Hooghly Fraud Case: কৃষি ঋণের টাকাতেও ‘দুর্নীতি’, কেন্দ্রীয় তদন্তের দাবি প্রধানের

ঘটনাকে কেন্দ্র করে আর্থিক এই তছরুপের সঠিক তদন্তের দাবি জানিয়ে স্থানীয় পঞ্চায়েত প্রধান কার্তিক ইসরের নেতৃত্বে এলাকার কৃষকরা পিটিশন দাখিল করেন।

Hooghly Fraud Case: কৃষি ঋণের টাকাতেও 'দুর্নীতি', কেন্দ্রীয় তদন্তের দাবি প্রধানের
কেন্দ্রীয় তদন্তের দাবি প্রধানের
Follow Us:
| Edited By: | Updated on: Apr 07, 2023 | 7:45 AM

হুগলি: কৃষি ঋণের টাকায় দুর্নীতির অভিযোগ তৃণমূল নেতা ও সমবায় সমিতির ম্যানেজারের বিরুদ্ধে। জেলাশাসকের নির্দেশের পর প্রায় ৫ মাস কেটে গেলেও তদন্তে এলেন না সমবায় আধিকারিকরা, কতদিনে মিলবে সুরাহা? স্বচ্ছ ভাবমূর্তি ফেরাতে ইডি অথবা সিআইডি তদন্তের দাবি তুলেছেন তৃণমূল প্রধান। অভিযুক্ত তৃণমূল নেতা তথা সমবায় সমিতির ম্যানেজার TV9 বাংলার প্রতিনিধির দেখেই গা ঢাকা দিলেন। অভিযোগ, পরিচালন কমিটি না থাকার সুবাদে ২০১৭ – ১৮ বর্ষে খানাকুলের চিংড়া সমবায় সমিতি থেকে কিষান ক্রেডিট কার্ডের ঋণ হিসাবে প্রায় সাড়ে চার কোটি টাকা তোলা হয়েছ, যা নিয়মবহির্ভূতভাবে ওই এলাকার প্রভাবশালী তৃণমূল নেতাদের পাশাপাশি সমবায়ের এলাকার বাইরেও বিভিন্ন তৃণমূল নেতাকে কার্যত পাইয়ে দিয়েছেন স্থানীয় তৃণমূল নেতা তথা সমবায় সমিতির ম্যানেজার প্রভুনাথ পোড়েল। ঘটনাকে কেন্দ্র করে আর্থিক এই তছরুপের সঠিক তদন্তের দাবি জানিয়ে স্থানীয় পঞ্চায়েত প্রধান কার্তিক ইসরের নেতৃত্বে এলাকার কৃষকরা পিটিশন দাখিল করেন। বিষয়টি নিয়ে গত ডিসেম্বরে তদন্তের নির্দেশ দেন হুগলি জেলাশাসক।

কিন্তু এরপরেও সেই অর্থে কোনও তদন্তই হয়নি বলে অভিযোগ। গত বৃহস্পতিবার রাজ্য সমবায় দফতরের অধিকারিকরা চিংড়ায় অভিযোগের বিষয়টি খতিয়ে দেখতে আসার কথা ছিল। সেইমতো স্থানীয় কৃষক থেকে শুরু করে খানাকুল পুলিশের কর্মীদের বড় অংশও ঘটনাস্থলে উপস্থিত ছিলেন। কিন্তু অবশেষে কোনও সমবায় আধিকারিকদের ঘটনাস্থলে আসতে দেখা যায়নি। ইতিমধ্যেই অভিযোগ উঠেছে সমবায় দুর্নীতিতে খানাকুল-সহ জেলা ও রাজ্যের বেশ কিছু প্রশাসনিক ব্যক্তিত্ব ও ব্যাঙ্কের একাংশের কর্মীরা যুক্ত আছে। এদিন তদন্তকারীদের না আসায় সেই অভিযোগ ফের তুলতে শুরু করেছেন এলাকাবাসীরা। এমনকি সমবায় মন্ত্রী অরূপ বিশ্বাস বিষয়টি ধামাচাপা দেওয়ার চেষ্টা করছেন বলেও দাবি তুলেছেন বিক্ষুব্ধ কৃষদের একাংশ।

এদিকে সমস্ত বিষয়টিতে সমবায়ের ম্যানেজার শুধু নয় আরও অনেক প্রভাবশালী যুক্ত বলে দাবি করেছেন খোদ স্থানীয় পঞ্চায়েত প্রধান কার্তিক ইসর। যদিও কার্তিক ইসরের বিরুদ্ধেও লোনের নামে টাকা আত্মসাতের অভিযোগ রয়েছে। যদিও প্রধান লোন নিলেও পরিষদের কথা জানিয়েছেন। প্রধানের অভিযোগ সমবায় সমিতি থেকে কৃষি ঋণের টাকা নিয়েছে প্রভাবশালী খানাকুল বিধানসভার পরাজিত তৃণমূল প্রার্থী মুন্সী নজিবুল করিম।

প্রধান জানিয়েছেন, দরকারে ইডি অথবা সিআইডি স্বচ্ছ ভাবে তদন্ত হোক। তদন্তের দাবি নিয়ে প্রয়োজনে কোর্টের দারস্থ হবেন। প্রশ্ন উঠেছে, দীর্ঘদিন ধরে দুর্নীতির অভিযোগ থাকলেও, জেলাশাসকের নির্দেশের পরেও কেন তদন্তে এত গড়িমসি চলছে? কোনও কোনও প্রভাবশালীরা রয়েছেন দুর্নীতির পিছনে? তাদের অঙুলিহেলনেই কি তদন্ত ধামাচাপা দেওয়ার চেষ্টা চলছে? কবে মিলবে সুবিচার?

বিষয়টি নিয়ে সুর চড়িয়েছে বিজেপিও। দুর্নীতির সিবিআই তদন্তের দাবি তুলেছে তারা। এদিকে দুর্নীতির বিষয়টি জানাজানি হতেই গা ঢাকা দিয়েছেন অভিযুক্ত ওই সমবায় সমিতির ম্যানেজার। সমবায় সমিতির কর্মীদের দাবি,তিনি কাজের জন্য অন্যত্র রয়েছেন। তবে সূত্রের খবর, তিনি এলাকাতেই গা ঢাকা দিয়েছেন। গত কয়েকদিন আগে পর্যন্ত বহালতবিয়তে ‘দিদির দূত’ হিসাবে কাজ করতেও দেখা গিয়েছে চিংড়া সমবায় সমিতির অভিযুক্ত ম্যানেজার প্রভুনাথ পোড়েলকে।