Dhupguri: পরপর দু’টি ভুল ইঞ্জেকশন দিয়ে ফের বিতর্কে ধূপগুড়ি হাসপাতাল
Dhupguri hospital news: পরপর দু'টি ইনজেকশন দেওয়ার পর অসুস্থ হয়ে পড়ে শিশুটি। ঘামতে শুরু করে সে।
ধূপগুড়ি: প্রস্রাবের অসুখ নিয়ে হাসপাতালে চিকিৎসা করাতে এসেছিল এক শিশু। কিন্তু ওষুধের জায়গায় তাকে দেওয়া হল ভুল ইঞ্জেকশন। ঘটনার পরই অসুস্থ হয়ে পড়ে শিশুটি। ধুপগুড়ি গ্রামীণ হাসপাতালের ঘটনা।
হাসপাতাল সূত্রে খবর, ধূপগুড়ির ১৩ নম্বর ওয়ার্ডের শ্রীনগর কলোনীর বাসিন্দা সাগর সূত্রধর। পেশায় ব্যবসায়ী তিনি। আজকে প্রস্রাবের সমস্যা নিয়ে তিনি নিজের তিন বছরের ছেলে প্রিয়াংসকে ধুপগুড়ি গ্রামীণ হাসপাতালে চিকিৎসা করাতে নিয়ে আসেন। পরিবার সূত্রে খবর, সেই সময় ধূপগুড়ি গাদং এলাকার আরেক রোগী হাতে ব্যথা নিয়ে চিকিৎসা করাতে আসেন। সেই রোগীকে চিকিৎসক দু’টি ইঞ্জেকশন প্রেসক্রাইব করে বলে জানা যায়। প্রিয়ংস এবং ওই রোগীর প্রেসক্রিপশন গিয়ে পৌঁছায় কর্তব্যরত নার্সদের কাছে। এরপরই ঘটে বিপত্তি। সেই সময় ইমারজেন্সিতে প্রচুর রোগীদের ভিড় ছিল। সেই কারণে পরপর একাধিক প্রেস্ক্রিপশন নার্সের কাছে জমা পড়ে। ঘটে যায় দুর্ঘটনা। অভিযোগ, শিশুটিকে ইঞ্জেকশন লেখা না হলেও অন্য রোগের জন্য লেখা ইনজেকশন দিয়ে দেওয়া হয় তাকে। পরপর দু’টি ইনজেকশন দেওয়ার পর অসুস্থ হয়ে পড়ে বাচ্চাটি। ঘামতে শুরু করে সে। পরিবারের তরফে অভিযোগ ওঠে এরপরও শিশুটিকে পর্যবেক্ষণে রাখার কোনও ব্যবস্থা করা হয়নি। ঘটনায় ব্যাপক ক্ষোভ প্রকাশ করেন সেই শিশুটির পরিবারের সদস্যরা। রীতিমতো চিকিৎসককে ঘিরে বিক্ষোভ দেখাতে থাকে তারা।
পরিবারের সদস্যদের আরও অভিযোগ যেই প্রেসক্রিপশন এর ভিত্তিতে ইঞ্জেকশন দেওয়া হয়েছিল সেটিকেও সরিয়ে ফেলা হয়েছে হাসপাতাল থেকে। অন্যদিকে, যার ইঞ্জেকশন পাওয়ার কথা ছিল সেই রোগী ইঞ্জেকশন না পেয়ে অসুস্থ হয়ে পড়ে। রোগীর পরিবারের লোকেরা চিকিৎসকের কাছে এই গাফিলতির কারণ জানতে চাইলে উল্টে কর্তব্যরত সেই চিকিৎসক তর্ক শুরু করে দেন বলে অভিযোগ। যদিও বিষয়টি খতিয়ে দেখার কথা বলেছেন ধুপগুড়ি ব্লক স্বাস্থ্য আধিকারিক ডক্টর সুরজিৎ ঘোষ।
উল্লেখ্য, গত কিছুদিন ধরে সংবাদ শিরোনামে উঠে এসেছে শিশুদের অজানা জ্বর। উত্তরবঙ্গ থেকে শুরু হয়েছিল। জ্বরের (Unknown Fever) প্রকোপ বাড়তে বাড়তে দক্ষিণবঙ্গেও ছড়িয়েছে সংক্রমণ। শনিবার রাজ্যে ফের মৃত্যু হল দুই শিশুর। মালদায় জ্বর ও শ্বাসকষ্টের উপসর্গ নিয়ে ভর্তি হয়েছিল এক ৫ মাসের শিশু। শনিবার সকালেই তার মৃত্যু হয়। কিন্তু, মৃত্য়ুর কারণ কী তা নিয়ে স্পষ্ট কোনওকিছুই বলতে পারছেন না চিকিত্সকেরা। অন্যদিকে, হেমতাবাদের ইসলামপুরের বাসিন্দা রিনা সেন নামে এক নাবালিকার মৃত্যু হয়েছে এই অজানা জ্বরের প্রকোপেই। তবে তার মৃত্যু নিয়ে নানা মুনির নানা মত! কেউ বলছেন হার্ট অ্যাটাক, কেউ বা বলছেন হাই সুগার! মৃত্যু নিয়ে এ হেন বিভ্রান্তি কেন অভিযোগ মৃতার পরিবারের। রাজ্যে এই মুহূর্তে অজানা জ্বরে মৃত্যু হল মোট ১১জন শিশুর।
রাজ্য জুড়ে অজানা জ্বরের এই দাপটকে ‘মরসুমি জ্বর’ বলেই ব্যাখ্যা করেছে রাজ্য স্বাস্থ্য দফতর। আশ্বাস দিয়েছেন খোদ মুখ্যমন্ত্রী মমতা বন্দ্যোপাধ্যায়। জ্বরের প্রাদুর্ভাব নিয়ে অবশেষে মুখ খুলেছেন স্বাস্থ্য অধিকর্তা অজয় চক্রবর্তী। তিনি বলেন, “বছরের এ সময় প্রতিবারই শিশুদের মধ্যে ভাইরাসের প্রকোপ দেখা যায়। এ বছর সংখ্যাটা বেশি। তার মানে এই নয় যে কিছুই ঘটেনি। রোগ যখন হচ্ছে। শিশুদের আইসিইউয়ে ভর্তি যখন করতে হচ্ছে তখন কিছু একটা কারণও নিশ্চিত রয়েছে।” পাশাপাশি রাজ্য স্বাস্থ্য দফতর কী কী পদক্ষেপ করতে চলেছে তাও স্পষ্ট করেন স্বাস্থ্য় অধিকর্তা।
আরও পড়ুন: Nandigram: বোমা বিস্ফোরণ-কাণ্ডের তদন্তে সিআইডি, নতুন ‘চাল’ নয় তো? উঠছে প্রশ্ন