অবশেষে খুলল খাতা, তৃণমূলকে হারিয়ে বড় জয় পেল বামেরা, প্রার্থীই দিতে পারল না BJP
CPIM: শনিবার সকাল ন'টা থেকে শুরু হয় ভোট গ্রহণ। শেষ হয় বিকেল তিনটেয় । এরপর আজই ভোটের গণনা হয়, ফল বেরোতেই দেখা যায় 'পশ্চিমবঙ্গ সমবায় বাঁচাও মঞ্চের' সদস্যরা ১১ টি আসনেই জয়লাভ করেছে। রাজ্যের শাসক দল একটি আসনেও জয়লাভ করতে পারেনি।
পাণ্ডুয়া: বড় জয় পেল বামেরা। হুগলির পাণ্ডুয়ার ইটাচুনা মান্দারণ সমবায় কৃষি উন্নয়ন সমিত লিমিটেডের নির্বাচনে জয়ী হল বাম সমর্থিত প্রার্থীরা। সমবার মোট আসন সংখ্যা বারোটি। তার মধ্যে আগেই একটি আসনে বিনা প্রতিদ্বন্দ্বিতায় জয়লাভ করেছিল বাম প্রার্থী। শনিবার বাকি ১১ টি আসনের মধ্যে তৃণমূল ও সিপিএম সবকটি আসনেই প্রার্থী দিয়েছিল। যদিও রাজ্যের প্রধান বিরোধী দল বিজেপি এখানে প্রার্থী দিতে পারেনি।
শনিবার সকাল ন’টা থেকে শুরু হয় ভোট গ্রহণ। শেষ হয় বিকেল তিনটেয় । এরপর আজই ভোটের গণনা হয়, ফল বেরোতেই দেখা যায় ‘পশ্চিমবঙ্গ সমবায় বাঁচাও মঞ্চের’ সদস্যরা ১১ টি আসনেই জয়লাভ করেছে। রাজ্যের শাসক দল একটি আসনেও জয়লাভ করতে পারেনি। টানটান উত্তেজনায় চলে ভোট গ্রহণ, ছিল করা পুলিশে ব্যবস্থা। ফল ঘোষণার পরেই উচ্ছ্বাসে ফেটে পড়ে বাম সমর্থিত প্রার্থীরা।
সিপিআইএম হুগলি জেলা সম্পাদক মণ্ডলীর সদস্য তথা পান্ডুয়ার প্রাক্তন বিধায়ক আমজাদ হোসেন বলেন, “মান্দারণে সমবায় নির্বাচনে পশ্চিমবঙ্গ সমবায় বাঁচাও মঞ্চের পক্ষে মোট বারোটি আসনে প্রতিদ্বন্দ্বিতা করা হয়। বারটি আসনেই জয়লাভ করি আমরা। তৃণমূল একটি আসনেও জয়লাভ করতে পারেনি। বিজেপি প্রার্থীই দিতে পারেনি। এই জয় মানুষের জয়। এই এলাকার গণতন্ত্র প্রিয় মানুষ যাদের ভোট দিয়ে জিতিয়েছেন তাদের ধন্যবাদ জানাই। সুষ্ঠুভাবে ভোট হলে বাম প্রার্থীরা এভাবেই আগামী দিনে দিকে দিকে জয়লাভ করবে।”
উল্লেখ্য, রাজ্যে একের পর এক নির্বাচনে ভরাডুবি হয়েছে বামেদের। বিধানসভা বা লোকসভা নির্বাচনেও একটি আসনেও জয়লাভ করতে পারেনি তারা। এই সমবায় নির্বাচনে বারটি আসনেই জয়লাভে কিছুটা অক্সিজেন পেলে বলে মনে করছে রাজনৈতিক মহল।
হুগলির সাংগঠনিক জেলার সাধারণ সম্পাদক সঞ্জয় ঘোষ বলেন, “আমি দলের নিষ্ঠাবান হিসাবেই কাজ করেছি। বিধানসভায় রত্না দে নাগকে জিতিয়েছি। রচনা বন্দ্যোপাধ্যায়কে জিতিয়েছি। এখন দল যাকে দায়িত্ব দিয়েছেন তিনি ব্লক সভাপতি। তবে কেন এই ফল হল পর্যালোচনা করব।”