Dhaniakhali: উপপ্রধানের দাদাগিরি? মারধরের চোটে হাসপাতালে ভর্তি ৪
Dhaniakhali: মীমাংসা করতে এলাকার বিধায়ক রমেন্দু সিংহ রায় এদিন উভয় পক্ষকে ডেকেছিল। কিন্তু তার আগেই গ্রামবাসীদের উপর পাল্টা আক্রমণের অভিযোগ উপপ্রধান ও তাঁর দলবলের বিরুদ্ধে। ঘটনায় চার গ্রামবাসী গুরুতর আহত হয়েছেন বলে জানা গিয়েছে।
ধনিয়াখালি: কিছুদিন আগেই তুলকালাম কাণ্ড বেঁধে গিয়েছিল হুগলির ধনিয়াখালির (Dhaniakhali) গোপীনাথপুরে। সেখানে গোপীনাথপুর-২ গ্রাম পঞ্চায়েতের উপপ্রধানের দাদার উপর চড়াও হয়েছিলেন গ্রামবাসীদের একাংশ। গ্রামবাসীদের অভিযোগ ছিল, উপপ্রধান ইয়াসিন মল্লিকের দাদা হামজা মল্লিক নাকি এলাকা থেকে ধান ও গরু চুরির চেষ্টা করছিলেন। সেই সন্দেহে গ্রামবাসীরা ওই উপপ্রধানের দাদাকে বাতিস্তম্ভে বেঁধে মারধর করেছিলেন বলে অভিযোগ। সেই ঘটনার পর মীমাংসা করতে এলাকার বিধায়ক রমেন্দু সিংহ রায় এদিন উভয় পক্ষকে ডেকেছিল। কিন্তু তার আগেই গ্রামবাসীদের উপর পাল্টা আক্রমণের অভিযোগ উপপ্রধান ও তাঁর দলবলের বিরুদ্ধে। ঘটনায় চার গ্রামবাসী গুরুতর আহত হয়েছেন বলে জানা গিয়েছে।
জানা গিয়েছে, বিগত কিছুদিন ধরেই ওই এলাকায় গোয়ালঘর থেকে গরু এবং গোলা থেকে ধান চুরি হয়ে যাচ্ছিল। কিন্তু কে বা কারা এই ঘটনার সঙ্গে জড়িত ছিল, তার কিনারা করতে পারছিলেন না গ্রামবাসীরা। এমন অবস্থায় গ্রামবাসীরা এলাকায় সিসি ক্যামেরাও বসিয়েছিলেন। এরপর সেই সিসি ক্যামেরাতেই দেখা যায় এক ব্যক্তি সেখানে রাতের অন্ধকারে ঘোরাঘুরি করছে। তাকে ধরে প্রশ্ন করতে গ্রামবাসীরা জানতে পারে, সে মুর্শিদাবাদ থেকে রাজমিস্ত্রির কাজ করতে সেখানে এসেছে। আরও চেপে ধরায় সে স্থানীয় উপপ্রধান ইয়াসিন মল্লিকের দাদা হামজা মল্লিকের নাম বলে। এরপরই উত্তেজিত গ্রামবাসী হবিবপুর এলাকায় দুইজনকে ইলেকট্রিক পোস্টে বেঁধে বেধড়ক মারধর করে বলে অভিযোগ। এমনকী তাদের গলায় জুতোর মালাও পরানো হয় বলে জানা গিয়েছে।
সেই ঘটনার পর মীমাংসা করার জন্য এদিন উভয় পক্ষকে ডেকে পাঠিয়েছিলেন এলাকার বিধায়ক রমেন্দু সিংহ রায়। অভিযোগ, সেখানে যাওয়ার সময় নিশ্চিন্তপুরে গ্রামবাসীদের উপর চড়াও হয় উপপ্রধান ও তাঁর লোকজন। লোহার রড,বাঁশ দিয়ে মারধরের অভিযোগ উঠেছে। তাতে চারজন গ্রামবাসী গুরুতর আহত হয়েছেন এবং জখম অবস্থায় তাঁদের ধনিয়াখালি হাসপাতালে ভর্তি করা হয়। এদিকে ঘটনার পর থানায় লিখিত অভিযোগ জানানো হয়েছে। সেই অভিযোগের পর থেকেই এলাকায় বেপাত্তা ওই উপপ্রধান। তবে পুলিশ ইতিমধ্যেই উপপ্রধানের চার আত্মীয়কে গ্রেফতার করেছে। ধৃতদের নাম আবদুল্লা মল্লিক, আরাফত মল্লি, ইসা মল্লিক ও ফারুক মল্লিক।
এদিকে বিষয়টি নিয়ে বিধায়ক রমেন্দু সিংহ রায়ের সঙ্গে যোগাযোগ করা হলে তিনি বলেন, “কয়েক দিন ধরে গ্রামে গরু এবং টলি ভ্যান চুরি হয়েছে বলে অভিযোগ করে গ্রামবাসীরা। সেটা নিয়ে একটা গন্ডগোল হয়। পুলিশকে বলেছিলাম বিষয়টা দেখতে। দু’পক্ষই আবেদন করেছিল মীমাংসা করে দিতে। আজ পার্টি অফিসে ডাকা হয়েছিল, কিন্তু ওরা আসেনি। একটা ঘটনা হয়েছে শুনলাম, খোঁজ নিয়ে বলতে পারব।”
বিষয়টি নিয়ে খোঁচা দিতে ছাড়েননি বিজেপি নেতা দিলীপ ঘোষ। তিনি বলেন, “সাধারণ মানুষের উপর অত্যাচার হচ্ছে। তাঁদের ধনসম্পত্তি চুরি হচ্ছে। তারা তো প্রতিবাদ করবেনই। লোক যারই হোক, কোনও পার্টির লোক কেউ হয় না।”