Siliguri School: বকেয়া মাত্র ১০০০ টাকা! তৃতীয় শ্রেণির পড়ুয়ার সঙ্গে এমন অমানবিক কাজ করল স্কুল

Siliguri: রাহাসের প্রিয় বিষয় অঙ্ক। বাড়িতে সেই অঙ্ক বই নিয়েই স্যাঁতসেতে অন্ধকার ঘরে দিন কাটছে রাহাসের।

Siliguri School: বকেয়া মাত্র ১০০০ টাকা! তৃতীয় শ্রেণির পড়ুয়ার সঙ্গে এমন অমানবিক কাজ করল স্কুল
রাহাস মুখার্জী, তৃতীয় শ্রেণীর ছাত্র (নিজস্ব ছবি)
Follow Us:
| Edited By: | Updated on: Feb 21, 2022 | 7:02 PM

শিলিগুড়ি: টানা দু’বছর। করোনায় জর্জরিত দেশ। কাজ হরিয়েছেন অনেকে। কীভাবে সংসার চলবে তাও জানতেন তাঁরা। এদিকে, করোনাকালে এতদিন বন্ধ ছিল স্কুল। শিশুদের পড়াশোনা বলতে একমাত্র ভরসা ছিল অনলাইন। এর মধ্য়েই করোনাকালে বকেয়া সামান্য স্কুল-ফি। সেই কারণে পড়ুয়ার অনলাইন ক্লাস ও স্কুলে আসা বন্ধ করে দিলেন শিক্ষিকারা।

শিলিগুড়িতে উঠে এল এমনই অমানবিক ছবি। শিলিগুড়ির চার নম্বর ওয়ার্ডে থাকে তৃতীয় শ্রেণীর ছাত্র রাহাস মুখার্জী ও তার পরিবার। ওই পড়ুয়ার বাবা পেশায় ফিজিওথেরাপিস্ট। স্কুল-ফি দিতে পারেনি পরিবার। সেই কারণে গত চার মাস ধরে বন্ধ ছাত্রের অনলাইন ক্লাস। সোমবার স্কুল খুললেও বাড়িতেই বই খাতা ছড়িয়ে দিন কাটছে ছোট্ট রাহাসের।

রাহাসের বাবা বিশ্বরূপ মুখার্জি বলেন, “ফিজিও থেরাপি করে সংসার চালাই। ছোট থেকেই পাড়ায় এক ইংরেজী মাধ্যম প্রাইমারি স্কুলে পড়ত রাহাস। কখনোই প্রতি মাসের বেতন সঠিক টাইমে দিতে না পারলেও গত পাঁচ বছরে যখনই টাকা পেয়েছি বকেয়া স্কুল ফি জমা দিয়েছি। কিন্তু কোভিডকালে আয় তলানীতে ঠেকেছে আমার। সামান্য কয়েক হাজার টাকা বকেয়া থাকায় আমার ছেলের অনলাইন ক্লাস গত নভেম্বর থেকে বন্ধ করে দেওয়া হয়েছে। আজ স্কুল খুললেও স্কুলে যেতে পারছে না সে। কিছুদিন আগে টেস্টের খাতা জমা দিতে গিয়েছিল আমার ছেলে। ওকে বলে দেওয়া হয়েছে বকেয়া টাকা জমা না দিলে স্কুলে না আসতে।”

রাহাসের প্রিয় বিষয় অঙ্ক। বাড়িতে সেই অঙ্ক বই নিয়েই স্যাঁতসেতে অন্ধকার ঘরে দিন কাটছে রাহাসের। শিশুটি জানিয়েছে, বাবা ফিস দিতে না পারায় কার্যত ঘরে বসে দিন কাটছে। আজ স্কুল খুলেছে। সেও চায় স্কুলে যেতে। টিভি নাইন বাংলার কাছে এমন অমানবিক ঘটনার কথা জেনে পরিবারের পাশে দাড়িয়েছেন প্রাক্তন তৃণমূল কাউন্সিলর পরিমল মিত্র। তিনি জানান, “এমনটা হতে পারে না। আমরা স্কুলকে বলেছি ছাত্রের পড়া বন্ধ করা যাবে না। প্রয়োজনে আমরা পরিবারকে আর্থিক সহায়তা দেব ৷”

যে ইংরেজি মাধ্যম প্রাথিমিক স্কুলে রাহাস পড়াশুনো করে সেই স্কুলের প্রধান শিক্ষিকা জানান, “প্রায় সাত হাজার টাকা বকেয়া রয়েছে ৷ তাই নভেম্বরে ক্লাস সাসপেন্ড করেছি। কী ভুল করেছি। আমাদের শিক্ষিকাদের বেতন দেব কীভাবে? তবে তিনি জানান, এর পর আর স্কুলের কাছে পরিবারটি তাদের সমস্যা নিয়ে কিছুই জানান নি।

আরও পড়ুন: AMTA Student Death: আনিস রহস্যমৃত্যুতে স্বতঃপ্রণোদিতভাবে মামলা হাইকোর্টে