Arambag: নবমীতে ওঁদের হাতে খাবার-বস্ত্র তুলে দিলেন সাংসদ, খুশি আরামবাগের বন্যা দুর্গতরা
Hooghly: নবমীর রাতে ভিটেমাটি বাড়ি ঘর ছাড়া বন্যাদুর্গতদের হাতে রান্না সরঞ্জাম থেকে শিশুদের বেবি ফুট পর্যন্ত তুলে দিলেন সাংসদ ও পৌর প্রশাসক।
হুগলি: Tv9 বাংলার লাগাতার খবর সম্প্রচারের জের। তারপরই নবমীর রাতে খাবার-দাবার, রান্নার সরঞ্জাম, ত্রিপল, শিশুদের বেবি ফুড আরামবাগের বন্যাদুর্গতদের হাতে তুলে দিলেন আরামবাগের সাংসদ অপরুপা পোদ্দার। উপস্থিত ছিলেন আরামবাগ পৌরসভার পৌর প্রশাসক স্বপন নন্দী। আরামবাগের পল্লিশ্রী এলাকায় ত্রিপলের নিচে তাঁবু খাটিয়ে বাঁধের ওপর বসবাস করছেন দুর্গতরা। কেউ কেউ ত্রাণশিবিরেও রয়েছেন। বন্যাদুর্গতরা উৎসবের দিন গুলিতে কেমন আছেন ? সে খবর তুলে ধরে TV9 বাংলা।
আর তারপরেই নবমীর রাতে ভিটেমাটি বাড়ি ঘর ছাড়া বন্যাদুর্গতদের হাতে রান্না সরঞ্জাম থেকে শিশুদের বেবি ফুট পর্যন্ত তুলে দিলেন সাংসদ ও পৌর প্রশাসক।
আরামবাগের বন্যা পরিস্থিতি খতিয়ে দেখতে গিয়েছিলেন মুখ্যমন্ত্রী মমতা বন্দ্যোপাধ্যায়ও। মুখ্যমন্ত্রীকে সরাসরি অভাব অভিযোগ জানাতে চেয়েছিলেন দুর্গতরা। কিন্তু তাঁরা তা করতে না পেরে ক্ষোভে ফেটে পড়েন। অভিযোগ পুলিশ মুখ্যমন্ত্রীর কাছ পর্যন্ত তাঁদের যেতে দেয়নি। যার কারণে তাঁরা নিজেদের অসুবিধার কথা মুখ্যমন্ত্রীর কাছে তুলে ধরতে পারেনি। মমতা বন্দ্যোপাধ্যায়ের সঙ্গে কথা বলতে না পারায় বিক্ষোভে ফেটে পড়েন দুর্গতরা। পরে সেই এলাকায় গিয়ে বিক্ষোভের মুখে পড়েছিলেন সাংসদ। সাংসদ অপরূপা পোদ্দারের গাড়ি ঘিরে বিক্ষোভ দেখিয়েছিলেন তাঁরা।
তবে আরামবাগের বন্যা পরিস্থিতি নিয়ে প্রথম থেকেই ডিভিসিকে দায়ী করেছেন মুখ্যমন্ত্রী। বন্যা কবলিত এলাকা পরিদর্শনে গিয়ে ফের দামোদর ভ্যালি কর্পোরেশনের (DVC) বিরুদ্ধে সরাসরি তোপ দাগেন মমতা। পরিসংখ্যান দিয়ে বোঝান ঠিক কত কিউসেক জল ছেড়েছে ডিভিসি। এই বন্যা পরিস্থিতির জন্য ডিভিসি-র কাছে ক্ষতিপূরণ (Compensation) চাইতে হতে পারে বলেও উল্লেখ করেন তিনি। আরামবাগে (Arambagh) গিয়ে তিনি বলেন, ‘ডিভিসির কাছে ক্ষতিপূরণ চাইতে হতে পারে।’ মুখ্যমন্ত্রীর কথায়, ‘সব টাকা তো জলেই চলে যাচ্ছে।’
হুগলির আরামবাগ,খানাকুল ,পুড়শুড়া ও গোঘাটের মানুষের অবস্থা ছিল সবচেয়ে দুর্বিষহ। এমনিতেই খানাকুল দু’নম্বর ব্লকের ১১ টি গ্রাম পঞ্চায়েতের শতাধিক গ্রাম এখনও জলের তলায় ছিল। পশ্চিমের জেলাগুলিতে বৃষ্টিপাতের ফলে একদিকে যেমন শিলাবতী ও দারকেশ্বরের জল ক্রমশই বাড়ছিল। অন্যদিকে মুন্ডেশ্বরী নদী দিয়ে ডিভিসির জল খানাকুলের পানশিউলিতে রূপনারায়ণে যাচ্ছিল। তাতে খানাকুলে আবারও জলের চাপ বাড়ে। রূপনারায়ণের ভাঙ্গা নদী বাঁধগুলি দিয়ে জল ঢোকে খানাকুলের বিস্তীর্ণ এলাকায়। ফলে আবারও সাঁড়াশি আক্রমণের মুখে পড়ে খানাকুল। পুজোর মধ্যেও বেশ কিছু এলাকায় দুর্গতরা ছাদে ত্রিপল টানিয়ে জীবন যাপন করছিলেন। পুজোর আগের দুদিনের বৃষ্টিতে আরও চাপ বাড়ে। পুজোর মধ্যেও ত্রিপল টাঙিয়েই ছিলেন দুর্গতরা। তবে সাংসদকে কাছে পেয়ে কিছুটা হলেও খুশি হন তাঁরা।