সুস্থ হয়ে বাড়ি ফিরছে স্ক্রাব টাইফাসে আক্রান্ত শিশুরা, পরিস্থিতি উন্নত হচ্ছে শিলিগুড়ির

শিলিগুড়ি: শিলিগুড়ির শিশুদের অবস্থা কিছুটা হলেও উন্নত হচ্ছে। স্ক্রাব টাইফাসে আক্রান্ত ৬ শিশুর মধ্যে অন্তত ৫ জনই সুস্থ হয়ে উঠেছে। তাদের হাসপাতাল থেকে ছুটি দেওয়া হয়েছে। এখনও একজন চিকিৎসাধীন রয়েছে। ছুটি পাওয়া তিন শিশুর বাড়ি শিলিগুড়িতেই, একজনের বাড়ি কার্শিয়াঙে। জ্বরের সংক্রমণ একটু হলেও কমেছে বলে জানাচ্ছেন চিকিৎসকেরা। উত্তরবঙ্গ মেডিকেল কলেজে ৬৭ শিশু ভর্তি রয়েছে। এর […]

সুস্থ হয়ে বাড়ি ফিরছে স্ক্রাব টাইফাসে আক্রান্ত শিশুরা, পরিস্থিতি উন্নত হচ্ছে শিলিগুড়ির
জ্বরে কাবু শিশুরা। ফাইল চিত্র।
Follow Us:
| Edited By: | Updated on: Sep 17, 2021 | 9:53 AM

শিলিগুড়ি: শিলিগুড়ির শিশুদের অবস্থা কিছুটা হলেও উন্নত হচ্ছে। স্ক্রাব টাইফাসে আক্রান্ত ৬ শিশুর মধ্যে অন্তত ৫ জনই সুস্থ হয়ে উঠেছে। তাদের হাসপাতাল থেকে ছুটি দেওয়া হয়েছে। এখনও একজন চিকিৎসাধীন রয়েছে। ছুটি পাওয়া তিন শিশুর বাড়ি শিলিগুড়িতেই, একজনের বাড়ি কার্শিয়াঙে।

জ্বরের সংক্রমণ একটু হলেও কমেছে বলে জানাচ্ছেন চিকিৎসকেরা। উত্তরবঙ্গ মেডিকেল কলেজে ৬৭ শিশু ভর্তি রয়েছে। এর মধ্যে জ্বরের উপসর্গ রয়েছে ১৫ শিশুর। তবে শিলিগুড়ি জেলা হাসপাতালে ৬৫ শিশু ভর্তি রয়েছে। চিকিৎসকদের দাবি, এটি অজানা জ্বর নয়, আরএস ভাইরাসের সংক্রমণ হয়েছে শিশুদের।

উত্তরবঙ্গ জুড়ে জ্বর বাড়তেই বিভিন্ন জেলা থেকে নমুনা আসছে শিলিগুড়িতে উত্তরবঙ্গ মেডিক্যাল কলেজের ভিআরডিএল এ। কিন্তু সেখানে আরএস ভাইরাস পরীক্ষা করার ব্যবস্থা নেই। ফলে পরিস্থিতি সামলাতে বাকি পরীক্ষার পাশাপাশি এই ভাইরাস চিহ্নিতকরণ পরীক্ষা শুরু কররে রাজ্যের অনুমোদন চেয়েছে ভিআরডিএল।

এদিকে, বৃহস্পতিবারই শিলিগুড়িতে জেলা হাসপাতালে ডেঙ্গুর সংক্রমণ নিয়ে ভর্তি হল বেশ কয়েকটি শিশু। এই মুহুর্তে জেলা হাসপাতালে ৮৪ জন শিশুর চিকিৎসা চলছে। সুস্থ হয়ে বাড়ি ফিরেছে ৫ শিশু।

নতুন করে শিশুমৃত্যুর ঘটনা ঘটেনি। তবে শিলিগুড়ি-সহ বিভিন্ন জেলা থেকে আসা বাচ্চাদের ভিড় বাড়ছে সেখানেও। গুরুতর অসুস্থ না হলে কাউকেই ভর্তি নেওয়া হবে না বলে মৌখিক ভাবে জানিয়ে দিয়েছে মেডিক্যাল কলেজ কর্তৃপক্ষ।

শিশুদের প্রত্যেকটি উপসর্গ নিয়ে চিকিত্সকরা সচেতন রয়েছেন বলে জানিয়েছেন। সরকারি হাসপাতালের পাশাপাশি নার্সিংহোম গুলিতেও ভিড় উপচে পড়ছে।

প্রাক্তন সরকারি হাসপাতালের শিশু রোগ বিশেষঞ্জ চিকিৎসক সুবল দত্ত বলেন, “প্রচন্ড ছোঁয়াচে ভাইরাস। আমরাও আক্রান্ত হয়ে পড়ছি। পুষ্টির অভাবে থাকলে জ্বরে আক্রান্ত বাচ্চাদের অর্গান ফেলিওর হচ্ছে। দ্রুত কমছে প্লেটলেট। আমরা চিকিৎসা চালাচ্ছি।”

জলপাইগুড়ি সদর হাসপাতালে জ্বর-সহ অন্যান্য উপসর্গ নিয়ে চিকিৎসাধীন ১০৫টি শিশু। আজ, শুক্রবারই জলপাইগুড়ি আসতে পারে কলকাতা থেকে বিশেষজ্ঞ চিকিৎসকদের টিম।

বৃহস্পতিবারই জেলা স্বাস্থ্য দফতরের তরফে জানানো হয়েছে, ইনফ্লুয়েঞ্জা জ্বর ছড়িয়েছে জলপাইগুড়িতে। উত্তরবঙ্গের জনস্বাস্থ্য বিভাগের ওএসডি চিকিত্সক সুশান্ত রায় বলেন, জলপাইগুড়ি থেকে স্কুল অফ ট্রপিক্যাল মেডিসিনে পাঠানো ১০ টি শিশুর নমুনা। পরীক্ষা করে দেখা গিয়েছে ৩ জন শিশুর মধ্যে আরএস ভাইরাস এবং আরও ৩ জন শিশুর ইনফ্লুয়েঞ্জা বি ভাইরাসের প্রমাণ পাওয়া গিয়েছে।

আরও পড়ুন: Mystery Fever: অজানা জ্বরে কাবু বাংলা, একের পর এক চিঠি কেন্দ্রীয় স্বাস্থ্যমন্ত্রীকে

আরও পড়ুন: জ্বর তো রয়েইছে, সঙ্গে আরও উপসর্গ! জলপাইগুড়ি সদর হাসপাতালে ভর্তি ১০৫ শিশু