার সকালে জিটিএ নির্বাচন প্রসঙ্গে শুভেন্দু অধিকারী জানিয়েছেন, “পাহাড়ে গোর্খা সমাজের যে আবেগ রয়েছে, তাকে মর্যাদা না দিয়ে জিটিএ নির্বাচন করা উচিত নয়। জিটিএ ২০১৩ সাল থেকে শ’য়ে শ’য়ে কোটি টাকা কেন্দ্রীয় সরকার ও রাজ্য সরকারের থেকে পেয়েছে, কিন্তু তার কোনও অডিট হয়নি। পাহাড়ের মানুষ জিটিএ নিয়ে খুশি নয়। পাহাড়ের মানুষের আবেগকে মর্যাদা দেওয়া উচিত বলে আমি মনে করি।”