Arpita Mukherjee: অর্পিতার মামাবাড়ির সবাই সরকারি চাকুরে, সেখানেও যেতেন পার্থ! কী বলছেন প্রতিবেশীরা?

Arpita Mukherjee: অর্পিতার মামাবাড়ির প্রতিবেশীদের কাছ থেকে উঠে আসছে বেশ কিছু চাঞ্চল্যকর তথ্য। প্রতিবেশীরা জানাচ্ছেন, মন্ত্রী পার্থ চট্টোপাধ্যায় প্রায়শই অর্পিতার সঙ্গে তাঁর মামাবাড়িতে আসতেন।

Arpita Mukherjee: অর্পিতার মামাবাড়ির সবাই সরকারি চাকুরে, সেখানেও যেতেন পার্থ! কী বলছেন প্রতিবেশীরা?
অর্পিতার মামাবাড়ি
Follow Us:
| Edited By: | Updated on: Jul 25, 2022 | 3:20 PM

হুগলি: হুগলির জাঙ্গিপাড়ার মথুয়াবাটি গ্রাম। আকাশি রঙা তিন তলা একটি বাড়ি। পাঁচিল দিয়ে চতুর্দিক ঘেরা। রীতিমতো দুর্গের মতো একটি বাড়ি। এটিই অভিনেত্রী অর্পিতা মুখোপাধ্যায়ের মামাবাড়ি। অভিনেত্রী গ্রেফতারের পর থেকেই ক্ষোভে ফুঁসছেন গ্রামবাসীরা। এই বাড়ির গেটে এখন ঝুলছে তালা। প্রতিবেশীরা জানাচ্ছেন, অর্পিতার গ্রেফতারের পর থেকেই মামা সপরিবারে ঘরছাড়া। গেটে ঝুলছে তালা।

অর্পিতার মামাবাড়ির প্রতিবেশীদের কাছ থেকে উঠে আসছে বেশ কিছু চাঞ্চল্যকর তথ্য। প্রতিবেশীরা জানাচ্ছেন, মন্ত্রী পার্থ চট্টোপাধ্যায় প্রায়শই অর্পিতার সঙ্গে তাঁর মামাবাড়িতে আসতেন। অর্পিতার মামাবাড়িতে দুর্গাপুজো হয়। গত কয়েক বছরে পুজোয় এসেছেন মন্ত্রী। মামাবাড়িতে সারাদিন থাকতেন।

অর্পিতা মামাবাড়ির পাশেই একটি বাড়ি তৈরি করেছিলেন। সেখানেই মন্ত্রী আসতেন বলে জানাচ্ছেন গ্রামের বাসিন্দারা। এক মহিলা প্রতিবেশী বললেন, “মন্ত্রীকে নিয়েই অর্পিতা আসতেন। গ্রামে অনেকবারই এসেছেন। কিন্তু সব থেকে যে ব্যাপারটা নিয়ে বলব, সেটা হল চাকরি। অর্পিতার মামারবাড়ির সকলেই চাকরি করেন, শুধু চাকরিই নয়, সরকারি চাকরি করেন।”

গ্রামবাসীরা জানাচ্ছেন, বেশ দাম্ভিক ছিলেন অর্পিতা। এলাকায় বেশ কয়েকবার জমি নিয়েও সমস্যা হয়েছে বলে এক প্রৌঢ়া জানালেন। তিনি বলেন, “এই বাড়ির জায়গাটা ছিল আমাদের। কিন্তু এই নিয়ে অনেক কিছুই করেছে। ওই পার্থ চট্টোপাধ্যায় এসেছেন, পুলিশ এসেছে। পুলিশ লাইন দিয়ে দাঁড়িয়েছে। আমাদের ভাত পর্যন্ত খেতে দেয়নি। বলত এই জায়গা আমাদের, আমরা দখল করব। যেটুকু জায়গা, শুধু সেটুকুই নয়, বাড়তি জায়গা দখল করে নিয়ে গিয়েছিল।”

বছর ষাটেকের এক বৃদ্ধকে প্রশ্ন করা হয়, এখানে অর্পিতা আসতেন? তিনি বলেন, “ওই তাঁর সঙ্গেই আসত। মন্ত্রীর সঙ্গে। বিকালে যখন আসত আগে থেকে বলা থাকত। পুলিশ এসে রাস্তাঘাট সব বন্ধ করে দিত।”

স্থানীয় বাসিন্দারাই জানাচ্ছেন, অর্পিতার সুবাদেই মন্ত্রীর ঘনিষ্ঠ হয়ে উঠেছিলেন তাঁর মামাও। অর্পিতা পার্থ গ্রেফতারের পর থেকেই এলাকা থেকে বেপাত্তা অর্পিতার মামার বাড়ির সদস্যরা। বাড়িতে এখন ঝুলছে তালা।

যদিও পাড়া প্রতিবেশীদের সমস্ত অভিযোগ অস্বীকার করেছেন অর্পিতা মুখোপাধ্যায়ের মামী বিনা চক্রবর্তী। তাঁর বক্তব্য,  অর্পিতা বছরে দু’একবার মামাবাড়িতে আসতেন।তবে পার্থ দু’বার এসেছিলেন এখানে। যদিও অর্পিতার এত প্রতিপত্তি বা সম্পপ্তি নিয়ে কিছুই জানেন না তিনি। তাঁর দুই ছেলের মধ্যে বড় ছেলে সরকারি চাকরি করেন। ছোট ছেলে প্রশিক্ষণ করছেন বলে দাবি তাঁর। আর কোনও আত্মীয়স্বজন চাকরি করেন কিনা, তা তিনি জানেন না। প্রতিবেশীরা যে অভিযোগ আনছে তা সম্পূর্ণ ভিত্তিহীন বলে দাবি করেছেন তিনি।