Darjeeling: নিমেষে শুনশান দার্জিলিং! ঘরে ফেরার তাড়ায় উচাটন পর্যটকেরা, মওকা বুঝে বাড়ছে গাড়িভাড়া
Partial Lockdown: ঝকঝকে আবহাওয়ায় কাঞ্চনজঙ্ঘা দেখা আর স্নো ফলের আনন্দে মাতোয়ারা ছিলেন পর্যটকেরা। কিন্তু তাল কাটল নতুন বছরের দ্বিতীয় দিনেই।
দার্জিলিং: গত কয়েকদিন ধরে জমজমাট ছিল শৈল শহর দার্জিলিং (Darjeeling)। প্রায় ১০ বছর পর একুশের বর্ষশেষের আগে তুষারপাত হল দার্জিলিং শহরে। ঝকঝকে আবহাওয়ায় কাঞ্চনজঙ্ঘা দেখা আর স্নো ফলের আনন্দে মাতোয়ারা ছিলেন পর্যটকেরা। কিন্তু তাল কাটল নতুন বছরের দ্বিতীয় দিনেই।
৩ জানুয়ারি, সোমবার থেকেই রাজ্য়ে আংশিক লকডাউনের সিদ্ধান্ত ঘোষণা করেছে সরকার। বন্ধ থাকবে পর্যটন কেন্দ্রগুলি। আর রবিবার দুপুরে এই খবর পেতেই বাড়ি ফেরার চেষ্টা করছেন পর্যটকেরা। বিকেল থেকেই কার্যত শুনশান হয়ে গেল ম্যাল থেকে রোপওয়ে। হোটেলবন্দি পর্যটকেরা ভাবছেন কী ভাবে বাড়ি ফিরে যাবেন।
২৫ ডিসেম্বরের মতো নতুন বছরের প্রথম দিনেও পর্যটকদের ভিড়ে জমজমাট ছিল দার্জিলিং। ম্যাল, টয় ট্রেন, রোপওয়েতে পর্যটকদের ভিড় ছিল চোখে পড়ার মতো। উপরি পাওনা হিসাবে আছে শ্বেতশুভ্র কাঞ্চনজঙ্ঘা। শুক্রবার থেকেই পর্যটকদের ভিড়ে ঠাসা ছিল পাহাড়। এর মধ্যেই আচমকা কার্যত লকডাউন ঘোষণায় যেন দিশেহারা অবস্থা পর্যটকদের। আর এই মওকায় ভাড়া বেড়ে গিয়েছে গাড়ির।
রবিবার সন্ধ্যায় কার্যত শুনশান ম্যাল থেকে বাতাসিয়া। শনিবারও যেখানে আমোদপ্রিয় মানুষের ঢল ছিল, সেই টাইগার হিল, বাতাসিয়া লুপ, চিড়িয়াখানা, রোপওয়ে- সব জায়গায় এক ঝটকায় ভিড় উধাও। বন্ধ হচ্ছে যে পর্যটন কেন্দ্র! তাই বেড়াতে এসে বসে বসে কী করবেন আর, পর্যটকেরা চাইছেন তড়িঘড়ি বাক্সপ্যাঁটরা গুছিয়ে বাড়ি ফিরতে। কিন্তু টিকিট পাওয়ায় তো বেশ ঝক্কির।
বলা চলে হঠাৎ করেই আনন্দমুখর মুখগুলো ফ্যাকাশে হয়ে গিয়েছে। আর স্ট্যান্ডে যে মানুষদের দেখা যাচ্ছে, তাঁদের অধিকাংশই পিঠে ও হাতে তল্পাতল্পি গুছিয়ে গাড়ি ধরতে এসেছেন। কেউ কেউ বাড়ি ফিরছেন আজই। এই সুযোগে গাড়ি ভাড়াও বেড়েছে অনেকটা। যেমন বিহার থেকে বেড়াতে আসা এক যুবকের কথায়, “আজই ফেরার কথা ভাবছি। কিন্তু গাড়ি পাচ্ছি না। ইচ্ছামতো ভাড়া চাওয়া হচ্ছে। অপেক্ষা করছি…” তাঁর পাশে দাঁড়ানো সহযাত্রীও মাথা নেড়ে তেমনটাই জানাচ্ছেন।
এদিকে এখন অবদি সপ্তাহান্তে পাহাড়ে একজন করে করোনা আক্রান্ত পাওয়া যাচ্ছে। কিন্তু সারা ভারতে, বিশ্বব্যাপী করোনা পরিস্থিতিতে সংক্রমণ বাড়ছে। তাতে হয়ত দার্জিলিংয়ে প্রভাব পড়া শুধু সময়ের অপেক্ষা বলে জানাচ্ছেন দার্জিলিং জেলা হাসপাতালের ডিএমও সুভাষ চন্দ। তিনি আরও যোগ করেন, “দ্বিতীয় ঢেউ আসার সময় যে ব্যবস্থা রেখেছিলাম, তাই রয়েছে। এখন হয়ত সপ্তাহে একজন করোনা আক্রান্ত পাওয়া যাচ্ছে। তবে পরিকাঠামো প্রস্তুত রেখেছি”।
আরও পড়ুন: Local Trains partially suspended: সোম থেকে সন্ধে ৭ টার পর বন্ধ লোকাল ট্রেন, রাজ্যে ফিরল করোনার কড়াকড়ি আরও পড়ুন: COVID Review Meeting: জেলাভিত্তিক টিকার প্রয়োজনীয়তায় আরও নজর, রাজ্যগুলির সঙ্গে করোনা পর্যালোচনা বৈঠকে স্বাস্থ্যমন্ত্রক