Student Died: ‘আমার ছেলেটা সাঁতার জানে না’, মায়ের বুক খালি করে জলেই টেনে নিয়ে গেল মৃত্যু

Mogra: ছত্তীসগঢ়ের বিলাসপুর গুরু ঘাসিদাস বিশ্ববিদ্যালয় থেকে ফিজিক্স নিয়ে স্নাতকোত্তর করছিলেন কৌস্তভ। ২০২২ সালের ডিসেম্বরে সেখানে ভর্তি হন তিনি। এ বছর সেপ্টেম্বরে তাঁর ফাইনাল পরীক্ষা ছিল। পরীক্ষা শেষে বাড়ি ফেরার কথা ছিল তাঁর। তার আগেই সাধু পরিবারের মাথায় বাজ পড়ল।

Student Died: 'আমার ছেলেটা সাঁতার জানে না', মায়ের বুক খালি করে জলেই টেনে নিয়ে গেল মৃত্যু
ছেলেকে হারিয়ে দিশাহারা মা। Image Credit source: TV9 Bangla
Follow Us:
| Edited By: | Updated on: Jul 22, 2024 | 3:06 PM

হুগলি: পড়তে গিয়েছিল ভিন রাজ্যে। সেখানে বন্ধুর জন্মদিন পালন করতে গিয়ে জলে ডুবে মৃত্যু হল যুবকের। যদিও পরিবার এই মৃত্যুকে অস্বাভাবিক বলেই দাবি করেছে। যথাযথ তদন্তের দাবি জানিয়েছে গুড়াপের ওই পরিবার। মৃত ওই ছাত্রের নাম কৌস্তভ সাধু (২৩)। হুগলির গুড়াপ থানার খাজুরদহ মিলকি গ্রামপঞ্চায়েতের দুর্গাপুর গ্রামের বাসিন্দা ছিলেন তিনি।

ছত্তীসগঢ়ের বিলাসপুর গুরু ঘাসিদাস বিশ্ববিদ্যালয় থেকে ফিজিক্স নিয়ে স্নাতকোত্তর করছিলেন কৌস্তভ। ২০২২ সালের ডিসেম্বরে সেখানে ভর্তি হন তিনি। এ বছর সেপ্টেম্বরে তাঁর ফাইনাল পরীক্ষা ছিল। পরীক্ষা শেষে বাড়ি ফেরার কথা ছিল তাঁর। তার আগেই সাধু পরিবারের মাথায় বাজ পড়ল। কৌস্তভ মগড়ার শ্রী গোপাল ব্যানার্জি কলেজের ছাত্র ছিলেন। বিএসসি পাশ করে পড়তে যান ছত্তীসগঢ়ে। সেখানেই এমন অবস্থা। ছাত্রের মা সোমা সাধু জানান, রবিবার সকাল ১০টায় ফোন করে কৌস্তভ জানিয়েছিলেন, রতনপুর ড্য়ামে যাচ্ছেন। এক বন্ধুর জন্মদিন আছে, খাওয়াবে।

সোমাদেবী বলেন, “আমি কত বার বললাম শরীর ভাল নেই তোর। না বলে দে। বলছে কিচ্ছু হবে না। পই পই করে বললাম জলের দিকে যাবি না। তুই সাঁতার জানিস না। বর্ষাকাল সাপখোপের ভয়, জঙ্গলের দিকে যাবি নাও বললাম। ও কেন জলে নামল জানি না। কখনও নামে না জলে। কিছুই বুঝতে পারছি না। বিকাল ৫টায় ফোনে বলছে থানা থেকে বলছি। বন্ধুদের নামে খারাপ কথা কোনওদিন বলেনি ঠিকই। কিন্তু ছেলের নাকি গায়ে কিছু ছিল না। ঠেলে ফেলে দিল কি না জানি না। বন্ধুরা মজার ছলেই ঠেলে ফেলে দিল কি না কে জানে।”

তবে কৌস্তভের আত্মীয় বলেন, “বাইরে পড়তে গিয়ে এরকম করুণ পরিণতি খুবই মর্মান্তিক। সরকার কঠোর ব্যবস্থা নিক। রাজ্য সরকার এ নিয়ে পদক্ষেপ করুক। যারা যুক্ত তাদের সাজা হোক। বাড়ির বাইরে বেরোলে যদি প্রাণের নিরাপত্তা পর্যন্ত না থাকে, তাহলে তো ছেলেমেয়েকে বাড়ির বাইরে পাঠাতে ভয় পাবে পরিবার। এখানে তো খবর দিয়েছে ড্যামে পড়ে গিয়ে মারা গিয়েছে। কিন্তু সত্যিই কি ড্যামে পড়ে গেল নাকি ওকে ফেলে মেরে দেওয়া হল তা তো কেউ জানে না। ময়নাতদন্তের রিপোর্টই বলতে পারবে। আমরা ধন্দে।” যদিও পরিবারের তরফে এই নিয়ে থানায় এখনও কোনও অভিযোগ দায়ের হয়নি।