West Bengal Municipal Election: কোথায় কোভিড বিধি? দেদার লোক নিয়ে চলছে বিজেপির ভোট প্রচার
Hooghly: নির্বাচন কমিশনের কোভিডবিধির তোয়াক্কা না করে বেশ কিছু কর্মী সমর্থক নিয়ে রীতিমত মিছিল করে ভোটের প্রচারে বিজেপি।
চন্দননগর: একদিকে রাজ্যের কোভিডগ্রাফ ছুটছে। তারই মধ্যে আবার চার পুরনিগমের ভোট। জোর কদমে চলছে সেই ভোটের প্রস্তুতিও। কিন্তু আদৌ মেনে চলা হচ্ছে করোনা বিধি? এদিনের বিজেপির ভোট প্রচারে অন্তত তেমনটা চোখে পড়ল না।
নির্বাচন কমিশনের কোভিডবিধির তোয়াক্কা না করে বেশ কিছু কর্মী সমর্থক নিয়ে রীতিমত মিছিল করে ভোটের প্রচারে বিজেপি। আজ সকালে চন্দননগর পুরনিগমের ২২ নং ওয়ার্ডের প্রার্থী মাধবী বাগ সাঁতরা ও ২৩ নং ওয়ার্ডের প্রার্থী আশুতোষ ঘোষের সমর্থনে চন্দননগর এসি চ্যাটার্জী (A C Chatterjee Lane) লেনে মিছিল করে ও বাড়ি বাড়ি গিয়ে জনসংযোগ সারে বিজেপি।
এদিন এই মিছিলে উপস্থিত ছিলেন হুগলি সাংগঠনিক জেলা বিজেপির সভাপতি তুষার মজুমদার,পুরশুড়ার বিজেপি বিধায়ক বিমান ঘোষ, হুগলি জেলার যুব সভাপতি সুরেশ সাউ সহ অন্যান্য নেতৃত্ব ও বেশ কিছু কর্মী সমর্থক। তবে পুরশুড়ার বিধায়ককে কোভিডবিধি লঙ্ঘন করা নিয়ে প্রশ্ন করা হলে তিনি বলেন কিছু সমর্থক রয়েছে আর বাকিরা সাধারণ মানুষ তাদের মিছিলি যোগ দিয়েছে। বিধায়ক বলেন, “আজকে আমাদের চন্দননগর কর্পোরেশনের ২২ ও ২৩ নম্বর ওয়ার্ডের প্রার্থীদের প্রচারে আমরা বেরিয়েছি। বাড়ি-বাড়ি জনসংযোগ চলছে। আমাদের আবেদন ভোটের সময় মানুষরা নিজেদের মধ্যে প্রতিরোধ গড়ে তোলেন। আমরা প্রত্যেকেই মাস্ক পরে বেরিয়েছি। প্রচারে পাঁচ থেকে সাত জন বেরোচ্ছি। কিন্তু সাধারণ মানুষ আমাদের সঙ্গে যোগ দিচ্ছেন। তাদের তো আমরা বারণ করতে পারি না।”
প্রসঙ্গত, এদিকে বুধবার ভোটের আগে বৈঠকে বসে নির্বাচন কমিশন। বিধাননগর, চন্দননগর, আসানসোল ও শিলিগুড়ি পুরনিগমে ২২ জানুয়ারি ভোট হবে। ২৫ জানুয়ারি ভোটের গণনা। পুনর্নির্বাচনের দাবি থাকলে তা ২৪ জানুয়ারি হবে। শিলিগুড়িতে মোট ৪৭টি ওয়ার্ড। পোলিং স্টেশন ৪২১টি। ভোটার ৪,০২,৮৯৫। চন্দননগর পুরনিগমে মোট ৩৩টি ওয়ার্ড। ১৬৯টি পোলিং স্টেশন। ভোটার সংখ্যা ১,৪৪,৮৩৯। বিধাননগরে ৪১টি ওয়ার্ডে ভোট হবে। ৪৬৮টি পোলিং স্টেশন। ভোটার ৪,৪৬,৬৪০। আসানসোল পুরনিগমে ১০৬টি ওয়ার্ড। পোলিং স্টেশন ১০২০। ভোটার সংখ্যা ৯,৪২,০৮৮।
এই বিপুল সংখ্যক ভোটার নিয়ে এই মুহূর্তে ভোট করা কতটা সমীচীন তা নিয়ে একটা প্রশ্ন বিভিন্ন মহলে ওঠে ওইদিন। কারণ, কলকাতা পুরভোটের পর এখানকার সংক্রমণের চিত্রটা ভয়াবহ হয়ে উঠেছে। রাজ্যে একদিনের সংক্রমণ ১৫ হাজার পার করে গিয়েছে। বাড়ছে পজিটিভিটি রেটও।
এর আগে কোভিড বিধি মেনে কীভাবে ভোট হবে তার জন্য একটি বৈঠক করে নির্বাচন কমিশন। রাজ্যের মুখ্যসচিব, স্বরাষ্ট্রসচিব, স্বাস্থ্যসচিবের সঙ্গে আলোচনার মাধ্যমে একটি গাইডলাইনও প্রকাশ করা হয়। সেখানে বলা হয়, কোন রোড শো কিংবা পদযাত্রা নয়। গত পুরসভায় ৪টে পর্যন্ত রোড শো ছিল। এবার গাড়ি, বাইক র্যালি সব বাদ। এক্ষেত্রে আগে অনুমতি নেওয়া থাকলেও রোড শো বাতিল করতে হবে।
প্রতি পুরসভায় নোডাল হেলথ অফিসার নিয়োগ করা হবে। প্রার্থী, কাউন্টিং এজেন্ট, পোলিং অফিসার- সকলেরই ডবল বা সিঙ্গল ভ্যাকসিন নেওয়া থাকতে হবে। বাড়িতে প্রচারে প্রার্থী-সহ পাঁচের বেশি অনুমতি নেই। খোলা মাঠে মিটিং ৫০০-র বেশি জনসমাগম নয়। প্রবেশ ও প্রস্থানের আলাদা গেট। অডিটোরিয়াম হলে ২০০ জন সর্বাধিক। কিংবা আসন সংখ্যার অর্ধেক অনুমতি পাবেন। প্রচারের সময় কমানো হয়েছে। সকাল ৯ টা থেকে রাত ৮টা পর্যন্ত প্রচার। সাইলেন্স জোন বাড়িয়ে হচ্ছে ৭২ ঘণ্টা।
আরও পড়ুন: Gangasagar Mela COVID: গঙ্গাসাগরের শুরুতেই কোভিডের থাবা! আশঙ্কাই হল সত্যি