Hooghly: দায়িত্ব কার? পঞ্চায়েত কাজিয়ায় ফ্যাসাদে মেঠো পথেই ভবিষ্যৎ ঝরঝরে

Hooghly: রাস্তার বেহাল দশার কারণে গ্রামে ঢোকে না অ্যাম্বুলেন্স। চার চাকা গাড়ি তো দুরস্ত। আপদকালীন অবস্থায় ব্যাপক সমস্যার মধ্যে পড়তে হয় এই গ্রামের মানুষদের।এমনকি গ্রামের ছেলে মেয়েদের হেঁটে স্কুলে যেতেও পড়তে হয় সমস্যায়।

Hooghly: দায়িত্ব কার? পঞ্চায়েত কাজিয়ায় ফ্যাসাদে মেঠো পথেই ভবিষ্যৎ ঝরঝরে
রাস্তার বেহাল দশাImage Credit source: TV9 Bangla
Follow Us:
| Edited By: | Updated on: Dec 12, 2023 | 1:21 PM

হুগলি: দুই পঞ্চায়েতের অধীনে পড়ছে গ্রামের রাস্তা। কে করবে করবে নির্মাণ?দুই পঞ্চায়ের কাজিয়ায় দুর্ভোগের শিকার দাদপুর থানার ঝাপনতলা গ্রামের বাসিন্দারা।যদিও পঞ্চায়েত ভোটের আগে গ্রামের কাঁচা রাস্তাটা পাকা করার প্রতিশ্রুতি দিয়েছিলেন নেতারা।পাঁচ মাস কেটে গেলেও দেখা নেই নেতা থেকে প্রশাসনিক আধিকারিকদের।  এমনই অভিযোগ হুগলির দাদপুর থানার আমনান গ্রাম পঞ্চায়েতের সেঁইয়া ঝাপানতলার বাসিন্দাদের। মেন রোড থেকে গ্রামে ঢোকার জন্য মেটে রাস্তা নামে পরিচিত দীর্ঘ তিন কিমি রাস্তা কয়েক বছর ধরেই অবস্থা একেবারে বেহাল।

রাস্তার বেহাল দশার কারণে গ্রামে ঢোকে না অ্যাম্বুলেন্স। চার চাকা গাড়ি তো দুরস্ত। আপদকালীন অবস্থায় ব্যাপক সমস্যার মধ্যে পড়তে হয় এই গ্রামের মানুষদের।এমনকি গ্রামের ছেলে মেয়েদের হেঁটে স্কুলে যেতেও পড়তে হয় সমস্যায়। মাটির রাস্তা ফলে বর্ষা কাল তো বটেই অন্যান্য সময়ে সামান্য বৃষ্টি হলেই রাস্তা হয়ে যায় কাদাযুক্ত।

বার বার স্থানীয় প্রশাসনকে জানিয়েও কোনও ফল পাননি বলে অভিযোগ স্থানীয় বাসিন্দাদের। ভোট এলেই শুধুই মেলে প্রতিশ্রুতি। আদৌও গ্রামের কাঁচা রাস্তাটি পাকা হবে ?  নাকি দুর্ভোগের জীবন কাটাতে হবে প্রশ্ন গ্রামবাসীদের।

প্রশাসন সূত্রে জানা গিয়েছে, গ্রামের রাস্তাটি আমনান ও হারিট গ্রাম পঞ্চায়ের অধীন। সে কারণেই রাস্তা নির্মাণে চলছে দড়ি টানাটানির খেলা। যদিও হুগলি জেলার জেলাসভাধিপতি রঞ্জন ধারা বলেন, “বিষয়টি নজরে এসেছে।ওই গ্রামের রাস্তাটি দুটি গ্রাম পঞ্চায়েতের অধীন হওয়ার কারণে এই সমস্যা তৈরি হয়েছে। তবে জেলা পরিষদের তরফ থেকে দ্রুত রাস্তা তৈরির উদ্দ্যোগ নেওয়া হবে।”

তবে খোঁচা দিতে ছাড়েনি বিজেপি বিজেপির যুব মোর্চার হুগলি সাংগঠনিক জেলার সভাপতি সুরেশ সাউ। তিনি বলেন, “এই ঘটনা সব পঞ্চায়েতেই ঘটছে প্রধানমন্ত্রীর সড়ক যোজনার টাকা আত্মসাৎ করছেন তৃণমূল নেতারা। তাই এই জটিলতা।”