Daily Passenger: ব্যান্ডেল লোকালের লেডিস কামরায় হুড়োহুড়ি, সহযাত্রীর নাকে ছুরি চালিয়ে দিলেন মহিলা যাত্রী
Daily Passenger: আক্রান্ত মহিলার নাম রীমা সিং, তিনি শ্রীরামপুরের বাসিন্দা। অভিযুক্তের নাম করুণ দাস, তাঁর কুন্তিঘাটে। বাকি যাত্রীরা জানাচ্ছেন, ট্রেনে আগেও চুলোচুলি হয়েছিল ওই দুই মহিলার। মঙ্গলবার সকালে হিন্দমোটর স্টেশনে ট্রেন ধরার জন্য বাকি যাত্রীদের মতোই অপেক্ষা করছিলেন তাঁরা
হুগলি: প্ল্যাটফর্মে ট্রেনের খবর হয়ে গিয়েছে। অফিস আওয়ার্স। ফলে কলকাতামুখী ট্রেনের লাইনে মারাত্মক ভিড়। ট্রেন ধরারও মারাত্মক চাপ। এই পরিস্থিতিতে আচমকাই প্ল্যাটফর্মে বচসায় জড়িয়ে পড়েন তিন মহিলা। ট্রেন কিংবা প্ল্যাটফর্মে, মহিলা কামরায় চিৎকার চেঁচামেচি, গন্ডগোল নিত্য নৈমিত্তিক ব্যাপার। তা ভেবে প্রথমটায় বিশেষ আমল দেননি বাকি যাত্রীরা। তার মধ্যেই ভয়ঙ্কর কাণ্ড। রক্তাক্ত অবস্থায় মাটিতে লুটিয়ে পড়েছেন এক মহিলা যাত্রী। সঙ্গে চরম আর্তনাদ। কান-মুখ বেয়ে গলগল করে রক্ত বেরোচ্ছে তাঁর। হুড়োহুড়ি পড়ে গিয়েছে প্ল্যাটফর্মে। হিন্দমোটর স্টেশনে এক মহিলার যাত্রীর হাতে ছুরিকাহত সহযাত্রী। আহতকে উদ্ধার করে উত্তরপাড়া স্টেট জেনারেল হাসপাতালে ভর্তি করা হয়েছে। অভিযুক্তকে আটক করেছে পুলিশ।
আক্রান্ত মহিলার নাম রীমা সিং, তিনি শ্রীরামপুরের বাসিন্দা। অভিযুক্তের নাম করুণ দাস, তাঁর কুন্তিঘাটে। বাকি যাত্রীরা জানাচ্ছেন, ট্রেনে আগেও চুলোচুলি হয়েছিল ওই দুই মহিলার। মঙ্গলবার সকালে হিন্দমোটর স্টেশনে ট্রেন ধরার জন্য বাকি যাত্রীদের মতোই অপেক্ষা করছিলেন তাঁরা। তিনজন মহিলার মধ্যে বচসা শুরু হয়। অভিযোগ, হঠাৎই একজন একটি ফল কাটার ছুরি বের করে আঘাত করেন সহযাত্রীকে। কানে মুখে আঘাত লাগে তাঁর। রক্তাক্ত হয়ে মাটিতে লুটিয়ে পড়েন তিনি।
বাকি যাত্রীরা তাঁকে উদ্ধার করে স্থানীয়রা হাসপাতালে নিয়ে যান। খবর পেয়ে রেল পুলিশ ঘটনাস্থলে যায়। আরেক যাত্রী পঙ্কজ রায় জানান, “মহিলারা ট্রেনের সহ যাত্রী।শ্রমিকের কাজ করেন।কয়েকিদন ধরে নিজেদের মধ্যে কোনও বিষয় নিয়ে ঝামেলা চলছিল। নিজেদের মধ্যে বচসা হয়েছে আগেও।”
ঘটনার প্রত্যক্ষদর্শী শম্ভু দাস বলেন, “ওভারব্রিজ দিয়ে ঝগড়া করতে করতে নামছিল ওরা। তিনজন ছিল। একজন হঠাৎ করেই কিছু বুঝে ওঠার আগে ছুরি মারে। নাক কান কেটে যায় অপর জনের।” রেল পুলিশ উত্তরপাড়া হাসপাতালে পৌঁছে দু’জনকেই জিজ্ঞাসাবাদ করে।