Hooghly: প্রসূতির সিজ়ারের প্রস্তুতির মধ্যেই বন্ধ হয়ে গেল হাসপাতাল! নেপথ্যে সেই করোনা
Doctors are Corona infected: আক্রান্ত হওয়ার ঘটনায় একের পর এক হাসপাতালের পরিষেবা বন্ধ হয়ে যাচ্ছে। সেই তালিকায় এবার নাম লেখাল হুগলি (Hooghly) -র তারকেশ্বর গ্রামীণ হাসপাতাল।
হুগলি: এবার রাজ্যজুড়ে করোনার দাপটে সবচেয়ে বেশি যাঁদের আক্রান্ত হওয়ার খবর মিলছে তাঁরা চিকিৎসক ও স্বাস্থ্যকর্মীরা। ডাক্তারদের করোনা আক্রান্ত হওয়ার ঘটনায় একের পর এক হাসপাতালের পরিষেবা বন্ধ হয়ে যাচ্ছে। সেই তালিকায় এবার নাম লেখাল হুগলি (Hooghly) -র তারকেশ্বর গ্রামীণ হাসপাতাল। বন্ধ হল প্রসূতি বিভাগ।
কোভিড কাঁটা। আর তার দাপটে সিজার বিভাগ বন্ধ হয়ে গেল তারকেশ্বর গ্রামীণ হাসপাতালে। এদিন একজন প্রসূতির সিজ়ার করার প্রস্তুতি থাকলেও পর পর দু’জন এনাস্থেটিস্ট -এর করোনা রিপোর্ট পজিটিভ হওয়ায় সিজ়ার বিভাগ বন্ধ রাখার সিদ্ধান্ত নেওয়া হয়। এমনই জানানো হয়েছে হাসপাতাল কর্তৃপক্ষের তরফে। অন্যদিকে সোমবার থেকে ভর্তি হওয়া এক গর্ভবতীর করোনা রিপোর্ট পজিটিভ আসে। তাঁকেও অন্যত্র স্থানান্তর করা হয়েছে বলে খবর।
উল্লেখ্য, মঙ্গল, বৃহস্পতি এবং শনি- সপ্তাহে এই তিন দিন সিজ়ার হয় তারকেশ্বর গ্রামীণ হাসপাতালে। এখন করোনার দাপটে আগামী এক সপ্তাহ সিজ়ার বিভাগ বন্ধ রাখার সিদ্ধান্ত নিয়েছেন হাসপাতাল কর্তৃপক্ষ। একজন প্রসূতি মাকে স্থানান্তর করা হয়েছে অন্য হাসপাতালে।
যদিও সিজ়ার বিভাগ ছাড়া সমস্ত বিভাগ খোলা আছে বলে জানিয়েছেন তারকেশ্বর গ্রামীণ হাসপাতালে স্বাস্থ্য আধিকারিক তাপস কুমার দাস। তিনি বলেন, হাসপাতালের দু’জন এনাস্থেটিস্টই করোনা আক্রান্ত হয়েছেন। এজন্য প্রসূতিদের সিজ়ার বন্ধ থাকছে। যাঁরা হাসপাতালে ভর্তি ছিলেন তাঁদের অন্য হাসপাতালে স্থানান্তর করা হচ্ছে। তবে আউটডোর, ইনডোর, টেলি মেডিসিন সবই চালু রয়েছে।”
যদিও পরবর্তীতে হাসপাতালের কোনও চিকিৎসক করোনা আক্রান্ত হলে অন্যান্য পরিষেবাতেও প্রভাব পড়ার আশঙ্কা উড়িয়ে দেওয়া যাচ্ছে না। উল্লেখ্য, কলকাতার প্রথম সারির সরকারি ও বেসরকারি হাসপাতাল তো রয়েছেই, জেলাগুলিতেও প্রতিদিন একাধিক চিকিৎসক, নার্স ও স্বাস্থ্যকর্মীর করোনা আক্রান্ত হচ্ছেন। ফলত বন্ধও হচ্ছে হাসপাতালের পরিষেবা। চাপ বাড়ছে স্বাস্থ্য পরিষেবার সঙ্গে যুক্তদের। এখন অন্যান্য অসুখের চিকিৎসা কী ভাবে পাবেন, তা নিয়ে চিন্তায় রোগী ও তাঁদের পরিবারের সদস্যরাও। এদিন তারকেশ্বর গ্রামীণ হাসপাতালে পরিষেবা নিতে আসা রোগীরা করোনা আক্রান্ত চিকিৎসকদের দ্রুত আরোগ্য কামনা করেছেন।