Tmc Clash: এক নেতার মাথা ফাটালো দলেরই অন্য নেতা! জেলায়-জেলায় প্রকাশ্যে শাসকদলের গোষ্ঠী সংঘর্ষ
Arambag: এলাকা দখল নিয়ে দীর্ঘদিন ধরে ঝামলা পঞ্চায়েত সমিতির সহ সভাপতি নইমূল হকের সঙ্গে।
আরামবাগ: জেলায় ক্রমাগত চলছে শাসকদলের গোষ্ঠীদ্বন্দ্ব। এক তৃণমূল নেতার মাথা ফাটিয়ে দেওয়ার অভিযোগ উঠল তৃণমূলের অপর এক গোষ্ঠীর বিরুদ্ধে। শুধু তাই নয় দীর্ঘক্ষণ তার স্ত্রীয়ের সামনেই চলে মারধর।
আক্রান্ত নেতার নাম শেখ বেলাল। তিনি খানাকুলের পোল অঞ্চলের বাসিন্দা। জানা গিয়েছে শেখ বেলাল নইমূল হকের অনুগামী হিসেবেই পরিচিত।
অন্যদিকে, খানাকূল ১ এর ব্লক সভাপতি ইলিয়াস চৌধুরী। তার সঙ্গেই এলাকা দখল নিয়ে দীর্ঘদিন ধরে ঝামলা পঞ্চায়েত সমিতির সহ সভাপতি নইমূল হকের সঙ্গে।
এরপর গতকাল রাতে সেই দ্বন্দ্বের কারণেই হামলা চালানো হয় বলে অভিযোগ। স্ত্রীকে নিয়ে বাড়ি ফেরার সময় ফাঁকা রাস্তায় পথ আটকায় ব্লক সভাপতির কয়েকজন অনুগামী।তার পরই লাঠি, বাঁশ ও রড দিয়ে এলোপাথাড়ি মারধর শুরু করে দেয় বলে অভিযোগ ।
শেখ বেলালের স্ত্রী স্বামীকে বাঁচাতে যান। কিন্তু কোনও লাভ হয়নি। স্ত্রীয়ের সামনেই বেলালবাবুকে মারধর করে মাথা ও পা ভেঙে দেওয়া হয়। পরে মারধরের পর এলাকা ছেড়ে পালায় তারা।
এরপর বেলালকে আশঙ্কাজনক অবস্থায় খানাকুল ও পরে আরামবাগ হাসপাতালের স্থানান্তরিত করা হয়। ঘটনায় তার দলেরই ব্লক সভাপতি ইলিয়াস চৌধুরী ও তার লোকজনের দিকে অভিযোগ তুলেছে পঞ্চায়েত সমিতির সহ সভাপতি নইমুল হক। তবে অভিযোগ অস্বীকার করেছে খানাকুল ১ তৃণমূল ব্লক সভাপতি ইলিয়াস চৌধুরী।
এই বিষয়ে শেখ নইমূল হক বলেন, “গতকাল আমার পঞ্চায়েতের এক সদস্য তাঁর স্ত্রীকে নিয়ে বাজার করতে গিয়েছিল। ওর ভাইয়ের বিয়ে দশদিন পর। ফেরার পথে ওকে ইলিয়াস চৌধুরীর লোকজন ওকে আক্রান্ত করে। স্ত্রীর সামনেই বেধড়ক মার মারে ওকে। এরপর অজ্ঞান হয়ে যায়। জ্ঞান ফিরে আসার পর পুরো বিষয়টি পুলিশকে জানায়। ঘটনায় পদক্ষেপ করবে পুলিশ। ”
এদিকে নিজের বিরুদ্ধে ওঠা সমস্ত অভিযোগ অস্বীকার করেছে ইলিয়াস চৌধুরী। তিনি বলেন, “এই ঘটনার সঙ্গে আমি বা আমার লোকেরা কোনভাবেই যুক্ত ছিল না। সবই ওদের ছেলে। এদের নিজেদির মধ্যেই গন্ডগোল। এখন সেই ঝামেলা চাপা দিতেই আমার উপর দোষ চাপাচ্ছে। আসলে সামনেই কমিটি গঠনের কথা রয়েছে। তাই এইবার এইসব মিথ্যে অভিযোগ করে আমার ভাবমূর্তি নষ্ট করার চেষ্টা চলছে।”
ঘটনার বিষয়ে মন্ত্রী বেচারাম মান্না বলেন, “একাধিকবার গোষ্ঠী সংঘর্ষে জড়িয়ে পড়ছে কর্মীরা। এর জন্য যথেষ্ঠ ব্যবস্থা নেওয়া হচ্ছে যথেষ্ঠ। পাশাপাশি কর্মীদের সতর্ক করা হচ্ছে। সেই বিবাদ মিটিয়ে দেওয়া হচ্ছে। ”
তবে ঘটনার খবর পেয়ে রাতেই ঘটনাস্থলে খানাকুল থানার বিশাল পুলিশ বাহিনী যায়।SF ঘটনায় গতকালই অভিযোগ দায়ের করা হয়েছে। তার পরিপেক্ষিতে চারজনকে গ্রেফতার করেছে পুলিশ।