Tarakeshwar: হবে না হবে না করে একেবারে যেন মেঘ ফুটো বৃষ্টি, জলের তলায় বিঘার পর বিঘা জমি, পচছে সদ্য রোপন করা বীজ, মাথায় হাত আমন চাষিদের
Tarakeshwar: সঠিক সময়ে বর্ষা না আসার কারণে এবছর জেলায় এমনিতেই দিন ১৫ পিছিয়েছিল আমন চাষ। বিক্ষিপ্ত বৃষ্টিতে চাষ শুরু করেছিলেন জেলার চাষীরা। অনেক জায়গায় সেচের মাধ্যমেই চলছিল কাজ। কিন্তু, এবার একেবারে অন্য ছবি।
তারকেশ্বর: চাষের জমি না পুকুর দেখে বোঝার উপায় নেই। টানা দু’দিনের বৃষ্টিতে জলের তলায় সদ্য রোপন করা ধানের জমি। তারকেশ্বর ব্লকে হাজার হাজার বিঘা ধান জমি এখন জলের তলায়। কয়েকদিন আগেও যেখানে অনাবৃষ্টির কারণে মাথায় হাত ছিল চাষীদের সেখানে অতিবৃষ্টিতে এবার বাড়ছে চিন্তা। এদিকে হাওয়া অফিস বলছে, ২ দিনের মুষলধারাতেই বড়সড় বৃষ্টির ঘাটতি কমে গিয়েছে দক্ষিণবঙ্গে। শুক্রবার সন্ধ্যা পর্যন্ত ১৬ শতাংশ পর্যন্ত ঘাটতি কমল দক্ষিণবঙ্গে। জুন-জুলাই মিলিয়ে বর্ষার ঘাটতি ছিল ৪০ শতাংশ। অগস্টের প্রথম দু’দিনের বৃষ্টিতে ঘাটতি কমে হল ২৪ শতাংশ।
এদিকে সঠিক সময়ে বর্ষা না আসার কারণে এবছর জেলায় এমনিতেই দিন ১৫ পিছিয়েছিল আমন চাষ। বিক্ষিপ্ত বৃষ্টিতে চাষ শুরু করেছিলেন জেলার চাষীরা। অনেক জায়গায় সেচের মাধ্যমেই চলছিল কাজ। এবার টানা গত দু’দিনের অতিরিক্ত বৃষ্টিপাতের ফলে তারকেশ্বর-সহ বেশ কিছু ব্লকের হাজার হাজার বিঘা সদ্য রোপন করা ধান জমি জলের তলায় চলে যাওয়ায় ধান উৎপাদন কম হওয়ার আশঙ্কা করছেন চাষীরা। সদ্য রোপন করা ধান জমিতে জমা জল দু-তিন দিনের মধ্যে সরে না গেলে মাঠেই পচে যাবে রোপন করা বীজ। যার ফলে ওই জমিতে নতুন করে চাষ করার সম্ভবনা একেবারেই কম। কারণ নতুন করে বীজ বপন করে আবার চাষ শুরু করতে সময় লাগবে অনেকটাই। ফলে নতুন করে চাষ করা একেবারেই অসম্ভব বলে মনে করছেন চাষীরা। ফলে স্বভাবিকভাবেই কমবে উৎপাদন। দাম বাড়বে চালের।
শুধু তারকেশ্বর নয়, গোঘাটের বিস্তীর্ণ এলাকার কৃষিজমি জলের তলায়। গোঘাটের শুনিয়া-ছুতুরিয়া প্রধানমন্ত্রী সড়ক যোজনা রাস্তার উপর দিয়ে স্রোত বইছে। গ্রামেও ঢুকে গিয়েছে জল। চাষীরা বলছেন পচতে শুরু করেছে সদ্য রোপন করা ধান বীজ।