Singur: ঢালাই রাস্তা তৈরি নিয়ে ঝামেলা, তৃণমূল নেতাদের সামনেই বাবা-মেয়েকে রাস্তায় ফেলে মারধরের অভিযোগ
Singur: এরইমধ্যে ফের গত রবিবার থেকে নতুন করে শুরু হয় ঝামেলা। পঞ্চায়েতের তরফ থেকে রাস্তা নির্মাণের জন্য শুরু হয় মাপজোক। সোমবার শুরু হয়ে যায় রাস্তা তৈরির কাজ। তারপরই উত্তেজনা, বিশৃঙ্খলা। জোর পূর্বক জায়গা দখল করে রাস্তা নির্মাণের অভিযোগ তোলে সাঁতরা পরিবার।
সিঙ্গুর: পাড়ার ঢালাই রাস্তা তৈরিকে কেন্দ্র করে উত্তেজনা। তৃণমূল নেতা-নেত্রীদের উপস্থিতিতে বাবা ও মেয়েকে রাস্তায় ফেলে বেধড়ক মারধরের অভিযোগ। সামনে এসেছে ভিডিয়ো। তাতেই শোরগোল পড়ে গিয়েছে জেলার রাজনৈতিক মহলে। অস্বস্তি বাড়ছে শাসকদলের। চাঞ্চল্যকর ঘটনা সিঙ্গুরের বেড়াবেড়ি গ্রাম পঞ্চায়েতের দক্ষিণ পাড়া এলাকার। জানা গিয়েছে ওই এলাকায় পাকা রাস্তা তৈরি নিয়ে দুই প্রতিবেশীর ঝামেলা দীর্ঘদিনের। জল গড়িয়েছে আদালত পর্যন্ত।
এরইমধ্যে ফের গত রবিবার থেকে নতুন করে শুরু হয় ঝামেলা। পঞ্চায়েতের তরফ থেকে রাস্তা নির্মাণের জন্য শুরু হয় মাপজোক। সোমবার শুরু হয়ে যায় রাস্তা তৈরির কাজ। তারপরই উত্তেজনা, বিশৃঙ্খলা। জোর পূর্বক জায়গা দখল করে রাস্তা নির্মাণের অভিযোগ তোলে সাঁতরা পরিবার। বাধা দিতে গেলে পরিবারের সদস্যদের মারধর করা হয় বলে অভিযোগ। তৃণমূলের নেতা-কর্মীরাই তাঁদের আক্রমণ করে বলে অভিযোগ পরিবারের সদস্য প্রভাত কুমার সাঁতরার। যদিও শাসকদলের লোকজন অভিযোগ অস্বীকার করছেন। তাঁরা পাল্টা অভিযোগের আঙুল তুলেছেন সাঁতরা পরিবারের দিকেই। তাঁদের দাবি, ওরাই অহেতুক রাস্তা তৈরিতে বাধা দিচ্ছিলেন।
ইতিমধ্যেই সোশ্যাল মিডিয়ায় ভাইরাল হয়েছে বেশ কয়েকটি ভিডিয়ো ক্লিপ। যদিও তার সত্যতা যাচাই করেনি টিভি-৯ বাংলা। তাতেই দেখা যাচ্ছে এক মহিলাকে বাঁশ দিয়ে মারধর করা হচ্ছে। পরিবারের বাকি সদস্যরা চিৎকার-চেঁচামেচি করছেন। অন্য একটি ভিডিয়োতে দেখা যাচ্ছে দুই মহিলা হাতে বটি নিয়ে তেড়ে যাচ্ছেন রাস্তা তৈরির কাজে আসা কর্মীদের দিকে তেড়ে যাচ্ছেন।
প্রভাত সাঁতরা বলছেন, তাঁদের জায়গা দখল করে জোর করে ঢালাই রাস্তা করা হচ্ছিল। সেই জায়গা নিয়ে আদালতে মামলা চলছে। তাঁরা রাস্তা তৈরির প্রতিবাদ করতে গেলে তাদের মারধর করা হয়। তাঁর বাবা ও বোনকে রাস্তায় ফেলে মারধর করা হয়। বর্তমানে তাঁরা হাসপাতালে ভর্তি। তাঁর অভিযোগ, পঞ্চায়েত সমিতির সহ সভাপতি মানিক দাস-সহ অন্যান্য তৃনমূল নেতা-কর্মীরা দাঁড়িয়ে থেকে এটা করিয়েছে।।
যদিও মারধরের অভিযোগ অস্বীকার করছেন সিঙ্গুর পঞ্চায়েত সমিতির সহ সভাপতি মানিক দাস। তাঁর দাবি, সাঁতরা পরিবারের সদস্যরা তাদেরই আত্মীয়দের যাতায়াতের রাস্তা অন্যায় ভাবে দখল করে নিকাশি নালা তৈরি করেছিল। মীমাংসার পরেও রাস্তা তৈরি করতে যাওয়া হলে ওরাই বটি নিয়ে কর্মীদের দিকে তেড়ে যায়। এমনকী যে মারধরের ঘটনার কথা বলা হচ্ছে তাতে তৃণমূলের কেউ জড়িত নন বলেও দাবি করেছেন তিনি।