Hooghly: রাজার সঙ্গে ঠাকুর দেখতে বেরিয়ে নিখোঁজ রুবি, দশমীতে রেললাইনের ধারে পড়ে দেহ
Hooghly: প্রতিবেশী যুবকের সঙ্গে ঠাকুর দেখতে বেরিয়ে নিখোঁজ, দশমীতে রেল লাইনের ধারে উদ্ধার কিশোরীর মৃতদেহ।
শেওড়াফুলি: প্রতিবেশী যুবকের সঙ্গে ঠাকুর দেখতে বেরিয়েছিল বছর চোদ্দোর নাবালিকা রুবি কুমারী। কিন্তু, রাত পেরিয়ে সকাল হলেও ঘরে ফেরেনি। আর তাতেই চিন্তায় পড়ে যান নাবালিকার পরিবারের সদস্যরা। অনেক খোঁজ খবর করেও শুরুতে কিছুতেই খোঁজ মিলছিল না রুবির। শেষে দশমীর সকালে রেল লাইনের ধার থেকে উদ্ধার হয় ওই কিশোরীর মৃতদেহ। চাঞ্চল্যকর এই ঘটনাটি ঘটেছে হুগলির শেওড়াফুলিতে (Sheoraphuli in Hooghly)।
কিশোরীর বাড়ি শেওড়াফুলি খড় পাড়ায়। সূত্রের খবর, পাড়ারই এক তরুন শেখ রাজার সঙ্গে নবমীর রাতে ঠাকুর দেখতে বেরিয়েছিল রুবি। রাতে আর ওরা বাড়ি ফেরেনি। বুধবার শেওড়াফুলি তিন ও চার নম্বর গেটের মাঝে রেল লাইন থেকে ওই কিশোরীর মৃতদেহ উদ্ধার করে শেওড়াফুলি জিআরপি। পরিবারের অভিযোগ, তাঁদের মেয়েকে খুন (Allegation of Murder) করা হয়েছে। তাঁদের দাবি, মেয়েকে ঠাকুর দেখতে নিয়ে গিয়ে গলা টিপে মেরে রেল ট্রেনের সামনে ফেলে দিয়েছে রাজা। এদিকে নাবালিকার মৃতদেহ উদ্ধার হতেই রাজাকে পোস্টে বেঁধে বেধড়ক মারধর করে এলাকার বাসিন্দারা। খবর পেয়ে ঘটনাস্থলে যায় শেওড়াফুলি ফাঁড়ির পুলিশ। মারমুখী জনতার হাত থেকে তাঁকে উদ্ধার করে শ্রীরামপুর ওয়ালস হাসপাতালে ভর্তি করা হয়।
এ ঘটনায় ইতিমধ্যেই শেওড়াফুলি জিআরপি থানায় অস্বাভাবিক মৃত্যুর মামলা রুজু হয়েছে। ঘটনা প্রসঙ্গে বলতে গিয়ে সম্পর্কে মৃতার দিদি রঞ্জনী গিরি বলেন, “আগে ওরা কথা বলত। তারপর আমরা বারণ করার পর আমার বোন আর ছেলেটার সঙ্গে কথা বলত না। কিন্তু তারপরেও ছেলেটা অনেকদিন থেকেই আমার বোনকে উত্যক্ত করত। নবমীতে বোন ঘুরতে গিয়েছিল। বন্ধুরাও ছিল। কিন্তু, ওই ছেলেটাই ওকে গলা টিপে মারধর করে। তারপর ট্রেনের কাছে নিয়ে গিয়ে ধাক্কা দেয়। তাতেই লেগে ও মারা গিয়েছে। আমরা চাই ওর কড়া শাস্তি হোক।”