Fraud Case: বিধায়ক-চেয়ারম্যানদের নাম করে একের পর এক প্রতারণা, পুলিশের বাউন্সারে ঘায়েল চার চক্রী
Hooghly: বিভিন্ন জায়গায় বিধায়ক ও পুরসভার চেয়ারম্যানদের নাম করে প্রতারণা সক্রিয় হয়েছিল। মূল ঘটনাটি ঘটেছিল চলতি বছর জুলাই মাসে।
হুগলি: সাফল্য আবারও। ডানকুনিতে সোনার দোকানে ডাকাতির চটজলদি কিনারার পর আবারও দৃষ্টান্ত। পুলিশের পাতা জালে এবার জড়িয়ে পড়ল চার প্রতারক। উত্তরপাড়ার পুরপ্রধানের নাম করে এক ঠিকাদারের থেকে কয়েক লক্ষ টাকা প্রতারণার ঘটনায় অভিযুক্ত ছিল তারা। ধৃতদের কাছ থেকে নগদ ৮৫ হাজার টাকা, দুটি মোবাইল ফোন ও একটি মারুতি ভ্যান উদ্ধার করেছে পুলিশ।
বিভিন্ন জায়গায় বিধায়ক ও পুরসভার চেয়ারম্যানদের নাম করে প্রতারণা সক্রিয় হয়েছিল। মূল ঘটনাটি ঘটেছিল চলতি বছর জুলাই মাসে। উত্তরপাড়া পুরসভার সামনে চেয়ারম্যান দিলীপ যাদবের নাম করে কলকাতার প্রসেনজিৎ রায় নামে এক ঠিকাদারের থেকে আর্থিক প্রতারণা করে চার অভিযুক্ত। সাড়ে তিন লক্ষ টাকা নিয়ে চম্পট দেয় ওই প্রতারক দলটি। এই ঘটনার অভিযোগ দায়ের হয়েছিল উত্তরপাড়া থানায়। সেই অভিযোগের ভিত্তিতেই তদন্ত শুরু করেছিলেন চন্দননগর কমিশনারেটের আধিকারিকরা। তাদের ধরতে পরিকল্পিত ফাঁদ পাতে পুলিশ। সেই জালেই জড়িয়ে পড়ে প্রতারকরা।
ধৃতদের নাম শুভজিৎ রায় ওরফে ভোম্বল, কিষাণ বিশ্বাস, বিক্রম রায় ও সৌমিত্র সর্দার। তাঁরা প্রত্যেকেই উত্তর ২৪ পরগনা জেলার বারাসাতের বাসিন্দা। কীভাবে পাতা হয়েছিল ফাঁদ? জানা গিয়েছে, জেলা পরিষদের সামনে এক ব্যবসায়ীর সঙ্গে ওই প্রতারকদের দেখা করতে আসার কথা পুলিশ জানতে পারে। ফোন ট্যাপ করে এই তথ্য মেলার পরেই কমিশনারেটের এসআই মহাবীর বেরার নেতৃত্বাধীন একটি দল ব্যবসায়ী সেজে প্রতারকদের সঙ্গে দেখা করে। চারজনের সামনে টাকার প্রলোভন দেখান তারা। সেই প্রলোভনই কাল হয় প্রতারকদের কাছে।
ঘটনা প্রসঙ্গে চন্দননগর পুলিশের ডেপুটি কমিশনার(শ্রীরামপুর) ডঃ অরবিন্দ কুমার আনন্দ বলেন, ‘প্রতারক দলটি হুগলি ও আশেপাশের জেলায় বহু ব্যবসায়ীকেই টার্গেট করত। মোটামুটি একই কায়দায় তাদের কাছ থেকে লক্ষ লক্ষ টাকা প্রতারণা করা হতো। আমাদের হিসাব বলছে এখনো পর্যন্ত ৮৫ লক্ষ টাকা হাতিয়ে নেওয়া হয়েছিল বিভিন্ন ব্যবসায়িক থেকে। আপাতত জিজ্ঞাসাবাদ করে এই চক্রের সঙ্গে আর কারা যুক্ত তা জানার চেষ্টা করব আমরা।’