Child Death: জ্বর-শ্বাসকষ্ট, ফের দুধের শিশুর মৃত্যু রাজ্যে

Hooghly: পরিবার সূত্রে খবর, হুগলির পোলবার মহেশপুর গ্রামের বাসিন্দা সমীর মণ্ডল। তাঁর ন'মাসের মেয়ে সুস্মিতা মণ্ডল।

Child Death: জ্বর-শ্বাসকষ্ট, ফের দুধের শিশুর মৃত্যু রাজ্যে
প্রতীকী চিত্র
Follow Us:
| Edited By: | Updated on: Feb 27, 2023 | 6:38 PM

পোলবা: ফের রাজ্যে শিশুমৃত্যু। এর আগে কলকাতার বিসি রায় হাসপাতালে শিশুমৃত্যুর খবর সামনে এসেছিল। এবার হুগলির পোলবা থেকে জ্বরে আক্রান্ত এক ন’মাসের শিশুর মৃত্যুর খবর প্রকাশ্যে এসেছে।গোটা ঘটনায় শোকের ছায়া নেমে এসেছে পরিবারে। পরিবার সূত্রে খবর, হুগলির পোলবার মহেশপুর গ্রামের বাসিন্দা সমীর মণ্ডল। তাঁর ন’মাসের মেয়ে সুস্মিতা মণ্ডল। বেশ কয়েকদিন ধরে জ্বর শ্বাসকষ্টে ভুগছিল শিশুটি। স্থানীয় চিকিৎসকদের দেখানো হয়। জ্বর না কমায় চুঁচুড়া ইমামবাড়া জেলা হাসপাতালে ভর্তি করা হয় তাকে।

এরপর গত ২০শে ফেব্রুয়ারী কলকাতা মেডিক্যাল কলেজে স্থানান্তরিত করা হয় তাঁকে। সেখানেই চিকিৎসা চলছিল ওই শিশুর। এরপর আজ সকাল পাঁচটা দশ নাগাদ মৃত্যু হয় তার। শিশুটির পরিবারের দাবি, হাসপাতাল থেকে তাদের জানানো হয় বেলেঘাটায় আইডিতে শিশুটির নমুনা পরীক্ষা করতে পাঠানো হয়। সেখানে রিপোর্ট পজেটিভ আসে। অথচ তার মৃত্যুর শংসাপত্রে নিউমোনিয়া আক্রান্ত লেখা হয়েছে।

শিশুর মামা প্রভাংশু বিশ্বাস বলেন, “দু’দিন আগে একলক্ষ টাকা দামের একটি ইঞ্জেকশন দেওয়া হয়। পরীক্ষা নিরিক্ষায় অনেক সময় চলে গিয়েছে। হাসপাতালের চিকিৎসকরা কী চিকিৎসা  হচ্ছে তা কিছুই জানাননি।” শিশুর জেঠিমা রুপা মণ্ডল বলেন, “চিকিৎসা কী হয়েছে বুঝতে পারলাম না। সর্দি বসে গিয়ে শ্বাস নিতে কষ্ট হচ্ছিল। মেডিক্যাল থেকে গতকাল জানানো হয় অবস্থা ভাল না।আমরা সবাই গেলাম।করোনার সময় সচেতনতা করেছিল এখন তো কিছু দেখছি না।” এই বিষয়ে কলকতা মেডিক্যাল কলেজ কর্তৃপক্ষ বলেন, “মাইক্রোবাইলজিক্যাল রিপোর্ট এখনও আসেনি। সেই কারণে নিউমোনিয়া লেখা হয়েছে।”

হুগলি জেলা মুখ্য স্বাস্থ্য আধিকারিক রমা ভূঁইয়া জানান, “হুগলিতে এখনও পর্যন্ত জ্বরে আক্রান্ত শিশুর সংখ্যা ৩০৪ জন। তার মধ্যে সক্রিয় ১৩০ জন। আজ ভর্তি হয়েছে ৫৯ জন। প্রতিদিন গড়ে ত্রিশ থেকে ষাট জন আক্রান্ত হচ্ছে। পরিস্থিতি বিবেচনা করে সব হাসপাতালকে সতর্ক করা হয়েছে।জ্বরে আক্রান্তদের জন্য পৃথক আইসোলেশান ওয়ার্ড খোলা হচ্ছে। ওই ওয়ার্ডে মাস্ক পরতে হবে। অ্যাডিনো ভাইরাসে আক্রান্ত কি না তা জানার জন্য পরীক্ষার পরিকাঠামো এখনো জেলায় নেই। তবে উপসর্গ দেখে প্রয়োজনে কলকাতার ল্যাবে নমুনা পাঠানো হবে। জ্বর হলে পেট ভরে খাওয়া আর পর্যাপ্ত ঘুম প্রয়োজন।জল বেশি করে খেতে হবে।শরীর দুর্বল থাকলে ইমিউনিটি কম থাকলে ভাইরাস আক্রান্ত হওয়ার সম্ভাবনা থাকে।”