Hooghly: আরজি কর কাণ্ডের প্রতিবাদ করায় কলেজ পড়ুয়াকে ‘মারধর’

Hooghly: নবগ্রাম হীরালাল পাল কলেজের বিকমের প্রথম বর্ষের ছাত্র অরিন্দম হালদার। দিন কয়েক ধরে আরজি করের ঘটনার প্রতিবাদ করার জন্য অন্যান্য বন্ধুদের ডেকেছিল। তাঁর অভিযোগ, তিনি বাম ছাত্র সংগঠন এসএফআই-এর সঙ্গে যুক্ত, সেই কারণে গত ২৭ তারিখ কলেজের ভেতরের একটি ঘরে ডেকে বেধড়ক মারধর করা হয়।

Hooghly: আরজি কর কাণ্ডের প্রতিবাদ করায় কলেজ পড়ুয়াকে 'মারধর'
আক্রান্ত এসএফআই সমর্থকImage Credit source: TV9 Bangla
Follow Us:
| Edited By: | Updated on: Aug 29, 2024 | 5:14 PM

হুগলি:  আরজিকর কাণ্ডের প্রতিবাদ মিছিলকে নেতৃত্ব দেওয়ার অভিযোগে এক কলেজ পড়ুয়াকে বেধড়ক মারধরের অভিযোগ উঠল। হুগলির কোন্নগরের নবগ্রাম হীরালাল পাল কলেজের ঘটনা। মারধর করার অভিযোগ কলেজের তৃণমূল ছাত্র পরিষদের বিরুদ্ধে। অভিযোগ অস্বীকার তৃণমূলের। এই বিষয়ে কিছুই জানেন না বলে দাবি কলেজ কলেজ অধ্যক্ষের। গোটা ঘটনার অভিযোগ দায়ের হয়েছে উত্তরপাড়া থানায়।

নবগ্রাম হীরালাল পাল কলেজের বিকমের প্রথম বর্ষের ছাত্র অরিন্দম হালদার। দিন কয়েক ধরে আরজি করের ঘটনার প্রতিবাদ করার জন্য অন্যান্য বন্ধুদের ডেকেছিল। তাঁর অভিযোগ, তিনি বাম ছাত্র সংগঠন এসএফআই-এর সঙ্গে যুক্ত, সেই কারণে গত ২৭ তারিখ কলেজের ভেতরের একটি ঘরে ডেকে বেধড়ক মারধর করা হয়।  তৃণমূল ছাত্র পরিষদের ছাত্র ছাত্রীরা বাঁশ লাঠি দিয়ে বেধড়ক মারধর করে বলে অভিযোগ।

রাতে আহত ছাত্রকে দেখতে তাঁর বাড়ি পৌঁছন এসএফআই নেত্রী দীপ্সিতা ধর।  সকালের উত্তরপাড়া থানায় গোটা ঘটনার একটি অভিযোগ দায়ের করা হয় এসএফআই-এর পক্ষ থেকে।

হুগলি জেলা এস এফ আই সম্পাদক অর্ণব দাস বলেন, “আরজিকরের ঘটনার প্রতিবাদ সংগঠিত করতে কলেজের ভিতরে প্রচার করছিল অরিন্দম হালদার ও অন্যান্য কিছু ছাত্রছাত্রী। সানি খাসকেল ও সাগর দত্তগুপ্ত নামে দুই তৃণমূল ছাত্র পরিষদ নেতা অরিন্দমকে বেধড়ক মারধর করে। আমরা পুলিশের কাছে অভিযোগ জানিয়েছি।”

যদিও এই বিষয়ে অভিযোগ সম্পূর্ণ অস্বীকার করেছে তৃণমূল ছাত্র পরিষদের সদস্যরা।এই বিষয়ে তৃণমূল ছাত্র পরিষদের হুগলি শ্রীরামপুর সাংগঠনিক জেলা সভাপতি শুভদীপ মুখোপাধ্যায় বলেন, “যেটুকু শুনলাম ছেলেটি কলেজে নাকি কোন মহিলাকে কটূক্তি করছিল। সেই কারণে মেয়েরা তার উপরে চড়াও হয়। গোটা ঘটনার সঙ্গে তৃণমূল ছাত্র পরিষদের কোন যোগাযোগ নেই।” দীপ্সিতা ধরের সোশ্যাল মিডিয়া পোস্টে অভিযোগ প্রসঙ্গে বলেন, “ওঁরা সোশ্যাল মিডিয়াতেই থাকেন, আমরা মানুষের সঙ্গে থাকি।”

এ বিষয়ে নবগ্রাম হীরালাল পাল কলেজের অধ্যক্ষ শ্রীকান্ত সামন্ত বলেন, আহত বা আক্রমণকারী কোন পক্ষের তরফ থেকেই কোন কিছু তাঁকে জানানো হয়নি। যদি কোন লিখিত অভিযোগ তাঁর কাছে জমা পড়ে, সে হিসাবে পদক্ষেপ করা হবে।