জাওয়াদের প্রভাবে তিনদিনের বৃষ্টিতে ক্ষয়ক্ষতির চাঞল্যকর রিপোর্ট জেলা কৃষি দফতরের হাতে। সেই রিপোর্টে দেখা গিয়েছে, ২৯ হাজার ৪৬০ হেক্টর আমন ধানের পাশাপাশি ডালশস্য, যেমন মুসুরি, ছোলা, তৈলবীজ, সরিষা, আলু সহ একাধিক উৎপাদিত শস্য ব্যাপকভাবে ক্ষতিগ্রস্ত।
জেলা কৃষি দফতরের তথ্য অনুযায়ী, ২৯ হাজার ৪৬০ হেক্টর আমন ধান এখনো মাঠের মধ্যেই পড়ে যা বৃষ্টির প্রভাবে সম্পূর্ণরূপে ক্ষতিগ্রস্ত।
জেলায় মোট ৭ হাজার ২৪৫ হেক্টর ডাল শস্য বোনা হয়েছিল। যার মধ্যে ৫ হাজার ৯৪৫ হেক্টর জলের তলায়, ৩ হাজার ৬২ হেক্টর মুসুরির ডালের জমি মধ্যে ১ হাজার ২৫২ হেক্টর ক্ষতিগ্রস্ত। ছোলা ৫০০ হেক্টর বোনা হয়েছিল ৪৪৬ হেক্টর ক্ষতিগ্রস্ত। তৈলবীজ- সরষে ২ হাজার ৬৪৭ হেক্টর বোনা হয়েছিল যারমধ্যে ক্ষতিগ্রস্ত ২ হাজাপ ২০৯ হেক্টর।
জেলার অধিকাংশ মানুষেরই প্রধান জীবিকা চাষবাস। সেক্ষেত্রে প্রধান জীবিকা যখন ব্যাপকভাবে ক্ষতিগ্রস্ত তখন পথে বসা ছাড়া আর কোনও উপায় দেখছে না পূর্ব মেদিনীপুরের চাষিরা । সরকারের কাছে কাতর আবেদন এই ক্ষতি কিছুটা লাঘুব করুক সরকার । চাষিদের এরূপ দুর্দিনে কীভাবে সরকারকে পাশে পাবে সে বিষয়ে সংশয়ে রয়েছেন চাষীরা ।
তবে কৃষি আধিকারিক মৃণাল কান্তি জানান, সরকার ক্ষতিপূরণ দেওয়া শুরু করলে শস্য বিমার আওতায় থাকা চাষিরা সহজেই পেয়ে যাবেন কিন্তু প্রশ্ন উঠছে যে সমস্ত চাষিরা এখনও শস্য বিমার আওতায় আসেনি তারা কীভাবে পাবেন এই ক্ষতিপূরণ? অধিকারকে আরও বক্তব্য, একাধিক ব্লক কৃষি আধিকারিক যেমন মাঠে মাঠে গিয়ে ক্ষয়ক্ষতির পরিমাণ খতিয়ে দেখছেন তেমনি বাকি চাষীদের শস্য বিমার আওতায় আনার জন্য অ্যাপ্লিকেশন প্রসেসিংও চলছে জেলার বিভিন্ন ব্লকে । সব মিলিয়ে ক্ষতিপূরণ না পেলে চাষিরাযে পথেই বসবে তার স্পষ্ট ইঙ্গিত দিয়েছেন জেলার রবিশষ্য ও অনান্য শষ্য উৎপাদনকারী চাষীরা।