Electric Vehicle: বিদেশে দাপিয়ে বেড়াচ্ছে হুগলির বৈদ্যুতিন গাড়ি, বছরে ব্যবসা হচ্ছে কয়েক হাজার কোটির

Hooghly Electric Vechile: আগামী কয়েক দিনের মধ্যেই সমস্ত ই-রিক্সার রেজিস্ট্রেশন করে দেওয়া হবে। বেআইনি উৎপাদক সংস্থাগুলিকে অবিলম্বে বন্ধ করে দেওয়া হবে বলে মন্ত্রী জানিয়েছেন। সংগঠনের সম্পাদক শেখ নাসিরুউদ্দিন বলেন,  "মুখ্যমন্ত্রীর শিল্পবান্ধব মানসিকতার কাঙ্খিত সুফল মিলছে।

Electric Vehicle: বিদেশে দাপিয়ে বেড়াচ্ছে হুগলির বৈদ্যুতিন গাড়ি, বছরে ব্যবসা হচ্ছে কয়েক হাজার কোটির
বিদেশে যাচ্ছে বৈদ্যুতিন গাড়িImage Credit source: TV9 Bangla
Follow Us:
| Edited By: | Updated on: Jan 10, 2024 | 11:03 AM

হুগলি:  রাজ্য দেশ ছাড়িয়ে বিদেশে পাড়ি দিয়েছে হুগলিতে তৈরি ইলেক্ট্রিক ভেহিকল। বেঙ্গল ‘ইলেক্ট্রিক ভেহিকল অ্যাসোসিয়েশন’ সূচনা করলেন রাজ্যের পরিবহন মন্ত্রী। সারা রাজ্যের ইলেকট্রিক বাহন প্রস্তুতকারক সংস্থা থেকে ডিলার ডিস্ট্রিবিউটর সকলে এক ছাতার তলায় সম্মিলিত হওয়ার দীর্ঘ প্রচেষ্টা ছিল। তা বাস্তবায়িত হল। পথ চলা শুরু হল ‘বেঙ্গল ইলেক্ট্রিক ভেহিকল অ্যাসোসিয়েশনে’র। মঙ্গলবার চন্দননগর রবীন্দ্র ভবনে আয়োজিত এক অনুষ্ঠানে প্রদীপ প্রজ্জ্বলনের মাধ্যমে সংগঠনের সূচনা করেন রাজ্যের পরিবহণ মন্ত্রী স্নেহাশিস চক্রবর্তী। উপস্থিত ছিলেন চন্দননগরের মেয়র রাম চক্রবর্তী, ডেপুটি মেয়র মুন্না আগরওয়াল, সংগঠনের সম্পাদক সেক নাসিরউদ্দিন, সভাপতি দীনেশ জালান-সহ রাজ্যের বিভিন্ন প্রান্ত থেকে আসা চার শতাধিক ইলেক্ট্রিক বাহন প্রস্তুতকারক সংস্থার কর্ণধার এবং ডিলার ডিস্ট্রিবিউটর।

উদ্বোধনী অনুষ্ঠানে মন্ত্রী স্নেহাশিস চক্রবর্তী বলেন,  “ক্রমাগত তাপমাত্রা বাড়ছে। তাই উন্নয়নের সংজ্ঞাও পাল্টেছে। বর্তমানে পরিবেশের ভারসাম্য বজায় রেখে উন্নয়ন করতে হয়। সেই দিকে লক্ষ্য রেখে ভারতের মধ্যে ইলেক্ট্রিক বাহন কেনার ক্ষেত্রে এক নম্বরে এই রাজ্য।” তিনি জানান, বর্তমান রাজ্য সরকার এই শিল্পকে অগ্রাধিকার দেয়। এই বাহনের ফলে বহু বেকারের কর্মসংস্থান হয়েছে। পাশাপাশি সাধারণ মানুষের যাতায়াতের সুবিধা হয়েছে। মানুষকে সঠিক পরিষেবা দেওয়া, ব্যবসা করার অনুকূল পরিবেশ এবং বৈধ কাগজ পত্র-সহ ই রিক্সা চালানোর কথাও বলেন তিনি।

আগামী কয়েক দিনের মধ্যেই সমস্ত ই-রিক্সার রেজিস্ট্রেশন করে দেওয়া হবে। বেআইনি উৎপাদক সংস্থাগুলিকে অবিলম্বে বন্ধ করে দেওয়া হবে বলে মন্ত্রী জানিয়েছেন। সংগঠনের সম্পাদক শেখ নাসিরুউদ্দিন বলেন,  “মুখ্যমন্ত্রীর শিল্পবান্ধব মানসিকতার কাঙ্খিত সুফল মিলছে। রাজ্য সড়ক জাতীয় সড়ক সংলগ্ন একাধিক জায়গায় ছোট বড় নানান শিল্প হচ্ছে। কর্মসংস্থান বাড়ছে। আমাদের তরফে শুরু হয় পরিবেশ বান্ধব ইলেকট্রিক বাহন উৎপাদক সংস্থা গড়ে তোলার চেষ্টা। অনেক বাধা বিপত্তি অতিক্রম করে গত দশ বছর আগে নেওয়া সেই ক্ষুদ্র উদ্যোগ রাজ্যের মুখ্যমন্ত্রী তথা রাজ্য সরকারের সক্রিয় সহযোগিতায় বর্তমানে বড় চেহারা নিয়েছে।” তিনি জানান,  বর্তমানে রাজ্যে কমবেশি চল্লিশটি ইলেকট্রিক বাহন উৎপাদনকারী সংস্থা রয়েছে। সঙ্গে রয়েছে প্রায় চার শতাধিক ডিলার এবং ডিস্ট্রিবিউটর। গত বছর গুলিতে এই শিল্পের দ্বারা বছরে কমবেশি পাঁচ হাজার কোটি টাকার ব্যবসা হয়েছে।

এরাজ্যে উৎপাদিত ইলেকট্রিক বাহন রাজ্যের গণ্ডি পেরিয়ে পৌঁছেছে দেশের বিভিন্ন রাজ্যে। বিদেশে ঘানার মাটিতে ঘুরছে এরাজ্যে ইলেকট্রিক ভেহিকল। বিগত দশ বছর ধরে লক্ষ্য ছিল ইলেকট্রিক বাহনের সঙ্গে যুক্ত সকলে এক ছাতার তলায় আনা। এখন সেই বিষয়টি অনেকটাই সফল বলে মনে করা হচ্ছে।