Illegal construction:বেআইনি ভাবে গড়ে উঠছিল নির্মাণ, পুলিশ গিয়ে সোজা বন্ধ করে দিল কাজ

hooghly: বিজেপির দাবি সবই কাটমানির খেল!

Illegal construction:বেআইনি ভাবে গড়ে উঠছিল নির্মাণ, পুলিশ গিয়ে সোজা বন্ধ করে দিল কাজ
অবৈধ নিমার্ণ ভাঙল পুলিশ
Follow Us:
| Edited By: | Updated on: Nov 21, 2021 | 2:15 PM

রিষড়া: রাজ্যের একাধিক জেলা থেকে অবৈধ নির্মাণের অভিযোগ আকছাড় ওঠে। বেশির ভাগ ক্ষেত্রেই অভিযোগ তীর থাকে পুলিশ প্রশাসনের উপর কারণ সঠিক ভাবে কোনও পদক্ষেপ করা হয়না সেই কারণে। কিন্তু এইবার ছবিটা উল্টে গেল পুরো।

অনেকদিন ধরেই তৈরি হচ্ছিল নির্মীয়মাণ একটি বাড়ি। কিন্তু পুরসভা এলাকায় বৈধ প্লানের বাইরে গিয়েই সেই আবাসন তৈরি হচ্ছিল এমনটা দাবি। যার জেরে পুলিশ দিয়ে কাজ বন্ধ করে দিল পুরসভা।এদিকে, গোটা বিষয়টি নিয়েই তৈরি হয়েছে রাজনীতি। বিজেপির অভিযোগ করছে, পুরো বিষয়টিই হল কাটমানির খেল। আবার পুরসভার দাবি কোনও বেআইনি নির্মাণকে প্রশ্রয় দেওয়া হয়নি।

রিষড়া পুরসভার পাঁচ নম্বর ওয়ার্ড। সেখানের সন্ধে বাজার এলাকায় বেশ কিছুদিন ধরে একটি আবাসন তৈরির কাজ চলছিল। অপ্রশস্ত জায়গায় জি প্লাস ফাইভ নির্মাণ দেখে অভিযোগ জানান স্থানীয়রা। পুরসভা কাজ বন্ধের নির্দেশ দেয়। অভিযোগ তা সত্ত্বেও নির্মাণ কাজ চলছিল।

আজ রিষড়া থানার পুলিশ গিয়ে ঠিকাদারকে কাজ বন্ধ করতে বলে। এরপরই বন্ধ হয়ে যায় নির্মাণটি। স্থানীয় বাসিন্দাদের অভিযোগ, নিয়ম বহির্ভূত ভাবে নির্মাণের বিরুদ্ধে তারা প্রশাসনকে জানিয়েছিলেন। অন্যদিকে, ঠিকাদার মহঃ পারভেজ দাবি জানিয়ে বলেন, এই নির্মাণটির অনুমতি রয়েছে তাদের আছে।

বিজেপি নেতা রাজু বন্দ্যোপাধ্যায়ের অভিযোগ, শুধুমাত্র কাটমানির জন্য এসব করা হচ্ছে। যে অনুমতি দিয়েছে সেই বন্ধ করছে। এভাবেই কোটি কোটি টাকা তুলছে। হিসেব নিয়ে দেখলে বোঝা যাবে শুধু রিষড়া নয় শ্রীরামপুরের অনেক নির্মাণ এইভাবে বেআইনিভাবে তৈরি হয়েছে।

রিষড়া পুরসভার পুর প্রশাসক মণ্ডলীর সদস্য জাহিদ হাসান খান বলেন, “রিষড়া পুরসভায় কোনও বেআইনি নির্মান হয় না। যা প্ল্যান আছে সেই অনুযায়ী কাজ করতে হবে। না হলে নোটিশ দিয়ে কাজ বন্ধ করে দেওয়া হয়। বিজেপি বিরোধী দল। ওদের কাজই হল ভুলভাল কথা বলা,অভিযোগ করা। কিন্তু আমরা পুরসভায় আসার পর কোনও বেআইনি নির্মাণ হতে দিইনি। জোর করে কেউ করতে চাইলে পুলিশ দিয়ে লোক পাঠিয়ে কাজ বন্ধ করে দিই।”

উল্লেখ্য, কয়েকদিন আগে কুলটিতেও একই পদক্ষেপ লক্ষ করা যায় পুলিশের। জিটি রোডের পাশে এই অবৈধ নির্মাণগুলি ভেঙে ফেলা হয়। যার জেরে রীতিমত আলোড়ন সৃষ্টি হয়েছে এলাকায়। এদিকে, যারা এই কাজের সঙ্গে যুক্ত ছিলেন তাদের মধ্যে আবার কয়েকজন পুরসভার এই কাজে বাধা দেওয়ার চেষ্টা করেন। তবে সেইসময় যেহেতু পুলিশের উপস্থিতি ছিল সেই কারণে পরিস্থিতি মোকাবিলা করতে বেগ পেতে হয়নি।

আরও পড়ুন: G D Birla School Agitation: ‘চাকরিতে ফেরান, বকেয়া দিন’, জিডি বিড়লায় আবারও ব্যাপক বিক্ষোভ

আরও পড়ুন: Contractual Teachers Movement: শীতের রাতে খোলা আকাশের নীচে ২০ দিন! চাকরির স্থায়ীকরণের দাবিতে অনশনে শিক্ষকরা