Municipality: পুরসভায় মিউটেশন করানোর নামে প্রতারণা, অভিযুক্ত তৃণমূল নেতা ঘনিষ্ঠ যুবক

Municipality: প্রতারিত যুবক অভিষেক কমার, টুনটুন রায়দের অভিযোগ, প্রণব দাস নামে এক যুবক নিজেকে উত্তরপাড়া পুরসভার কর্মী পরিচয় দিয়ে তাঁদের বাড়ি গিয়ে বলেন যে পুরসভার মিউটেশান করিয়ে দেবে। মিউটেশন ফি বাবদ টাকাও নেন বলে অভিযোগ। কিন্তু এক বছর কেটে গেলেও কাজের কাজ হয়নি। উল্টে টাকা ফেরত চাইলে আজ দিচ্ছি-কাল দিচ্ছি বলে পিছিয়ে দিতে থাকে।

Municipality: পুরসভায় মিউটেশন করানোর নামে প্রতারণা, অভিযুক্ত তৃণমূল নেতা ঘনিষ্ঠ যুবক
অভিযুক্ত তৃণমূল নেতা Image Credit source: Tv9 Bangla
Follow Us:
| Edited By: | Updated on: Jan 17, 2024 | 6:31 AM

উত্তরপাড়া: প্রতিদিন সামনে আসে প্রতারণার নয়া-নয়া ফাঁদ। এবার উত্তরপাড়া পুরসভায় নিজেকে পুর কর্মীর পরিচয় দিয়ে মিউটেশন করিয়ে দেওয়ার নামে প্রতারণার অভিযোগ। কাঠগড়ায় তৃণমূল কাউন্সিলরের স্বামীর ঘনিষ্ঠ এক যুবক। ইতিমধ্যেই পুরসভার দ্বারস্থ হয়েছেন প্রতারিতরা। পুরসভার পক্ষ থেকেও থানায় অভিযোগ দায়ের করা হয়েছে।

প্রতারিত যুবক অভিষেক কমার, টুনটুন রায়দের অভিযোগ, প্রণব দাস নামে এক যুবক নিজেকে উত্তরপাড়া পুরসভার কর্মী পরিচয় দিয়ে তাঁদের বাড়ি গিয়ে বলেন যে পুরসভার মিউটেশান করিয়ে দেবেন। মিউটেশন ফি বাবদ টাকাও নেন বলে অভিযোগ। কিন্তু এক বছর কেটে গেলেও কাজের কাজ হয়নি। উল্টে টাকা ফেরত চাইলে আজ দিচ্ছি-কাল দিচ্ছি বলে পিছিয়ে দিতে থাকেন।অভিযোগকারীদের দাবি, এই প্রণব একজন তৃণমূল কর্মী। শুধু তাই নয়, ২২ নম্বর ওয়ার্ডের তৃণমূল নেতা মানিক সিংহর ঘনিষ্ঠ তিনি। সেটা ভাঙিয়েই লক্ষাধিক টাকা তোলে একাধিক লোকের থেকে।

যদিও এই প্রতারণায় তাঁর নাম জরানোয় মানিকের সাফাই, তিনি চল্লিশ বছর রাজনীতি করছেন। এমন অভিযোগ কেউ করতে পারবে না।মানিক বলেন, “আমাকে সবাই চেনে। প্রণবকে বাড়ি বাড়ি গিয়ে পুরসভার নোটিস দিওয়ার জন্য রেখেছিলাম। সেখানে গিয়ে আমার নাম করে বলত মানিকদা পঠিয়েছে। লোকজন সরল বিশ্বাসে হয়ত তাঁকে টাকা দিয়েছে। সেই টাকা কী করেছে আমি জানি না। এখন বাঁচার জন্য আমার নাম করছে।” তাঁর সাফ জবাব তিনি কোনও অর্থনৈতিক দুর্নীতিতে যুক্ত নন। আর দুর্নীতি প্রমাণ করতে পারলে তিনি রাজনীতি ছেড়ে দেবেন বলে হুমকিও দিয়েছেন।

উত্তরপাড়া পুরসভার চেয়ারম্যান দিলীপ যাদব বলেন, “আমার কাছে দুজন এসে অভিযোগ জানিয়েছে মিউটেশানের নামে টাকা তোলা হয়েছে। আমি পুলিশে অভিযোগ জানিয়েছি। শহরবাসীকে বলব পুরসভার অধিকাংশ কাজ এখন অনলাইনে হয়। প্রয়োজনে পুরসভাতে এসে বিভিন্ন বিষয়ে খোঁজ নিতে পারেন। মিউটেশন এক ঘণ্টায় হয়ে যায়। এরপরেও কোনও সন্দেহ থাকলে সরাসরি ফোন করতে পারেন।”